ETV Bharat / bharat

তৃণমূলকে ঠেকাতে BJP-কে সমর্থনের অর্থ কুয়ো থেকে সমুদ্রে ঝাঁপ : মানিক

ETV ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সমালোচনা করলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার । তাঁর অভিযোগ, BJP এবং তৃণমূল সমঝোতা করে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের খেলা খেলছে ।

মানিক সরকার
author img

By

Published : Apr 27, 2019, 10:27 PM IST

Updated : Apr 27, 2019, 11:55 PM IST

কলকাতা, 27 এপ্রিল : "তৃণমূলকে ঠেকাতে BJP-কে সমর্থন করলে কুয়া থেকে সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়া হবে ।" রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে বললেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা CPI(M) নেতা মানিক সরকার । ETV ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি ত্রিপুরার বর্তমান অবস্থার কথাও বললেন ।

ETV ভারত : আপনার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এখন এরাজ্যে রয়েছেন । আপনি ভাবতে পেরেছিলেন যে হেরে গিয়ে আপনি পাশের রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে আসবেন ?

মানিক সরকার : রাজনীতিতে এগুলি হওয়া অসম্ভব কিছু নয় । হতেই পারে ।

ETV ভারত : ত্রিপুরার মতো পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিকপঞ্জি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে । প্রচারে এসে এরাজ্যের মানুষদের কী বার্তা দিচ্ছেন ?

মানিক সরকার : এবারের লোকসভা নির্বাচন সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন পরিস্থিতিতে হচ্ছে । দেশের মানুষের কাছে এই পরিস্থিতিগুলি তুলে ধরার চেষ্টা করছি । অর্থনৈতিক আক্রমণ সাধারণ মানুষের জীবনকে চারিদিক থেকে জর্জরিত করছে । মানুষ বিধ্বস্ত । একচেটিয়া পুঁজিপতি এবং কর্পোরেট হাউজ়গুলি একমাত্র উপকৃত হচ্ছে । এদের সম্পত্তির পরিমাণ দেশের মোট সম্পত্তির ৭৩ ভাগ । এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে এই সরকার কাদের । এই বিষয়গুলিই আমরা মানুষের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করব । মানুষ আন্দোলন করছে । গত পাঁচ বছরে দেশজুড়ে শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুর, উপজাতি, তপশিলি আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে । BJP এই আন্দোলনকে দুর্বল ও বিপথগামী করতে চাইছে । BJP ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়ের কথা বলে মানুষের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা করছে । কীসের মাংস খাবে, কী পোশাক পরবে, বন্ধু বাছাই কাকে করবে এসব BJP বলে দিচ্ছে । এসব করে দেশের একটি অরাজক অবস্থা তৈরির চেষ্টা করছে । এর ফলে মুসলমান, দলিতরা ভীষণভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন । আমাদের দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার পরম্পরাগত ঐতিহ্যে আঘাত আসছে । গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ হচ্ছে । এরফলে আমাদের সংসদের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে । বিচারব্যবস্থা ভীষণভাবে আক্রান্ত হচ্ছে । প্রধানমন্ত্রী নিজেই সংসদে থাকেন না । একদিকে সংসদ চলছে আর তিনি বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন । সরকার সংসদের কাছে দায়বদ্ধ । ষড়যন্ত্রের কৌশলে চালানো হচ্ছে সংসদ । এমন কী নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

ETV ভারত : আপনি সভা-সমাবেশে ভোটারদের নতুন কী বললেন ?

মানিক সরকার : যারা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন তাঁরাও আজ বলছেন দেশ বিপন্ন হচ্ছে । সরকারকে পরাস্ত করতে হবে । একটি বিকল্প সরকার তৈরি করতে হবে । ভারতের স্বাধীনতার পর নির্বাচনের মুখে এরকম ঘটনা ঘটেনি । এই পরিস্থিতে পশ্চিমবঙ্গ সচেতন । "দেশ বাঁচাও , BJP-কে পরাস্ত কর" আওয়াজ উঠেছে । পশ্চিমবঙ্গবাসী এই আওয়াজে সাড়া দিচ্ছেন । 8 বছরে তৃণমূল সরকার একাধিক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে । BJP সরকারও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে । প্রতিশ্রুতির খেলাপ করেও তাঁদের ভ্রুক্ষেপ নেই । গণতন্ত্রের উপর প্রচণ্ড আক্রমণ চলছে । মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে । বামফ্রন্টকে সমর্থন করতেন এমন অনেক পশ্চিমবঙ্গবাসী পরিবর্তনের স্লোগানে বিভ্রান্ত হয়ে তৃণমূলকে সমর্থন করেছেন । এরফলেই বামফ্রন্টের পরাজয় হয়েছে । তাই এখন বামবিরোধীরা বুঝতে পারছেন যে তাঁরা ভুল করেছেন । তাই তাঁরা তৃণমূলকে ঠেকাতে BJP-কে সমর্থনের কথা ভাবছেন । কিন্তু এটা ভুল ভাবনা । BJP-কে হটাতেই সারা ভারতবর্ষে স্লোগান উঠেছে । এই সর্বনাশ ঠেকাতে হবে । তৃণমূলকে ঠেকাতে সেই BJP-কে সমর্থন করলে কুয়া থেকে সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়া হবে । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই কট্টর বামবিরোধী এবং কমিউনিস্ট বিদ্বেষী । তিনি জাতীয়স্তরে BJP-র সঙ্গে চলেছেন । গুজরাতে দাঙ্গার নামে সংখ্যালঘু নিধন হল । এরপরে ভোটে জিতে তিনি (নরেন্দ্র মোদি) প্রধানমন্ত্রী হলেন । তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুলের তোড়া, অভিনন্দন পাঠালেন । এখন তো কুর্তা, মিষ্টি পাঠানোর কথাও শুনছি । BJP যে আর্থিক নীতি নিয়ে চলছে তার বিরুদ্ধে তৃণমূলের কোনও বিকল্প নীতি নেই । তাঁরাও কৃষক, বেকার, সংখ্যালঘুদের স্বার্থে কিছু করছে না । তাহলে তফাৎ তো কিছু নেই । BJP এবং তৃণমূল উভয়ই সমঝোতার ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের খেলা খেলছে । বামপন্থীরা লড়াই করছে । যারা ভুল করে বামফ্রন্ট থেকে চলে গেছেন তাঁদের ফিরে আসার আবেদন করব ।

ETV ভারত : নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে পেয়ে ত্রিপুরার মানুষ কেমন আছেন ?

মানিক সরকার : ত্রিপুরায় কাজ নাই । খাদ্য নাই । অনাহার মৃত্যু শুরু হয়েছে । অনাহারের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পারে মানুষ আত্মহত্যা করছে । মায়েরা সন্তান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন । উপজাতির ছেলেমেয়েরা কাজের সন্ধানে অন্য রাজ্য চলে যাচ্ছে । এরফলে অনেকে নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে । অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে । অপরদিকে গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে । ভোটের ফল ঘোষণার সন্ধ্যা থেকে আক্রমণ শুরু হয়েছে । বিরোধী দলের সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । স্বাধীনতার পর এরকম ঘটনা ঘটেনি । এরমধ্যে ৮-৯ জন কমরেড খুন হয়ে গেছেন । শত শত কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন ।

ETV ভারত : নরেন্দ্র মোদি এবং এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কী বার্তা দেবেন ?

মানিক সরকার : আমাদের বার্তা একটাই । কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদিকে হটাতে হবে । তাঁকে পরাস্ত করতে হবে । ধর্ম নিরপেক্ষ একটি সরকার তৈরি করতে হবে । যে সরকার মানুষের মৌলিক সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে । গণতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতাকে সুরক্ষিত করতে হবে । রাজ্যের মানুষের কাছে আবেদন, 8 বছর ধরে চলা অত্যাচার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সুযোগ এসেছে । তৃণমূলকেও পরাস্ত করুন । আক্রান্ত ও রক্তাক্ত হয়ে বামপন্থীরা মানুষের পাশে থেকেছে । বামপন্থীদের সমর্থন করুন ।

কলকাতা, 27 এপ্রিল : "তৃণমূলকে ঠেকাতে BJP-কে সমর্থন করলে কুয়া থেকে সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়া হবে ।" রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে বললেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা CPI(M) নেতা মানিক সরকার । ETV ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি ত্রিপুরার বর্তমান অবস্থার কথাও বললেন ।

ETV ভারত : আপনার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এখন এরাজ্যে রয়েছেন । আপনি ভাবতে পেরেছিলেন যে হেরে গিয়ে আপনি পাশের রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে আসবেন ?

মানিক সরকার : রাজনীতিতে এগুলি হওয়া অসম্ভব কিছু নয় । হতেই পারে ।

ETV ভারত : ত্রিপুরার মতো পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিকপঞ্জি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে । প্রচারে এসে এরাজ্যের মানুষদের কী বার্তা দিচ্ছেন ?

মানিক সরকার : এবারের লোকসভা নির্বাচন সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন পরিস্থিতিতে হচ্ছে । দেশের মানুষের কাছে এই পরিস্থিতিগুলি তুলে ধরার চেষ্টা করছি । অর্থনৈতিক আক্রমণ সাধারণ মানুষের জীবনকে চারিদিক থেকে জর্জরিত করছে । মানুষ বিধ্বস্ত । একচেটিয়া পুঁজিপতি এবং কর্পোরেট হাউজ়গুলি একমাত্র উপকৃত হচ্ছে । এদের সম্পত্তির পরিমাণ দেশের মোট সম্পত্তির ৭৩ ভাগ । এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে এই সরকার কাদের । এই বিষয়গুলিই আমরা মানুষের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করব । মানুষ আন্দোলন করছে । গত পাঁচ বছরে দেশজুড়ে শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুর, উপজাতি, তপশিলি আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে । BJP এই আন্দোলনকে দুর্বল ও বিপথগামী করতে চাইছে । BJP ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়ের কথা বলে মানুষের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা করছে । কীসের মাংস খাবে, কী পোশাক পরবে, বন্ধু বাছাই কাকে করবে এসব BJP বলে দিচ্ছে । এসব করে দেশের একটি অরাজক অবস্থা তৈরির চেষ্টা করছে । এর ফলে মুসলমান, দলিতরা ভীষণভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন । আমাদের দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার পরম্পরাগত ঐতিহ্যে আঘাত আসছে । গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ হচ্ছে । এরফলে আমাদের সংসদের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে । বিচারব্যবস্থা ভীষণভাবে আক্রান্ত হচ্ছে । প্রধানমন্ত্রী নিজেই সংসদে থাকেন না । একদিকে সংসদ চলছে আর তিনি বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন । সরকার সংসদের কাছে দায়বদ্ধ । ষড়যন্ত্রের কৌশলে চালানো হচ্ছে সংসদ । এমন কী নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

ETV ভারত : আপনি সভা-সমাবেশে ভোটারদের নতুন কী বললেন ?

মানিক সরকার : যারা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন তাঁরাও আজ বলছেন দেশ বিপন্ন হচ্ছে । সরকারকে পরাস্ত করতে হবে । একটি বিকল্প সরকার তৈরি করতে হবে । ভারতের স্বাধীনতার পর নির্বাচনের মুখে এরকম ঘটনা ঘটেনি । এই পরিস্থিতে পশ্চিমবঙ্গ সচেতন । "দেশ বাঁচাও , BJP-কে পরাস্ত কর" আওয়াজ উঠেছে । পশ্চিমবঙ্গবাসী এই আওয়াজে সাড়া দিচ্ছেন । 8 বছরে তৃণমূল সরকার একাধিক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে । BJP সরকারও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে । প্রতিশ্রুতির খেলাপ করেও তাঁদের ভ্রুক্ষেপ নেই । গণতন্ত্রের উপর প্রচণ্ড আক্রমণ চলছে । মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে । বামফ্রন্টকে সমর্থন করতেন এমন অনেক পশ্চিমবঙ্গবাসী পরিবর্তনের স্লোগানে বিভ্রান্ত হয়ে তৃণমূলকে সমর্থন করেছেন । এরফলেই বামফ্রন্টের পরাজয় হয়েছে । তাই এখন বামবিরোধীরা বুঝতে পারছেন যে তাঁরা ভুল করেছেন । তাই তাঁরা তৃণমূলকে ঠেকাতে BJP-কে সমর্থনের কথা ভাবছেন । কিন্তু এটা ভুল ভাবনা । BJP-কে হটাতেই সারা ভারতবর্ষে স্লোগান উঠেছে । এই সর্বনাশ ঠেকাতে হবে । তৃণমূলকে ঠেকাতে সেই BJP-কে সমর্থন করলে কুয়া থেকে সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়া হবে । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই কট্টর বামবিরোধী এবং কমিউনিস্ট বিদ্বেষী । তিনি জাতীয়স্তরে BJP-র সঙ্গে চলেছেন । গুজরাতে দাঙ্গার নামে সংখ্যালঘু নিধন হল । এরপরে ভোটে জিতে তিনি (নরেন্দ্র মোদি) প্রধানমন্ত্রী হলেন । তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুলের তোড়া, অভিনন্দন পাঠালেন । এখন তো কুর্তা, মিষ্টি পাঠানোর কথাও শুনছি । BJP যে আর্থিক নীতি নিয়ে চলছে তার বিরুদ্ধে তৃণমূলের কোনও বিকল্প নীতি নেই । তাঁরাও কৃষক, বেকার, সংখ্যালঘুদের স্বার্থে কিছু করছে না । তাহলে তফাৎ তো কিছু নেই । BJP এবং তৃণমূল উভয়ই সমঝোতার ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের খেলা খেলছে । বামপন্থীরা লড়াই করছে । যারা ভুল করে বামফ্রন্ট থেকে চলে গেছেন তাঁদের ফিরে আসার আবেদন করব ।

ETV ভারত : নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে পেয়ে ত্রিপুরার মানুষ কেমন আছেন ?

মানিক সরকার : ত্রিপুরায় কাজ নাই । খাদ্য নাই । অনাহার মৃত্যু শুরু হয়েছে । অনাহারের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পারে মানুষ আত্মহত্যা করছে । মায়েরা সন্তান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন । উপজাতির ছেলেমেয়েরা কাজের সন্ধানে অন্য রাজ্য চলে যাচ্ছে । এরফলে অনেকে নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে । অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে । অপরদিকে গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে । ভোটের ফল ঘোষণার সন্ধ্যা থেকে আক্রমণ শুরু হয়েছে । বিরোধী দলের সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । স্বাধীনতার পর এরকম ঘটনা ঘটেনি । এরমধ্যে ৮-৯ জন কমরেড খুন হয়ে গেছেন । শত শত কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন ।

ETV ভারত : নরেন্দ্র মোদি এবং এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কী বার্তা দেবেন ?

মানিক সরকার : আমাদের বার্তা একটাই । কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদিকে হটাতে হবে । তাঁকে পরাস্ত করতে হবে । ধর্ম নিরপেক্ষ একটি সরকার তৈরি করতে হবে । যে সরকার মানুষের মৌলিক সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে । গণতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতাকে সুরক্ষিত করতে হবে । রাজ্যের মানুষের কাছে আবেদন, 8 বছর ধরে চলা অত্যাচার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সুযোগ এসেছে । তৃণমূলকেও পরাস্ত করুন । আক্রান্ত ও রক্তাক্ত হয়ে বামপন্থীরা মানুষের পাশে থেকেছে । বামপন্থীদের সমর্থন করুন ।

Last Updated : Apr 27, 2019, 11:55 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.