জয়পুর, 22 অক্টোবর : প্রায় 172 হাজার বছর আগে থরের ধুধু বালিরাশির মধ্যে দিয়ে বয়ে যেত নদী । বিকানেরের পাশ দিয়েই বইত নদী । এই নদীকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হত আশেপাশের জনবসতির জীবনধারা । থর মরভূমির বুকে হারিয়ে যাওয়া এমনই এক নদীর প্রমাণ গবেষণায় উঠে এসেছে ।
কোয়াটারনারি সায়েন্স রিভিউস নামে এক জার্নালে প্রকাশিত তথ্য বলছে, মধ্য থর মরুভূমির নল কোয়ারিতে নদীর সর্বপ্রাচীন উদাহরণ মিলেছে । জার্মানিতে দ্য ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য সায়েন্স অফ হিউম্যাম হিস্ট্রি, তামিলনাড়ুর আন্না বিশ্ববিদ্যালয় ও কলকাতার IISER -এর গবেষকদের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, এখন আমরা যে থর মরুভূমির সঙ্গে পরিচিত, প্রস্তর যুগে এই ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা । তখন থরে মানুষ পুরোপুরি ভিন্ন জীবনযাপন করত ।
গবেষণায় যে প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাতে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, প্রায় 172 হাজার বছর আগে রাজস্থানের বিকানেরের কাছে একটি নদী ছিল । বর্তমানে যেখান দিয়ে নদী বয়ে গেছে সেখান থেকে 200 কিলোমিটার দূর দিয়ে নদী বয়ে যেত ।
আরও পড়ুন : "এখান থেকে মৃতদের সাম্রাজ্য শুরু"
গবেষকরা বলছেন, মধ্য থর মরুভূমির মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদীকে ঘিরেই আবর্তিত হত প্রাচীন প্রস্তরযুগের মানুষের জীবনধারা এবং পরিযানের জন্য অন্যতম প্রধান পথ ছিল এই এলাকা ।
দ্য ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য সায়েন্স অফ হিউম্যাম হিস্ট্রির গবেষক জিমবব ব্লিঙ্কহর্ন জানিয়েছেন, "থরের ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ । আমাদের কাছে এমন অনেক নথি রয়েছে, যা প্রমাণ করে প্রস্তর যুগে এই আধা-শুষ্ক এলাকায় মানবসভ্যতা যে শুধুমাত্র টিকে ছিল তাই নয়, বেশ সমৃদ্ধও হয়েছিল ।" স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি থেকে থর মরুভূমির মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নদীর গতিপথের প্রমাণ মিলেছে ।