ETV Bharat / bharat

সুপ্রিম কোর্টে শেষ অযোধ্যা-শুনানি, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে রায়ের সম্ভাবনা - Chief Justice of India

অযোধ্যা মামলার রায়দান স্থগিত রাখল সর্বোচ্চ আদালত ৷ আজ সুপ্রিম কোর্ট সাক্ষী রইল একাধিক ঘটনার ৷ কখনও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়ান দু'পক্ষের আইনজীবী ৷ কখনও আবার অযোধ্যা সংক্রান্ত বইয়ের নথি ছিঁড়ে দেন আইনজীবী ৷ পরে আদালত কক্ষ থেকে ওয়াক আউটের হুঁশিয়ারি দেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ৷ যদিও পরবর্তীতে সুষ্ঠুভাবেই চলে শুনানি ৷

সুপ্রিম কোর্ট
author img

By

Published : Oct 16, 2019, 11:55 AM IST

Updated : Oct 16, 2019, 9:32 PM IST

দিল্লি, 16 অক্টোবর : 40 দিন পর শেষ হল অযোধ্যা মামলার দৈনন্দিন শুনানি ৷ আপাতত রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট ৷ তিন দিনের মধ্যে লিখিত বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে ৷ নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহেই বহু প্রতীক্ষিত এই মামলার রায়দানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত আইনজীবীদের একাংশের ৷

মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া ব্যর্থ হওয়ার পর 6 অগাস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার দৈনন্দিন শুনানি শুরু হয় ৷ শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, 17 অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে শুনানি । গতকাল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানান, আজই অযোধ্যার জমি সংক্রান্ত বিবাদের শেষ শুনানি হবে ৷ এরপর আজ সকালে শুরু হয় মামলার শুনানি ৷ তার আগেই সংবাদ মাধ্যমের একটি অংশে খবর ছড়ায়, মামলা থেকে সরতে চেয়ে শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জ়াফর আহমেদ ফারুকি ৷ তাঁর উপর চাপ তৈরি করে হলফনামা জমা দিতে বাধ্য করা হয়েছে ৷ যদিও এই জল্পনাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয় সংবাদ মাধ্যমের অপর একটি অংশ ৷ পরে একটি সংবাদ সংস্থাকে অল ইন্ডিয়া বাবরি মসজিদ কমিটির (AIBMAC) আহ্বায়ক জ়াফারয়াব জিলানি জানান, ওয়াকফ বোর্ড মামলা থেকে সরতে চেয়ে আবেদন করেছে এমন কোনও তথ্য তাঁর কাছে নেই ৷

এর কোনও প্রভাব অবশ্য দৈনন্দিন শুনানিতে পড়েনি ৷ শুনানির শুরুতেই নিজেদের মনোভাব স্পষ্ট করে দেয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ ৷ সওয়াল-জবাবের জন্য এক আইনজীবী শীর্ষ আদালতের কাছে আরও সময় চাইলে প্রধান বিচারপতি বলেন, "বিষয়টি আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে শেষ হবে ৷ অনেক হয়েছে ৷" এরপর একাধিক নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকে আদালত কক্ষ ৷ কখনও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়ান দু'পক্ষের আইনজীবী ৷ কখনও আবার অযোধ্যা সংক্রান্ত বইয়ের নথি ছিঁড়ে দেন আইনজীবী ৷ শীর্ষ আদালতে নতুন প্রামাণ্য নথি হিসেবে একটি বই পেশ করার অনুমতি চান হিন্দু মহাসভার আইনজীবী বিকাশ সিং ৷ বইটি প্রাক্তন IPS অফিসার কিশোর কুণালের লেখা ৷ তাতে আপত্তি জানান সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী রাজীব ধবন ৷ তিনি বলেন, "এটা সম্পূর্ণ নতুন একটি বই ৷ যা রেকর্ডে আনতে চাইছেন তিনি (বিকাশ সিং)৷" পালটা বিকাশ জানান, আদালতের ভিতরে বইটি আনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ আর রামের আসল জন্মস্থানের ছবি রয়েছে বইটিতে ৷ তখন রাজীব বলেন, "আমি নথিটা ছিঁড়ে দেব ৷" তারপরই তা ছিঁড়ে দেন তিনি ৷ আইনজীবীদের এই ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন প্রধান বিচারপতি ৷ আদালত কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন ৷ উষ্মা প্রকাশ করে তিনি বলেন, "আদালতের শালীনতা লঙ্ঘিত হচ্ছে ৷ আমরা বেরিয়ে যাব ৷"

উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে মধ্যাহ্ণভোজের বিরতি হয় ৷ পরে নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে থাকেন ধবন ৷ তিনি বলেন, "আমি আদালতে ম্যাপ ছিঁড়েছি, সেটা ভাইরাল হয়ে গেছে ৷ আমি এ কাজ করেছি আদালতের নির্দেশেই ৷" নিজের এই দাবির পক্ষে যুক্তি দিয়ে ধবন বলেন, "বলেছিলাম, ছুড়ে ফেলে দেব ৷ কিন্তু, প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, আপনি ছিঁড়ে ফেলতে পারেন ৷ তার পরই আমি এ কাজ করি ৷ " প্রত্যুত্তরে প্রধান বিচারপতি বলেন, "ধাওয়ানের সঙ্গে আমরা একমত ৷ আমরা বলেছিলাম, আপনি যদি ছিঁড়ে ফেলতে চান, আপনাকে স্বাগত ৷" এরপর অবশ্য মসৃণভাবেই চলে শুনানি ৷ ইতিমধ্যে আদালতে রিপোর্ট পেশ করে মধ্যস্থতাকারী কমিটিও ৷ বিকেল চারটে নাগাদ শেষ হয় শুনানি ৷ আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত ৷

17 নভেম্বর প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেবেন রঞ্জন গগৈ ৷ 15 নভেম্বর আদালতে তাঁর শেষ কাজের দিন ৷ তার আগেই অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করতে চান তিনি ৷

দিল্লি, 16 অক্টোবর : 40 দিন পর শেষ হল অযোধ্যা মামলার দৈনন্দিন শুনানি ৷ আপাতত রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট ৷ তিন দিনের মধ্যে লিখিত বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে ৷ নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহেই বহু প্রতীক্ষিত এই মামলার রায়দানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত আইনজীবীদের একাংশের ৷

মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া ব্যর্থ হওয়ার পর 6 অগাস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার দৈনন্দিন শুনানি শুরু হয় ৷ শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, 17 অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে শুনানি । গতকাল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানান, আজই অযোধ্যার জমি সংক্রান্ত বিবাদের শেষ শুনানি হবে ৷ এরপর আজ সকালে শুরু হয় মামলার শুনানি ৷ তার আগেই সংবাদ মাধ্যমের একটি অংশে খবর ছড়ায়, মামলা থেকে সরতে চেয়ে শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জ়াফর আহমেদ ফারুকি ৷ তাঁর উপর চাপ তৈরি করে হলফনামা জমা দিতে বাধ্য করা হয়েছে ৷ যদিও এই জল্পনাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয় সংবাদ মাধ্যমের অপর একটি অংশ ৷ পরে একটি সংবাদ সংস্থাকে অল ইন্ডিয়া বাবরি মসজিদ কমিটির (AIBMAC) আহ্বায়ক জ়াফারয়াব জিলানি জানান, ওয়াকফ বোর্ড মামলা থেকে সরতে চেয়ে আবেদন করেছে এমন কোনও তথ্য তাঁর কাছে নেই ৷

এর কোনও প্রভাব অবশ্য দৈনন্দিন শুনানিতে পড়েনি ৷ শুনানির শুরুতেই নিজেদের মনোভাব স্পষ্ট করে দেয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ ৷ সওয়াল-জবাবের জন্য এক আইনজীবী শীর্ষ আদালতের কাছে আরও সময় চাইলে প্রধান বিচারপতি বলেন, "বিষয়টি আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে শেষ হবে ৷ অনেক হয়েছে ৷" এরপর একাধিক নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকে আদালত কক্ষ ৷ কখনও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়ান দু'পক্ষের আইনজীবী ৷ কখনও আবার অযোধ্যা সংক্রান্ত বইয়ের নথি ছিঁড়ে দেন আইনজীবী ৷ শীর্ষ আদালতে নতুন প্রামাণ্য নথি হিসেবে একটি বই পেশ করার অনুমতি চান হিন্দু মহাসভার আইনজীবী বিকাশ সিং ৷ বইটি প্রাক্তন IPS অফিসার কিশোর কুণালের লেখা ৷ তাতে আপত্তি জানান সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী রাজীব ধবন ৷ তিনি বলেন, "এটা সম্পূর্ণ নতুন একটি বই ৷ যা রেকর্ডে আনতে চাইছেন তিনি (বিকাশ সিং)৷" পালটা বিকাশ জানান, আদালতের ভিতরে বইটি আনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ আর রামের আসল জন্মস্থানের ছবি রয়েছে বইটিতে ৷ তখন রাজীব বলেন, "আমি নথিটা ছিঁড়ে দেব ৷" তারপরই তা ছিঁড়ে দেন তিনি ৷ আইনজীবীদের এই ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন প্রধান বিচারপতি ৷ আদালত কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন ৷ উষ্মা প্রকাশ করে তিনি বলেন, "আদালতের শালীনতা লঙ্ঘিত হচ্ছে ৷ আমরা বেরিয়ে যাব ৷"

উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে মধ্যাহ্ণভোজের বিরতি হয় ৷ পরে নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে থাকেন ধবন ৷ তিনি বলেন, "আমি আদালতে ম্যাপ ছিঁড়েছি, সেটা ভাইরাল হয়ে গেছে ৷ আমি এ কাজ করেছি আদালতের নির্দেশেই ৷" নিজের এই দাবির পক্ষে যুক্তি দিয়ে ধবন বলেন, "বলেছিলাম, ছুড়ে ফেলে দেব ৷ কিন্তু, প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, আপনি ছিঁড়ে ফেলতে পারেন ৷ তার পরই আমি এ কাজ করি ৷ " প্রত্যুত্তরে প্রধান বিচারপতি বলেন, "ধাওয়ানের সঙ্গে আমরা একমত ৷ আমরা বলেছিলাম, আপনি যদি ছিঁড়ে ফেলতে চান, আপনাকে স্বাগত ৷" এরপর অবশ্য মসৃণভাবেই চলে শুনানি ৷ ইতিমধ্যে আদালতে রিপোর্ট পেশ করে মধ্যস্থতাকারী কমিটিও ৷ বিকেল চারটে নাগাদ শেষ হয় শুনানি ৷ আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত ৷

17 নভেম্বর প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেবেন রঞ্জন গগৈ ৷ 15 নভেম্বর আদালতে তাঁর শেষ কাজের দিন ৷ তার আগেই অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করতে চান তিনি ৷

Visakhapatnam (Andhra Pradesh), Oct 16 (ANI): On the occasion of APJ Abdul Kalam's birth anniversary, students from various colleges held rally carrying 25,000 sq ft tricolor flag in Andhra Pradesh's Visakhapatnam. Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam was an aerospace scientist who served as the 11th President of India from 2002 to 2007. He was born and raised in Rameswaram, Tamil Nadu and studied physics and aerospace engineering.
Last Updated : Oct 16, 2019, 9:32 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.