দিল্লি, 19 অগাস্ট : ভোটারদের আধার নম্বর সংগ্রহ করতে সরকারের কাছ থেকে আইনি অনুমতি চাইল নির্বাচন কমিশন । নতুন ভোটার ও যাদের ইতিমধ্যেই ভোটার তালিকায় নাম আছে তাদের আধার নম্বর সংগ্রহ করা হবে । কমিশনের যুক্তি, আধার নম্বর থাকলে ভোটার তালিকা থেকে ভুয়ো ভোটারদের বাদ দেওয়া সহজ হবে ।
কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের কাছে একটি চিঠিতে কমিশন প্রস্তাব দিয়েছিল যাতে জনপ্রতিনিধি আইন সংশোধন করা হয় । এতে ভোটার হওয়ার জন্য নতুন আবেদনকারী এবং ভোটার তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে কমিশন আধার নম্বর চাইতে পারবে ।
2015 সালে আধার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জেরে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ থমকে যায় । কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়, আধারের সঙ্গে EPIC কার্ডের সংযোগ করানোর । যাতে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সহজ হয় ।
ভোটার তালিকাকে ত্রুটিমুক্ত করার লক্ষ্যে কমিশন 2015 সালের মার্চে ভোটারদের নির্বাচনী তথ্যের সঙ্গে আধার নম্বরগুলি সংযুক্ত করার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয় । National Electoral Roll Purification and Authentication Programme (NERPAP)-র আওতায় EPIC (ভোটার কার্ড)-র সঙ্গে আধার নম্বর সংযোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । এর ফলে ভোটার তালিকা থেকে ভুয়ো, অযোগ্য, জাল নাম বাদ যেত । তবে, প্রকল্প চালু হওয়ার পাঁচ মাস পর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই কাজ স্থগিত হয়ে যায় । সুপ্রিম কোর্ট রায়ে জানায় আধার নম্বর শুধু গণবণ্টন ব্যবস্থা ও LPG সংযোগের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ।
তবে কয়েকদিন আগে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে যে আধার নম্বর সংগ্রহের জন্য আইনি অনুমতি প্রয়োজন । এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টে যেহেতু স্পষ্ট করে দিয়েছে যে আধার নম্বর সংগ্রহের জন্য আইনি অনুমোদনের প্রয়োজন, তাই কমিশন নির্বাচনী আইনে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছে ।" NERPAP-র অধীনে ভোটাররা কমিশনের পোর্টাল বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অনলাইনে তাদের আধার নম্বরটি সংযোগ করতে পারবেন । তা ছাড়া একটি নির্দিষ্ট ইমেলে বা একটি নির্দিষ্ট নম্বরে SMS করে আধার নম্বর দেওয়া যাবে । তা ছাড়া ফোটোকপির সঙ্গে আধার ও ভোটার কার্ডের তথ্যের হার্ড কপি জমা দেওয়া যেতে পারে ।