ETV Bharat / bharat

কোভিড–19 প্রতিরোধে ডিজিটাল প্রযুক্তি - কোরোনাভাইরাস খবর

কোভিড–19 প্রতিরোধে ডিজিটাল পরিকাঠামো কীভাবে আমাদের সাহায্য করতে পারে ৷ তারই বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হল প্রতিবেদনে ৷

Digital technology to prevent Covid-19
কোভিড–19 প্রতিরোধে ডিজিটাল প্রযুক্তি
author img

By

Published : Apr 8, 2020, 4:31 PM IST

হায়দরাবাদ, 8 এপ্রিল : কোভিড–19 সংক্রমণের বিস্তার রুখতে হওয়া লকডাউন চলাকালীন এই সময়ে এর প্রভাব প্রতিহত করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে ডিজিটাল পরিকাঠামোকে মজবুত করতেই হবে ।

অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের একত্রীকরণ করা উচিত এবং নাগরিকদের গতিবিধি সংক্রান্ত বড় তথ্যের বিশ্লেষণ আরও ভাল কোয়ারান্টাইন নজরদারি করতে সাহায্য করবে । এমনকী কোথায় কোথায় কোরোনা ক্লাস্টার রয়েছে এবং ভাইরাস বাহক তথা ভেক্টররাই কারা, তা চিহ্নিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার করা যেতে পারে এবং ভবিষ্যতে যাতে আরও একাধিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তাতে সাহায্য করতে ।

বিশ্বজুড়ে নানা শহরে ইতিমধ্যেই এই মর্মে নানা ধরনের উদ্ভাবনীমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে, যাতেপ্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং অভঙ্গুর থাকা যায় । কোরোনা পাদুর্ভাবের ক্ষেত্রেও যাতে তাপ্রযোজ্য হয়, তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

মানব ইতিহাসে কোনও রোগ এত তাড়াতাড়ি এত বেশি জায়গায় ছড়িয়ে পড়েনি এবং এত বেশি মানুষের উপর প্রভাবও ফেলেনি । যেহেতু এই রোগের চিকিৎসাগত উপশম এখনও মেলেনি, তাই এখনও পর্যন্ত এটি গোটা জনসংখ্যার শুধুমাত্র 1 থেকে 10 শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ।

কেরালায় সন্দেহভাজন কোভিড-19 আক্রান্তদের হদিশ পেতে কল সেন্টারগুলিকে চালু রাখা হয়েছিল এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলেজেন্স (AI) নির্ভর অ্যাপের সাহায্যে সন্দেহভাজন আক্রান্তদের ভ্রমণ ইতিহাসের বিস্তারিত তথ্য, ফ্লোচার্টের সঙ্গে মন্ত্রকের কাছে নথিবদ্ধ সন্দেহভাজন আক্রান্তদের তথ্য মিলিয়ে দেখা সম্ভব হবে । কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য পুলিশের ডেটাবেস থেকে যে বিবিধ নথি মিলেছে, তার মধ্যে রয়েছে মানুষের মুখাবয়ব সংক্রান্ত তথ্য, মোবাইল ফোন ‘ট্রেস’ করে পাওয়া তথ্য এবং লোকেশন সংক্রান্ত তথ্য । আর এইসব কিছুকে ‘বিগ ডেটা অ্যানালিসিস’ পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করে একাধিক সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম তথ্য বের করা যেতে পারে ।

চিনে কোভিড–19 এর প্রকোপ ছড়ানোর কিছু সময় পরই তাইওয়ানে ন্যাশনাল হেলথ কম্যান্ড সেন্টার তৈরি করা হয়েছিল। সরকারের তরফে সেখানে আসা এবং যাওয়া ভ্রমণার্থীদের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল এবং ‘বিগ ডেটা অ্যানালিসিস’ পদ্ধতির মাধ্যমে সংক্রমিতদের চিহ্নিতও করা হয়েছিল । একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর ছড়ানোও শক্ত হাতে দমন করা হয়েছিল। ন্যাশনাল হেলথ ইনস্যুরেন্স নিয়মনীতি, অভিবাসন, কাস্টমস, হাসপাতাল পরিদর্শন, বিমান টিকিটের কিউ আর কোড প্রভৃতি নানা ধরনের তথ্যকে একত্রিত করে একটি ডেটাবেসও তৈরি করা হয়েছিল সেখানে ।

AI নির্ভর অ্যালগরিদম ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। এতে রোগীদের ভ্রমণ ইতিহাস জানতে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুবিধা হয়েছে। ‘বিগ ডেটা’–র মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ একক কোনও ব্যক্তির স্বাস্থ্যের হাল সংক্রান্ত তথ্য সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষীদের কাছেও পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এই সব বার্তা ‘পাস’ হিসাবে পাঠানো হয়েছিল । যে সব জায়গায় নভেল কোরোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ বেশি, সেখানে রোগের উপসর্গ যাদের যাদের আছে, মোবাইল ফোন ট্র‌্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাদের খোঁজ করে কোয়ারান্টাইন করা হয়েছে ।

ব্লুডট নামে কানাডার একটি সংস্থা প্রথম কোরোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ে সতর্কতা জারি করেছিল । প্রতিদিন এই সংস্থার AI প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ প্রতিবেদন, খবর এবং ব্লগ পোস্ট করা হয়েছিল কোরোনা নিয়ে এবং তাও আবার 65টি ভাষায় । 2019 সালের 31 ডিসেম্বর, এটি সতর্ক করেছিল যে চিনের ইউহানে SARS নামে একটি ভয়ঙ্কর রোগ ছড়িয়ে পড়তে চলেছে । এই হুঁশিয়ারি জারি হয়েছিল ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গনাইজেশনের তরফে কোভিড–19 কে ‘জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা’ হিসাবে ঘোষণা করার ন’দিন আগেই।

ব্লুডট সিস্টেম মান্দারিন ভাষায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আধিকারিকদের এই মর্মে সতর্ক করেছিল যে ইউহানের একটি বাজার থেকে ফেরার পর 27 জন মানুষ প্রবল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন । ব্লু ডটের 40 জন কর্মচারীর মধ্যে ছিলেন চিকিৎসক, পশু চিকিৎসক, সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ডেটা সায়েন্টিস্ট এবং সফটওয়্যার ডেভলপাররা । এরা ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিং এবং মেশিন লার্নিং প্রক্রিয়ার সাহায্যে 65টি ভাষায় প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলি বিশ্লেষণ করে দেখেছিলেন । কোথাও কোনও রোগের প্রাদুর্ভাব হলে তাদের কাছে সতর্কতামূলক বার্তা আসত । ব্লুডটই আমেরিকাকে 2016 সালে ব্রাজিল থেকে ছড়িয়ে পড়া জাইকা ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করেছিল । চিনে অন্তত 80 শতাংশ আর্থিক লেনদেনই হয় নগদহীনভাবে । তাঁরা এ কাজে ব্যবহার করেন আলি পে এবং উইচ্যাটের মতো অ্যাপ । চিনা আধিকারিকরা এই সব তথ্য ব্যবহার করছেন তাদের নাগরিকদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে, যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় । স্বাস্থ্যক্ষেত্রে AI –এর ইতিমধ্যেই ব্যবহার হচ্ছে নিউমোনিয়ার জেরে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির হদিশ পেতে এবং তার প্রকৃতি, ঘনত্ব এবং বিস্তার পরিমাপ করতে । সংগৃহীত তথ্য চিকিৎসকদের রোগীর স্বাস্থ্যের হাল এবং রোগের সঠিক ধরণ নির্ণয় করতে সাহায্য করছে । যেহেতু কোয়ারান্টাইনে সকলেই ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছেন এবং লকডাউন চলাকালীন বেশিরভাগ মানুষই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করছেন, তাই ক্লাউড প্রোভাইডার তথা পরিষেবা ঠিক কতটা পরিমাণে মিলছে, তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন সেই থেকেই যাচ্ছে ।

কিছু কিছু গবেষক এবং বেসরকারি সংস্থা, সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় ‘হেলথম্যাপ’–এর মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন যার মাধ্যমে স্থান, সময় এবং বিস্তারের ধরন অনুযায়ী রোগের প্রকোপ চাক্ষুষ করা যায় । কোরোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে 9,35,957 জনেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং 47,245 জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে । এখনও পর্যন্ত অন্তত 1,94,286 জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন । ভারতে বুধবার পর্যন্ত কোরোনাভাইরাস পজিটিভ ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 1,834 জন । এই তালিকায় বিদেশি নাগরিকরাও রয়েছেন । নতুন করে ভাইরাস ছড়িয়েছে 1,649জনের মধ্যে । এ সবই হল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া নথি । দেশের 27টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে কোরোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মোট সংখ্যার নিরিখে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি কোরোনা পজ়িটিভ রয়েছেন । সংখ্যাটা 302 জন । এর পরেই রয়েছে কেরল, 241জন ।

কোরোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বর্তমানে দেশে 21 দিনের লকডাউন চলছে ।

হায়দরাবাদ, 8 এপ্রিল : কোভিড–19 সংক্রমণের বিস্তার রুখতে হওয়া লকডাউন চলাকালীন এই সময়ে এর প্রভাব প্রতিহত করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে ডিজিটাল পরিকাঠামোকে মজবুত করতেই হবে ।

অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের একত্রীকরণ করা উচিত এবং নাগরিকদের গতিবিধি সংক্রান্ত বড় তথ্যের বিশ্লেষণ আরও ভাল কোয়ারান্টাইন নজরদারি করতে সাহায্য করবে । এমনকী কোথায় কোথায় কোরোনা ক্লাস্টার রয়েছে এবং ভাইরাস বাহক তথা ভেক্টররাই কারা, তা চিহ্নিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার করা যেতে পারে এবং ভবিষ্যতে যাতে আরও একাধিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তাতে সাহায্য করতে ।

বিশ্বজুড়ে নানা শহরে ইতিমধ্যেই এই মর্মে নানা ধরনের উদ্ভাবনীমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে, যাতেপ্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং অভঙ্গুর থাকা যায় । কোরোনা পাদুর্ভাবের ক্ষেত্রেও যাতে তাপ্রযোজ্য হয়, তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

মানব ইতিহাসে কোনও রোগ এত তাড়াতাড়ি এত বেশি জায়গায় ছড়িয়ে পড়েনি এবং এত বেশি মানুষের উপর প্রভাবও ফেলেনি । যেহেতু এই রোগের চিকিৎসাগত উপশম এখনও মেলেনি, তাই এখনও পর্যন্ত এটি গোটা জনসংখ্যার শুধুমাত্র 1 থেকে 10 শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ।

কেরালায় সন্দেহভাজন কোভিড-19 আক্রান্তদের হদিশ পেতে কল সেন্টারগুলিকে চালু রাখা হয়েছিল এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলেজেন্স (AI) নির্ভর অ্যাপের সাহায্যে সন্দেহভাজন আক্রান্তদের ভ্রমণ ইতিহাসের বিস্তারিত তথ্য, ফ্লোচার্টের সঙ্গে মন্ত্রকের কাছে নথিবদ্ধ সন্দেহভাজন আক্রান্তদের তথ্য মিলিয়ে দেখা সম্ভব হবে । কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য পুলিশের ডেটাবেস থেকে যে বিবিধ নথি মিলেছে, তার মধ্যে রয়েছে মানুষের মুখাবয়ব সংক্রান্ত তথ্য, মোবাইল ফোন ‘ট্রেস’ করে পাওয়া তথ্য এবং লোকেশন সংক্রান্ত তথ্য । আর এইসব কিছুকে ‘বিগ ডেটা অ্যানালিসিস’ পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করে একাধিক সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম তথ্য বের করা যেতে পারে ।

চিনে কোভিড–19 এর প্রকোপ ছড়ানোর কিছু সময় পরই তাইওয়ানে ন্যাশনাল হেলথ কম্যান্ড সেন্টার তৈরি করা হয়েছিল। সরকারের তরফে সেখানে আসা এবং যাওয়া ভ্রমণার্থীদের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল এবং ‘বিগ ডেটা অ্যানালিসিস’ পদ্ধতির মাধ্যমে সংক্রমিতদের চিহ্নিতও করা হয়েছিল । একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর ছড়ানোও শক্ত হাতে দমন করা হয়েছিল। ন্যাশনাল হেলথ ইনস্যুরেন্স নিয়মনীতি, অভিবাসন, কাস্টমস, হাসপাতাল পরিদর্শন, বিমান টিকিটের কিউ আর কোড প্রভৃতি নানা ধরনের তথ্যকে একত্রিত করে একটি ডেটাবেসও তৈরি করা হয়েছিল সেখানে ।

AI নির্ভর অ্যালগরিদম ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। এতে রোগীদের ভ্রমণ ইতিহাস জানতে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুবিধা হয়েছে। ‘বিগ ডেটা’–র মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ একক কোনও ব্যক্তির স্বাস্থ্যের হাল সংক্রান্ত তথ্য সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষীদের কাছেও পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এই সব বার্তা ‘পাস’ হিসাবে পাঠানো হয়েছিল । যে সব জায়গায় নভেল কোরোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ বেশি, সেখানে রোগের উপসর্গ যাদের যাদের আছে, মোবাইল ফোন ট্র‌্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাদের খোঁজ করে কোয়ারান্টাইন করা হয়েছে ।

ব্লুডট নামে কানাডার একটি সংস্থা প্রথম কোরোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ে সতর্কতা জারি করেছিল । প্রতিদিন এই সংস্থার AI প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ প্রতিবেদন, খবর এবং ব্লগ পোস্ট করা হয়েছিল কোরোনা নিয়ে এবং তাও আবার 65টি ভাষায় । 2019 সালের 31 ডিসেম্বর, এটি সতর্ক করেছিল যে চিনের ইউহানে SARS নামে একটি ভয়ঙ্কর রোগ ছড়িয়ে পড়তে চলেছে । এই হুঁশিয়ারি জারি হয়েছিল ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গনাইজেশনের তরফে কোভিড–19 কে ‘জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা’ হিসাবে ঘোষণা করার ন’দিন আগেই।

ব্লুডট সিস্টেম মান্দারিন ভাষায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আধিকারিকদের এই মর্মে সতর্ক করেছিল যে ইউহানের একটি বাজার থেকে ফেরার পর 27 জন মানুষ প্রবল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন । ব্লু ডটের 40 জন কর্মচারীর মধ্যে ছিলেন চিকিৎসক, পশু চিকিৎসক, সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ডেটা সায়েন্টিস্ট এবং সফটওয়্যার ডেভলপাররা । এরা ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিং এবং মেশিন লার্নিং প্রক্রিয়ার সাহায্যে 65টি ভাষায় প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলি বিশ্লেষণ করে দেখেছিলেন । কোথাও কোনও রোগের প্রাদুর্ভাব হলে তাদের কাছে সতর্কতামূলক বার্তা আসত । ব্লুডটই আমেরিকাকে 2016 সালে ব্রাজিল থেকে ছড়িয়ে পড়া জাইকা ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করেছিল । চিনে অন্তত 80 শতাংশ আর্থিক লেনদেনই হয় নগদহীনভাবে । তাঁরা এ কাজে ব্যবহার করেন আলি পে এবং উইচ্যাটের মতো অ্যাপ । চিনা আধিকারিকরা এই সব তথ্য ব্যবহার করছেন তাদের নাগরিকদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে, যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় । স্বাস্থ্যক্ষেত্রে AI –এর ইতিমধ্যেই ব্যবহার হচ্ছে নিউমোনিয়ার জেরে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির হদিশ পেতে এবং তার প্রকৃতি, ঘনত্ব এবং বিস্তার পরিমাপ করতে । সংগৃহীত তথ্য চিকিৎসকদের রোগীর স্বাস্থ্যের হাল এবং রোগের সঠিক ধরণ নির্ণয় করতে সাহায্য করছে । যেহেতু কোয়ারান্টাইনে সকলেই ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছেন এবং লকডাউন চলাকালীন বেশিরভাগ মানুষই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করছেন, তাই ক্লাউড প্রোভাইডার তথা পরিষেবা ঠিক কতটা পরিমাণে মিলছে, তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন সেই থেকেই যাচ্ছে ।

কিছু কিছু গবেষক এবং বেসরকারি সংস্থা, সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় ‘হেলথম্যাপ’–এর মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন যার মাধ্যমে স্থান, সময় এবং বিস্তারের ধরন অনুযায়ী রোগের প্রকোপ চাক্ষুষ করা যায় । কোরোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে 9,35,957 জনেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং 47,245 জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে । এখনও পর্যন্ত অন্তত 1,94,286 জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন । ভারতে বুধবার পর্যন্ত কোরোনাভাইরাস পজিটিভ ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 1,834 জন । এই তালিকায় বিদেশি নাগরিকরাও রয়েছেন । নতুন করে ভাইরাস ছড়িয়েছে 1,649জনের মধ্যে । এ সবই হল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া নথি । দেশের 27টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে কোরোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মোট সংখ্যার নিরিখে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি কোরোনা পজ়িটিভ রয়েছেন । সংখ্যাটা 302 জন । এর পরেই রয়েছে কেরল, 241জন ।

কোরোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বর্তমানে দেশে 21 দিনের লকডাউন চলছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.