শ্রীনগর , 5 অগাস্ট : জম্মু-কাশ্মীর থেকে 370 প্রত্যাহারের পর জম্মু ও কাশ্মীরকে ভাগ করা হয় দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৷ এরপর থেকেই সেখানে শুরু হয় লকডাউন ৷ আর এই 370 প্রত্যাহারের পর থেকেই সেখানে অর্থনৈতিক ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সঙ্কট তৈরি হয় ৷
370 প্রত্যাহার করার আগে জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন সূচকগুলি - আয়ু , শিশু মৃত্যুর হার, সাক্ষরতা এবং দারিদ্রতা থেকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন , দেশের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় রাজ্যের চেয়ে ভাল ছিল । একমাত্র উদ্বেগজনক বিষয় হ'ল বেসরকারী বিনিয়োগের অভাব ৷ যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, 370 ধারার জন্য নয়, অনিশ্চিত রাজনৈতিক কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ।
জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি BJP সরকারের একতরফা সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছিল । তারা আবারও BJP - র বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলে 370 ধারা প্রত্যাহারের এক বছর পরেও কতটা উন্নতি হয়েছে ৷ কাশ্মীরের পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, এখনও তাদের বিশেষ মর্যাদা পুনরুদ্ধারে আগ্রহী ৷ তাদের মতে, 370 ধারা প্রত্যাহার করে BJP ও RSS তাদের উদ্দেশ্য পূরণ করেছে ৷ কোনও উন্নয়ন করেনি ৷
PDP নেতা রউফ দার বলেন, " 370 ধারা বাতিলের পর BJP ও RSS বলেছিল জম্মু-কাশ্মীরে উন্নয়ন হবে ৷ কিন্তু , আদৌও তা হয়নি ৷ শুধুমাত্র তাদের উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে ৷ পশ্চিম পাকিস্তানের শরণার্থীদের পুনর্বাসন হোক, আবাসিক শংসাপত্র জারি করা হোক ৷ অথচ, এখানে বেকারত্ব রেড়েছে ৷ অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে গেছে ৷ জম্মু - কাশ্মীরের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে গেছে ৷ "
অর্থনীতি ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ এয়জাজ় আয়ুব বলেন, " 5 অগাস্টের পর থেকে বন্ধের ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বন্ধ হয়ে যায় ৷ এরপর কোরোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে আরও খারাপ হয় পরিস্থিতি ৷ এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীরে প্রায় 40 - 45 হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ৷ জম্মু ও কাশ্মীরের অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে পড়েছে ৷ সেখানের GDP এসে ঠেকেছে - 20 ৷ বেকারত্ব বেড়েছে ৷ হয়নি কোনও বিনিয়োগও ৷ এমনকী গ্লোবাল ইনভেসমেন্ট সামিটও হয়নি ৷ বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অবকাঠামোগত রসদ থাকতে হয় ৷ 370 ধারা প্রত্যাহার জম্মু ও কাশ্মীরে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা কিংবা বিনিয়োগ আনবে না ৷ যতক্ষণ না পর্যন্ত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসছে ৷ "