সিয়াচেন কিংবা কাশ্মীরের মতো হাই অল্টিটিউড এলাকায় উড়তে পারে ৷ অভিযান এবং উদ্ধারকাজে ব্যবহার করতে পারে নৌসেনা ৷ নাইট ভিশন ডিভাইজ় থাকায় এই কপ্টারে চেপে রাতে নজরদারি করা যায় ৷ আবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হিসেবেও ব্যবহার হয় ৷ সবমিলিয়ে ভারতের তিন বাহিনীর ভরসা ধ্রুব হেলিকপ্টার ৷
এই হেলিকপ্টার তৈরি করে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (HAL) । কপ্টারটির ডিজ়াইন করেছে রোটারি উইং রিসার্চ অ্যান্ড ডিজ়াইন সেন্টার (RWR&DC)।
ভারতীয় প্রযুক্তিতে হালকা হেলিকপ্টার তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয় 1979 সালের মে মাসে । আর কেন্দ্রীয় সরকার 1984 সালের নভেম্বরে HAL-কে এই কপ্টার তৈরির বরাত দেয় । পশ্চিম জার্মানের কপ্টার প্রস্তুতকারক MBB-র সহযোগিতায় এর ডিজ়াইন হয় । 1992 সালের 20 অগাস্ট আকাশে প্রথম ওড়ে ধ্রুব । সেদিন বেঙ্গালুরুতে ধ্রুবর উড়ান দেখতে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি কে আর নারায়ণন ।
কিন্তু, তখনই সেনার হাতে কপ্টারটি তুলে দেওয়া যায়নি নানা কারণে । সেনার তরফে কপ্টারের ডিজ়াইন নিয়ে নানা চাহিদা রাখা হয় ।
শেষপর্যন্ত সেনাবাহিনীর হাতে ধ্রুব তুলে দেওয়া হয় 2002 সালের মার্চে । বর্তমানে নৌসেনা, বায়ুসেনা এবং সেনা-তিন বাহিনীর কাছেই রয়েছে এই কপ্টার । ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের কাছেও রয়েছে ধ্রুব ৷
বর্তমানে প্রায় 300টির মতো ধ্রুব কপ্টার রয়েছে ভারতের আস্তিনে । একটি কপ্টার নির্মাণে খরচ পড়ে প্রায় 41 কোটি টাকা । সামরিক এবং অসামরিক-দুই ক্ষেত্রেই ব্যবহারের উপযোগী করে ধ্রুবর ডিজ়াইন করা হয়েছে । ভারতের তৈরি এই কপ্টার নেপাল এবং ইজ়রায়েলে রপ্তানি করা হয়েছে ।
ধ্রুবর বৈশিষ্ট্য-
- স্ক্রু সদস্য -2
- যাত্রী বহন ক্ষমতা- 12 জন
- দৈর্ঘ্য- 15.87
- প্রস্থ- 3.15 মিটার
- উচ্চতা- 4.98 মিটার
- মোট ওজন- 4,445 কেজি
- সবমিলিয়ে বহন ক্ষমতা- 5500 কেজি