ETV Bharat / bharat

দিল্লির সরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের অভাবে মৃত সদ্যোজাত - Newborn dies in hospital

গতরাতে দিল্লির মালভিয়া নগরে একটি সরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর না থাকায় মৃত্যু হল এক নবজাতকের । ওই নবজাতকের মৃত্যুর পর হাসপাতালের নার্সকে আটকে রাখে মৃতের পরিবারের সদস্যরা।

মৃত
মৃত
author img

By

Published : Sep 18, 2020, 8:24 PM IST

দিল্লি, 18 সেপ্টেম্বর: সরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট না থাকায় মৃত্যু হল এক প্রি ম্যাচিওর সদ্যোজাতের । দিল্লির মালভিয়া নগরের পণ্ডিত মদন মোহন সরকারি হাসপাতালের ঘটনা । গতকাল বিকেলে জন্ম হয় ওই সদ্যোজাতের । জন্মের পর অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখার প্রয়োজন পড়ে । কিন্তু ওই হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট না থাকায় তাকে তৎক্ষণাৎ স্থানান্তরিত করা হয় সফদরজং হাসপাতালে । কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি । ঘটনায় ওই সরকারি হাসপাতালের এক নার্সকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে মৃত নবজাতকের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ।

পণ্ডিত মদন মোহন হাসপাতালের CMO এম এস মাধব বলেন, "আমাদের হাসপাতালে গতকাল ওই শিশুটি জন্মায় । জন্মের সময় তার ওজন এক কেজি ছিল । তাকে বাঁচানোর জন্য ভেন্টিলেটর সাপোর্টের দরকার ছিল । কিন্তু আমাদের হাসপাতালে যেহেতু ভেন্টিলেটর নেই তাই আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ওই সদ্যোজাতকে সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করি । কিন্তু এই সবের মাঝেই মৃত্যু হয় ওই সদ্যোজাতের । চিকিৎসক আশিস এবং নার্স অনুরাধা সেখানে যান । চিকিৎসক আশিসকে মারধর করেন মৃত নবজাতকের পরিবারের লোকরা । তিনি সেখান থেকে কোনওক্রমে পালিয়ে আসেন । কিন্তু নার্সকে আটকে রাখেন তাঁরা ।" তবে পরে অবশ্য এম এস মাধব সফদরজং হাসপাতালে বেড খালি না থাকার কারণেই ওই সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন । জানান, সফদরজং হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল যে সেখানে কোনও বেড খালি নেই ।

চিকিৎসক বলেন, "সফদরজং হাসপাতালের তরফে ওই সদ্যোজাতের পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট যুক্ত বেড না থাকার কথা জানানো হয়েছিল । তাই সদ্যোজাতকে জেনেরাল ওয়ার্ডেই ভরতি করতে হবে । ওই শিশুর যদি কিছু হয়ে যায় তবে সেই দায়িত্ব পরিবারকেই নিতে হবে । এই মর্মে পরিবারের সদস্যদের কাছে অনুমতিও চাওয়া হয় । কিন্তু সদ্যোজাতের পরিবারের সদস্যরা তাতেও রাজি হননি । এরই মধ্যে মারা যায় নবজাতক ।"

স্থানীয় বিধায়ক সোমনাথ ভারতি ওই সরকারি হাসপাতালে ICU না থাকার কথা স্বীকার করেছেন । যদিও ওই হাসপাতালে মাতৃ ও শিশু বিভাগে অনেক রোগীই ভরতি হন । তবুও নবজাতকদের জন্য ICU নেই । তবে এই ঘটনার পর হাসপাতালে এই বছরের মধ্যেই ICU তৈরি করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক ।

দিল্লি, 18 সেপ্টেম্বর: সরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট না থাকায় মৃত্যু হল এক প্রি ম্যাচিওর সদ্যোজাতের । দিল্লির মালভিয়া নগরের পণ্ডিত মদন মোহন সরকারি হাসপাতালের ঘটনা । গতকাল বিকেলে জন্ম হয় ওই সদ্যোজাতের । জন্মের পর অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখার প্রয়োজন পড়ে । কিন্তু ওই হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট না থাকায় তাকে তৎক্ষণাৎ স্থানান্তরিত করা হয় সফদরজং হাসপাতালে । কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি । ঘটনায় ওই সরকারি হাসপাতালের এক নার্সকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে মৃত নবজাতকের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ।

পণ্ডিত মদন মোহন হাসপাতালের CMO এম এস মাধব বলেন, "আমাদের হাসপাতালে গতকাল ওই শিশুটি জন্মায় । জন্মের সময় তার ওজন এক কেজি ছিল । তাকে বাঁচানোর জন্য ভেন্টিলেটর সাপোর্টের দরকার ছিল । কিন্তু আমাদের হাসপাতালে যেহেতু ভেন্টিলেটর নেই তাই আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ওই সদ্যোজাতকে সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করি । কিন্তু এই সবের মাঝেই মৃত্যু হয় ওই সদ্যোজাতের । চিকিৎসক আশিস এবং নার্স অনুরাধা সেখানে যান । চিকিৎসক আশিসকে মারধর করেন মৃত নবজাতকের পরিবারের লোকরা । তিনি সেখান থেকে কোনওক্রমে পালিয়ে আসেন । কিন্তু নার্সকে আটকে রাখেন তাঁরা ।" তবে পরে অবশ্য এম এস মাধব সফদরজং হাসপাতালে বেড খালি না থাকার কারণেই ওই সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন । জানান, সফদরজং হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল যে সেখানে কোনও বেড খালি নেই ।

চিকিৎসক বলেন, "সফদরজং হাসপাতালের তরফে ওই সদ্যোজাতের পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট যুক্ত বেড না থাকার কথা জানানো হয়েছিল । তাই সদ্যোজাতকে জেনেরাল ওয়ার্ডেই ভরতি করতে হবে । ওই শিশুর যদি কিছু হয়ে যায় তবে সেই দায়িত্ব পরিবারকেই নিতে হবে । এই মর্মে পরিবারের সদস্যদের কাছে অনুমতিও চাওয়া হয় । কিন্তু সদ্যোজাতের পরিবারের সদস্যরা তাতেও রাজি হননি । এরই মধ্যে মারা যায় নবজাতক ।"

স্থানীয় বিধায়ক সোমনাথ ভারতি ওই সরকারি হাসপাতালে ICU না থাকার কথা স্বীকার করেছেন । যদিও ওই হাসপাতালে মাতৃ ও শিশু বিভাগে অনেক রোগীই ভরতি হন । তবুও নবজাতকদের জন্য ICU নেই । তবে এই ঘটনার পর হাসপাতালে এই বছরের মধ্যেই ICU তৈরি করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.