দিল্লি, 8 ফেব্রুয়ারি : শুরু হচ্ছে দিল্লিতে ভোটগ্রহণ ৷ আজ সকাল 8টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ ৷ 2015-র মতো এবারও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার লক্ষ্যে কোমর বেঁধে ভোটযুদ্ধে নেমেছে আম আদমি পার্টি ৷ BJP-ও খামতি রাখেনি প্রচারে ৷ তারাও চাইছে 20 বছর আগের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ৷ দিল্লির হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদির দল ৷
দিল্লি বিধানসভায় আসনসংখ্যা 70 ৷ এবারের ভোটের ময়দানে ভাগ্য পরীক্ষা হতে চলেছে মোট 672 জন প্রার্থীর ৷ নির্বাচনী প্রক্রিয়া যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা যায়, তার জন্য সেখানে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ৷ মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও আধা সেনা ৷
2015-র নির্বাচনে কেজরিওয়াল ও তাঁর দল পেয়েছিল 67টি আসন ৷ BJP পেয়েছিল মাত্র 3টি ৷ তবে লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি কেন্দ্রের মধ্যে সাতটিই নিজেদের দখলে রেখেছিল BJP ৷ লোকসভা নির্বাচনের এই ফল এবারের ভোটেও বজায় রাখতে পারবে বলে আশা রাখছে BJP ৷
আরও পড়ুন : দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে এগিয়ে কেজরিওয়াল, কিন্তু কেন ?
গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির ঝুলিতে এসেছিল 54.3 শতাংশ ভোট, আর BJP পেয়েছিল 32 শতাংশ ৷ মোট ভোটের মাত্র 9.6 শতাংশই ধরে রাখতে পেরেছিল কংগ্রেস দল ৷
নির্বাচনের জন্য় গোটা দিল্লি মুড়ে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার বলয়ে ৷ শাহিনবাগ ও অন্য স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি বাহিনী ৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও শাহিনবাগ আন্দোলনের মাঝেই দিল্লির প্রায় 1 কোটি 47 লাখ ভোটার তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন ৷ গতবারের মতো এবারের নির্বাচন যুদ্ধ ত্রিমুখী ৷ শাসকদল আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস ও BJP ৷ কংগ্রেস খাতায় কলমে থাকলেও মূলত লড়াইটা হবে AAP বনাম BJP ৷ মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ৷
আরও পড়ুন : দেশের উন্নয়ন দিল্লির ভোটের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে : মোদি
শাহিনবাগের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকরিক ওই এলাকার পাঁচটি বুথকেই অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ৷ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের আস্থা অর্জন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকরিক রণবীর সিং ৷ এবারের ভোটে 1 কোটি 47 লাখ ভোটারের মধ্যে 18-19 বছরের ভোটারের সংখ্যা রয়েছে 2 লাখ 32 হাজার ৷ আরও পড়ুন : ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতেই কি 'টুকরে টুকরে' গ্যাংকে সমর্থন ? কেজরিওয়ালকে কটাক্ষ নাড্ডার
নির্বাচনে যাতে কোনওরকম অশান্তির পরিবেশ তৈরি না হয় তার জন্য দিল্লিতে মোট 190 বাহিনী সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ৷ 2019 লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় চারগুণ ৷ সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ সশস্ত্র পুলিশ ছাড়াও স্পর্শকাতর ওই বুথগুলিতে আধাসেনা বাহিনীও মোতায়েন থাকবে ৷
ওখলা বিধানসভা কেন্দ্রের শাহিনবাগ এবারের নির্বাচনে যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে মনে করছে সমস্ত রাজনৈতিক শিবিরই ৷ কেউ পক্ষে, কেউ বিপক্ষে, সকলেই শাহিনবাগকে নিয়ে নিজেদের মতো করে ভোটের তাস সাজিয়েও নিয়েছে ৷ তবে শেষ হাসি কে হাসবে তা জানা যাবে 11 ফেব্রুয়ারির ভোটগণনার পরই ৷