দিল্লি, 7 জানুয়ারি : নির্ভয়াকাণ্ডে চার দোষীর ফাঁসির নির্দেশ দিল দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ় কোর্ট । আগামী 22 জানুয়ারি সকাল 7টায় ফাঁসি দেওয়া হবে তাদের ।
16 ডিসেম্বর 2012 । দক্ষিণ দিল্লিতে সিনেমা দেখে বাড়ি ফেরার সময় বেসরকারি বাসে ধর্ষিত হন নির্ভয়া । বাসে ছ'জন তাঁকে ধর্ষণ করার পর রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয় ।
17 ডিসেম্বর, 2012 । ছ’জন অপরাধীর মধ্যে চারজন রাম সিং, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা এবং মুকেশ সিংকে শনাক্ত করা হয় । পরদিনই গ্রেপ্তার হয় চারজন । 21 ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হয় পাঁচ নম্বর অভিযুক্ত অক্ষয় ঠাকুর । 29 ডিসেম্বর, 2012 সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান নির্ভয়া । চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করলেও তাঁর শরীরের ক্ষত গভীর হওয়ায় মৃত্যুর কাছে হেরে যান ।
দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ । দোষীদের শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয় দেশ । শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া ।
গত সাত বছরে একাধিকবার শুনানির পর 2019-এর ডিসেম্বর মাসে নির্ভয়া মামলার চার দোষীর ফাঁসি হতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয় । তিহার সংশোধনাগারে সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয় । ফাঁসির জন্য বক্সার কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে 10টি দড়ি চেয়ে পাঠায় তিহার কর্তৃপক্ষ । জল্লাদ চেয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে আবেদনও জানায় তারা । তিহার সংশোধনাগারে ফাঁসিকাঠ থেকে 100 কেজির ডামি ঝুলিয়ে যাচাই করে নেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছিল যে তা কতটা ভার বহনে সক্ষম । জল্পনা চলছিল নির্ভয়ার ধর্ষণের দিনই ফাঁসি দেওয়া হতে পারে তাদের । কিন্তু তাদের মধ্যে একজনের প্রাণ ভিক্ষার আবেদনের শুনানি 17 জিসেম্বর হওয়ায় সেই জল্পনা ভেস্তে যায় । তারপর থেকেই এই বহুপ্রতিক্ষিত মামলার রায় নিয়ে জল্পনা চলছিল ।
তিহার সংশোধনাগারেই ফাঁসি হবে মূল দোষী অক্ষয় সিং, মুকেশ সিং ও বিনয় শর্মা ও পবন গুপ্তার । যাদের মধ্যে তিহারে আগে থেকেই ছিল অক্ষয়, মুকেশ ও বিনয় । পবন গুপ্তা ছিল মন্ডোলি সংশোধনাগারে । সেখান থেকে ডিসেম্বরেই তাকে আনা হয় তিহারে ।
পাশাপাশি আজ আদালত জানায় দোষীদের কাছে 14 দিন সময় রয়েছে । এর মধ্যে তারা প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটের পিটিশনও করতে পারেন ।