বেঙ্গালুরু, 31 জুলাই : নিখোঁজ হওয়া CCD-র প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার ভি জি সিদ্ধার্থর মৃতদেহ উদ্ধার হল । বেঙ্গালুরু থেকে 375 কিলোমিটার দূরে ম্যাঙ্গালোরে নেত্রবতী নদীতে তল্লাশি চালিয়ে দেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ ।
ভারতের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ও কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণর জামাই নিখোঁজ ছিলেন সোমবার থেকেই । সেদিন ম্যাঙ্গালোরে নেত্রবতী নদীর ব্রিজে হঠাৎই কারও সঙ্গে কথা বলতে বলতে গাড়ি থেকে নেমে যান তিনি । এরপর আর ফিরে আসেননি । ফোনও বন্ধ থাকায় তাঁর চালক তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারেনি । তারপরেই পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান চালক ৷ জানানো হয় পুলিশকেও৷ এরপরই খোঁজ শুরু হয় তাঁর । তল্লাশি চালাতে নদীতে নামানো হয় বোট ।
এরই মাঝে গতকাল পুলিশি তল্লাশিতে সামনে আসে কর্মচারী ও বোর্ড মেম্বারদের উদ্দেশ্যে লেখা সিদ্ধার্থর একটি চিঠি । তাতে লেখা, "আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছি । অনেক দিন ধরে লড়াই করেছি । কিন্তু আজ আমি ছেড়ে দিলাম । আপনাদের প্রত্যেকের কাছে আমার অনুরোধ, নতুন ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে এই ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যান ৷ শক্ত থাকুন ৷ আমার টিম, অডিটর ও সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট আমার আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে কিছু জানেন না । কিন্তু কাউকে ঠকানোর কোনও ইচ্ছে বা উদ্দেশ্য আমার ছিল না৷ একজন উদ্যোগপতি হিসেবে আমি ব্যর্থ ৷" পাশাপাশি আয়কর দপ্তরের DG তাঁকে চাপে রেখেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি ।
পুলিশ আগের থেকেই অনুমান করে যে সিদ্ধার্থ হয়তো মারাত্মক কোনও পথই বেছে নিয়েছেন ৷ কারণ উদ্ধারকারী বোট, ডগ স্কোয়াড, ডুবুরি প্রত্যকের সাহায্যে কর্নাটকের সেই এলাকাটি তন্নতন্ন করে খুঁজেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জামাইয়ের খোঁজ মেলেনি ৷ এরই মধ্যে স্থানীয় দুই বাসিন্দার বয়ানে পুলিশের সেই অনুমান আরও বদ্ধপরিকর হয় ।
গতকাল তল্লাশি চালোনোর সময় নেত্রবতী নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার এক মৎস্যজীবী জানিয়েছিলেন, সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ এক ব্যক্তিকে উল্লালা সেতু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখেন তিনি । ঘটনাটি দেখেই তিনি ছুটে বাঁচাতে যান । কিন্তু ওই ব্যক্তি ঝাঁপ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এত গভীরে চলে যান, তাঁর কাছে পৌঁছানো যায়নি ৷ যদিও 65 বছরের এই মৎস্যজীবী জানাতে পারেননি ওই ব্যক্তি আসলে কে? এরপর অপর এক ব্যক্তিও কাউকে নেত্রবতী নদীতে ঝাঁপ দিতে দেখেছেন বলে দাবি করেন ৷