কথায় আছে, ঠেলায় না পড়লে বেড়াল গাছে ওঠে না ৷ বেড়ালের গাছে ওঠার গল্প কম-বেশি সবাই জানে ৷ তবে, কুমিরের গাছে ওঠার গল্প সিংহভাগের কাছেই অজানা ৷ কুমিরের মতো সরীসৃপ প্রাণী আবার গাছে উঠতে পারে নাকি ? এই প্রশ্ন নিশ্চই ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে ৷ টিভির পর্দায় বা সোশাল মিডিয়ার সৌজন্যে আমরা প্রায়ই কুমিরের কার্যকলাপ দেখতে পাই ৷ দুদিকে দাঁড়িয়ে সারি সারি গাড়ি ৷ আর রাস্তার মাঝখান দিয়ে বহাল তবিয়তে হেঁটে চলেছে কুমির ৷ এছাড়াও শীতকালে যখন চিড়িয়াখানায় ঢুঁ মারা হয়, তখনও দেখা মেলে কুমিরের ৷ জল থেকে উঠে এসে রোদ পোহাতে থাকে তারা ৷ কিন্তু, কোনও কুমির আপনার চোখের সামনে গাছে উঠে গেল ! এমন দৃশ্যের সাক্ষী আপনি হননি নিশ্চয় ৷
একটি সমীক্ষায় কুমিরের গাছে ওঠার তথ্য সামনে এসেছে ৷ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও উত্তর অ্যামেরিকায় প্রায় 6 প্রজাতির কুমিরের উপর গবেষণা চালায় একটি দল ৷ তারাই সামনে আনে এই তথ্য ৷ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কুমিরও গাছে উঠতে পারে ৷ সেই গবেষণা থেকে জানা গেছে, মাঝারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক কুমির গাছে প্রায় 6 ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উঠতে পারে ৷ আর ছোটো কুমির 30 ফুট পর্যন্ত ৷
যে সমস্ত প্রাণীরা পর্বত বা গাছে উঠতে পারে তাদের শরীরের গঠন এক ধরনের হয় ৷ আর সরীসৃপদের দেহের গঠন আর এক রকমের হয় ৷ কুমিরদের পিঠের চামড়ার ভিতর হাড়ের মতো শক্ত পাত থাকে ৷ ঘাড় বিশেষ বাঁকাতে পারে না তারা ৷ সব কুমিরই আকৃতি ও জীববিজ্ঞানের নিয়মানুযায়ী একই রকমের হয় ৷ কিন্তু তাদের আকার, প্রকৃতি, আচরণ, বাসস্থানের ধরন প্রজাতি অনুসারে বিভিন্ন হয় ৷ গবেষণায় দেখে গিয়েছে, যে সব কুমিরের রক্ত ঠান্ডা সাধারণত তারাই গাছে ওঠে ৷ গাছের উপরে উঠে শরীরে রোদ নেয় ৷ শরীরের তাপমাত্রা নিযন্ত্রণ করার জন্য তারা এমন করে থাকে ৷ যে সমস্ত অঞ্চলে কুমির হামেশাই দেখা যায়, সেই সমস্ত এলাকায় এই দৃশ্য বেশি চোখে পড়ে ৷