দিল্লি , 9 সেপ্টেম্বর : বিমানে বাড়ছে যাত্রীর সংখ্যা ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিমানে যাত্রার সময় পুনরায় খাবার দেওয়া পরিষেবা চালুর নির্দেশিকা দেওয়ার পর থেকে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে ৷ এয়ার ইন্ডিয়া বিমান সংস্থা এই পরিষেবা চালু করে দিয়েছে ৷ সংস্থার ক্রু সদস্যরা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকলস(SOPs) ও কোরোনা ভাইরাস সম্পর্কিত সমস্ত গাইডলাইন মেনে যাত্রীদের পরিষেবা দিচ্ছে ৷
এয়ার ইন্ডিয়া বিমান সংস্থার ক্রু সদস্যরা PPE কিট পরে যাত্রীদের পরিষেবা দিচ্ছে ৷ পাশাপাশি গ্লাভস ও মাস্কও বারবার পরিবর্তন করছে ৷ এমনটাই জানালেন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান সেবিকা অস্মিত ৷ তিনি বলেন , " সরকারের তরফে বিমানে পুনরায় খাবারের পরিষেবা চালুর নির্দেশের পর থেকে কিছুটা হলেও যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে ৷ আর তার 100 শতাংশ নিরাপদ ৷বিমানে মাঝের আসনে বসা যাত্রীদের একটি গাউন দেওয়া হচ্ছে ৷ তাছাড়া ফেস শিল্ড , মাস্ক , গ্লাভস ও স্যানিটাইজ়ারও দেওয়া হচ্ছে ৷ আর প্রতি পরিষেবায় ক্রু সদস্যরা PPE কিট পরে থাকছে ও গ্লাভস ও মাস্ক পরিবর্তন করছে ৷ "
তিনি আরও বলেন , " আমরা সমস্ত নির্দেশিকাগুলি মেনে চলছি। এক্ষেত্রে অবশ্যই অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে ৷ তবে আমরা যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করছি । আমরা সমস্ত গাইডলাইন মেনে চলার চেষ্টা করছি ৷ বিমানে ওঠার আগে প্রত্যেককে আরোগ্য সেতু অ্যাপ দেখাতে হবে ৷ থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে ৷ এয়ার ইন্ডিয়া তার কর্মী এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে ৷"
যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিমান সংস্থা জীবাণুমুক্ত করার ক্ষেত্রে একধরনের যৌগ ব্যবহার করছে ৷ এমনটাই জানালেন এয়ার ইন্ডিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস লিমিটেডের ডেপুটি চিফ এয়ারক্রাফ্ট ইঞ্জিনিয়ার দীনেশ ৷ তিনি বলেন , " আমরা জীবাণুমুক্ত করার জন্য AMS 1452 নামে একটি যৌগ ব্যবহার করছি । এছাড়া , আমরা উচ্চ-দক্ষতা সম্পন্ন পার্টিকুলেট (HEPA) ফিল্টারগুলিও ব্যবহার করছি ৷ যা মিনিটে ভাইরাস ফিল্টার করতে পারে । আমরা প্রত্যেকের সুরক্ষা নিশ্চিত করছি ৷"
যাত্রীদের যাত্রা আরও সহজ করার জন্য আরও একটি পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে ৷ এই বিষয়ে বিমান স্বাস্থ্য সংস্থার মেডিকেল অফিসার কৃতি শেঠ বলেন , " এই পরিষেবাটির অধীনে যাত্রীদের বিমানে ওঠার 96 ঘণ্টা আগে RT-PCR পরীক্ষা করাতে হবে এবং তাঁরা তাঁদের নেগেটিভ রিপোর্ট এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে জমা দেবে । পরে আমরা এই জাতীয় যাত্রীদের তালিকা দিল্লি সরকারের কাছে পাঠাই প্রেরণ করি যা তাদের ছাড়ের শংসাপত্র দেয় ৷যাত্রীরা এখানে এলে তাঁরা ছাড়ের শংসাপত্র দেখায় এবং তাঁদের আর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার প্রয়োজন হয় না ৷ এবং আধিকারিকরা তাদের হাতে হোম কোয়ারানটিনের স্ট্যাম্প লাগিয়ে দেন ৷ "
দেশে কোরোনাভাইরাস মোকাবিলায় মার্চ মাস থেকেই সমস্ত দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল । 25 মে থেকে পুনরায় অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা চালু হয় ৷ আনলক 4 এর গাইডলাইনে 30 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা স্থগিত ৷