দিল্লি, 5 জুন : একটি নতুন বার্ষিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, COVID-19-এর জেরে চরম খাদ্য সংকটের মধ্যে পড়তে চলেছেন বিশ্বব্যাপী 265 মিলিয়ন মানুষ । ভারতে বাড়তে পারে আরও 12 মিলিয়ন দরিদ্র । বিজ্ঞান ও পরিবেশ কেন্দ্র (CSE) প্রকাশিত 'স্টেট অফ ইন্ডিয়াস এনভায়রনমেন্ট ইন ফিগারস 2020' শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে কোরোনার ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনায় বলা হয়েছে, 22 বছরে প্রথমবার বিশ্বব্যাপী দারিদ্র বাড়বে ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "বিশ্বের মোট জনসংখ্যার পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ লকডাউন বা নিয়ন্ত্রণের অধীনে রয়েছে । যার জেরে কমেছে আয় । আয়ের এই ঘাটতির কারণে আগামী কয়েক মাসেই 40 থেকে 60 মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্রের মধ্যে জীবনযাপন করবে । ভারতে আরও 12 মিলিয়ন দরিদ্রের সংখ্যা বাড়বে । যা বিশ্বের সবচেয়ে বিপর্যস্ত জনসংখ্যার তুলনায় সর্বোচ্চ ।" CSE-র ডিরেক্টর জেনেরাল সুনিতা নারায়ণের মতে, গত চার বছরে আবহাওয়ার চরম পরিবর্তনে প্রভাবও পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে ।
COVID-19-এর উপর তৈরি এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, উত্তর অ্যামেরিকা, ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ায় নতুন সংক্রমণ স্থিতিশীল বা হ্রাস পাচ্ছে । অন্যদিকে, লাতিন অ্যামেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলি নতুন হটস্পট হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে । বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নয়টি দেশের মধ্যে ভারত ও ব্রাজ়িলই লকডাউন শিথিল এবং তাদের কঠোর পদক্ষেপগুলি কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এই দুই দেশে এমনকী নতুন সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে । সক্রিয় COVID-19 সংক্রমণের নিরিখে ভারত বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ।
যদিও এই সমীক্ষার দাবি, জলবায়ু সম্পর্কে ভারতের জাতীয় প্রতিশ্রুতি ইউরোপ, অ্যামেরিকার তুলনায় অনেক বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী । CSE-র ডিরেক্টর জেনেরাল সুনিতা নারায়ণ বলেন, "আমাদের অগ্রগতির জন্য নতুন দিকনির্দেশের প্রয়োজন হবে । তবে আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ সংকটের মুখে পড়লে এবং আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও অনুশীলন ব্যর্থ হলে তা সম্ভব নয় । সবুজের সুরক্ষা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ । স্বাস্থ্যের সঙ্গে আপোস করলে 'সবুজ' বৃদ্ধি ঘটতে পারবে না ।"