দিল্লি, 27জুন : ভারতের পূর্ব লাদাখে চিনের আগ্রাসী মিলিটারি ব্যবহারের জন্য বহু দশক ধরে এর মাশুল দিতে হবে, এমনটাই জানালেন ভারতের কৌশলগত বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, চিনের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে তাকে বিশ্বের কাছে 'একঘরে' হয়ে যেতে হবে।
আজ বিশেষজ্ঞরা জানান, বিগত কয়েক মাস ধরে চিন পূর্ব লাদাখে এবং দক্ষিণ চিনে যে আগ্রাসন চালাচ্ছে, তার জন্য বড় অর্থনৈতিক মাশুল দিতে হবে। সমগ্র বিশ্ব যখন কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে, সেই মুহূর্তে বেজিংয়ের আসল রূপ সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল। বিশেষজ্ঞরা অ্যামেরিকার সঙ্গে চিনের শুল্ক যুদ্ধ, বাণিজ্য ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং হংকংয়ের দ্রুত অবনতি পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রাক্তন ডেপুটি প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল গুরমিত সিং বলেন, " পূর্ব লাদাখে আগ্রাসী সামরিক আচরণ করে চিন বিশাল বড় ভুল করে ফেলেছে। যখন সারা বিশ্ব কোরোনা ভাইরাস প্যানডেমিকের বিরুদ্ধে লড়ছে, সেই মুহূর্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সমগ্র বিশ্বের কাছে নিজেদের আসল রূপটা তুলে ধরেছে চিন। " তিনি আরও বলেন, " এর জন্য চিনকে বড় মাশুল দিতে হবে। 15 জুন গালওয়ান উপত্যকায় 20 জন ভারতীয় সেনাকে হত্যা করার মাশুল কয়েক দশক ধরে গুণতে হবে চিনকে। এই পদক্ষেপে ভারত ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে নিজেদের সুনাম নষ্ট করল চিন নিজেই। "
গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সৈন্যদের উপর নৃশংস আক্রমণ সম্পর্কে তিনি বলেন, এই পদক্ষেপটি আরও একবার প্রমাণ করল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি কেবলমাত্র একটি " রাজনৈতিক শক্তি", সামরিক শক্তির মানের সঙ্গে তা খাপ খায় না।
সেনাবাহিনীর আরেক প্রাক্তন ডেপুটি চিপ লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুব্রত সাহা বলেন, সামরিক আগ্রাসনে নিজেদের সমগ্র বিশ্ব থেকে আলাদা করে ফেলেছে চিন এবং এর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক মূল্য দিতে হবে চিনকে। তিনি বলেন, " কূটনৈতিক ও সামরিকভাবে আগ্রাসনের মাধ্যমে চিন নিজেকে সমগ্র বিশ্ব থেকে আলাদা করে ফেলেছে। নিজেদের কোণঠাসা করছে চিন, তাই এর মূল্যও দিতে হবে। "
লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুব্রত সাহা বলেন, চিনের এই দুঃসাহসী পদক্ষেপের জন্য অর্থনৈতিক মাশুল দিতে হবে। হংকং, দক্ষিণ চিন সাগর ও পূর্ব চিন সাগর নিয়ে সমগ্র বিশ্বে যে আলোচনা শুরু হয়েছে, সেই বিষয়েও কথা বলেন তিনি।