ETV Bharat / bharat

বক্সিংয়ের পাঞ্চ আর দাবার চাল, এই খেলায় বুদ্ধির সঙ্গে বলের প্রয়োজন

ক্রীড়া দুনিয়ার এই নতুন ক্রেজের নাম চেজ বক্সিং । যে খেলায় প্রতিপক্ষকে বুদ্ধি ও বল দুই দিক থেকেই মাত দিতে হবে ।

Chessboxing
Chessboxing
author img

By

Published : Sep 10, 2020, 7:07 AM IST

Updated : Sep 10, 2020, 7:20 AM IST

আচমকা দেখলে বুঝতে একটু সময় লাগবে । অবাক না হয়ে পারবেন না । চোখের সামনে দেখছেন বক্সিং রিং । দুই প্রতিপক্ষ রয়েছে । রেফারি রয়েছে । অথচ প্রতিযোগীরা খালি ঘেমো গায়ে একে অপরের সামনে বসে দাবার সাদা কালো ঘুঁটির চালে মাত দিতে ব্যস্ত । কিছুক্ষণ এভাবে চলার পর দু'জনেই গা ঝাড়া দিয়ে উঠবেন । হাতে গলিয়ে নেবেন বক্সিং গ্লাভস । তারপর দাবার চেয়ার টেবিল সরিয়ে সেখানেই শুরু হবে শক্তির লড়াই । ভাবছেন তো এ আবার কেমন ধারার খেলা !

ক্রীড়া দুনিয়ার এই নতুন ক্রেজের নাম চেজ বক্সিং । যে খেলায় প্রতিপক্ষকে বুদ্ধি ও বল দুই দিক থেকেই মাত দিতে হবে । দাবার চালের সঙ্গে বক্সিংয়ের পাঞ্চ, হতে হবে দু'টোতেই তুখোড় । ক্রিকেট সর্বস্ব এ দেশে চেজ বক্সিং নামটাই বেশিরভাগের কাছে অচেনা । যদিও ভারতের 16টি রাজ্যে চেজ বক্সিং খেলা হয় । বিশ্বমানের দাবা-বক্সাররা কেবল ভালো বক্সারই নন, দক্ষ দাবা খেলোয়াড়ও। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় দাবা বক্সিং চ্যাম্পিয়ন তিহোমির আতানাসোভ দোভ্রামাদজিভ 2300 এরও বেশি রেটিংসহ FIDE মাস্টার এবং একাধিক দাবা প্রতিযোগিতা জিতেছেন।

এই খেলার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের একটু জানানো যাক । খেলা হয় 11 রাউন্ডে । চার মিনিটের দাবা রাউন্ডের পর শুরু হয় তিন মিনিটের বক্সিং । দু'টি রাউন্ডের মধ্যে এক মিনিট বিরতি দেওয়া হয় । দাবা খেলার ফর্মটি হ'ল স্পিড দাবা যার মধ্যে প্রতিটি প্রতিযোগীর কাছে পুরো গেমের জন্য মোট বারো মিনিট সময় থাকে । প্রতিযোগীরা নক-আউট, চেকমেট, কোনও বিচারকের সিদ্ধান্তে বা যদি তাঁদের প্রতিপক্ষের বারো মিনিটের দাবার সময় ব্যয় করে জিততে পারেন । দুই খেলা মিলিয়ে পয়েন্ট বেশি থাকলেই জেতা যায় ।

চেজ বক্সিং- এর আবির্ভাবের গল্পটাও বেশ অদ্ভুত । 1992 সালে কার্টুনিস্ট এনকি বিলাল নিজের গ্রাফিক নভেল ফ্লয়েড ইকোয়েটরের প্রধান প্লট পয়েন্টে এই খেলাটি রেখেছিলেন । বিলালের বই থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেপ রুভিং নামে এক ডাচ শিল্পী 2001 সালের এক বসন্তে বইয়ের পাতা থেকে তুলে খেলাটিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন । রুভিংয়ের মনে হয়েছিল যে বইটিতে বর্ণিত খেলার পদ্ধতি অর্থাৎ একটি দাবা ম্যাচের পরে একটি বক্সিং ম্যাচ, অবৈজ্ঞানিক । রুভিং এর পরিবর্তে দাবা এবং বক্সিংয়ের বিভিন্ন রাউন্ড শুরু করেছিলেন ।

বিশ্বের 16টি দেশে এই খেলা হয়। এর মধ্যে রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশ রয়েছে । দাবা বক্সিং অলিম্পিকের অন্তর্ভুক্ত নয় । 24টি দেশে এই খেলার প্রচলন থাকলে তবেই অলিম্পিকের অন্তর্ভুক্ত হবে । পাশাপাশি ভারত সরকারও এই খেলাকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি । দেশের 20টি রাজ্যে চেজ বক্সিং - এর প্রচলন থাকলে তবেই মিলবে স্বীকৃতি ।

আচমকা দেখলে বুঝতে একটু সময় লাগবে । অবাক না হয়ে পারবেন না । চোখের সামনে দেখছেন বক্সিং রিং । দুই প্রতিপক্ষ রয়েছে । রেফারি রয়েছে । অথচ প্রতিযোগীরা খালি ঘেমো গায়ে একে অপরের সামনে বসে দাবার সাদা কালো ঘুঁটির চালে মাত দিতে ব্যস্ত । কিছুক্ষণ এভাবে চলার পর দু'জনেই গা ঝাড়া দিয়ে উঠবেন । হাতে গলিয়ে নেবেন বক্সিং গ্লাভস । তারপর দাবার চেয়ার টেবিল সরিয়ে সেখানেই শুরু হবে শক্তির লড়াই । ভাবছেন তো এ আবার কেমন ধারার খেলা !

ক্রীড়া দুনিয়ার এই নতুন ক্রেজের নাম চেজ বক্সিং । যে খেলায় প্রতিপক্ষকে বুদ্ধি ও বল দুই দিক থেকেই মাত দিতে হবে । দাবার চালের সঙ্গে বক্সিংয়ের পাঞ্চ, হতে হবে দু'টোতেই তুখোড় । ক্রিকেট সর্বস্ব এ দেশে চেজ বক্সিং নামটাই বেশিরভাগের কাছে অচেনা । যদিও ভারতের 16টি রাজ্যে চেজ বক্সিং খেলা হয় । বিশ্বমানের দাবা-বক্সাররা কেবল ভালো বক্সারই নন, দক্ষ দাবা খেলোয়াড়ও। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় দাবা বক্সিং চ্যাম্পিয়ন তিহোমির আতানাসোভ দোভ্রামাদজিভ 2300 এরও বেশি রেটিংসহ FIDE মাস্টার এবং একাধিক দাবা প্রতিযোগিতা জিতেছেন।

এই খেলার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের একটু জানানো যাক । খেলা হয় 11 রাউন্ডে । চার মিনিটের দাবা রাউন্ডের পর শুরু হয় তিন মিনিটের বক্সিং । দু'টি রাউন্ডের মধ্যে এক মিনিট বিরতি দেওয়া হয় । দাবা খেলার ফর্মটি হ'ল স্পিড দাবা যার মধ্যে প্রতিটি প্রতিযোগীর কাছে পুরো গেমের জন্য মোট বারো মিনিট সময় থাকে । প্রতিযোগীরা নক-আউট, চেকমেট, কোনও বিচারকের সিদ্ধান্তে বা যদি তাঁদের প্রতিপক্ষের বারো মিনিটের দাবার সময় ব্যয় করে জিততে পারেন । দুই খেলা মিলিয়ে পয়েন্ট বেশি থাকলেই জেতা যায় ।

চেজ বক্সিং- এর আবির্ভাবের গল্পটাও বেশ অদ্ভুত । 1992 সালে কার্টুনিস্ট এনকি বিলাল নিজের গ্রাফিক নভেল ফ্লয়েড ইকোয়েটরের প্রধান প্লট পয়েন্টে এই খেলাটি রেখেছিলেন । বিলালের বই থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেপ রুভিং নামে এক ডাচ শিল্পী 2001 সালের এক বসন্তে বইয়ের পাতা থেকে তুলে খেলাটিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন । রুভিংয়ের মনে হয়েছিল যে বইটিতে বর্ণিত খেলার পদ্ধতি অর্থাৎ একটি দাবা ম্যাচের পরে একটি বক্সিং ম্যাচ, অবৈজ্ঞানিক । রুভিং এর পরিবর্তে দাবা এবং বক্সিংয়ের বিভিন্ন রাউন্ড শুরু করেছিলেন ।

বিশ্বের 16টি দেশে এই খেলা হয়। এর মধ্যে রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশ রয়েছে । দাবা বক্সিং অলিম্পিকের অন্তর্ভুক্ত নয় । 24টি দেশে এই খেলার প্রচলন থাকলে তবেই অলিম্পিকের অন্তর্ভুক্ত হবে । পাশাপাশি ভারত সরকারও এই খেলাকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি । দেশের 20টি রাজ্যে চেজ বক্সিং - এর প্রচলন থাকলে তবেই মিলবে স্বীকৃতি ।

Last Updated : Sep 10, 2020, 7:20 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.