মুম্বই, 28 জানুয়ারি: দিল্লিতে কৃষকদের হিংসার আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। এমনই দাবি শিবসেনার। শিবসেনার মুখপত্র সামনাতে তারা এও জানিয়েছে যে, সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজধানীতে যা হয়েছে, তাকে কেউ সমর্থন করতে পারে না।
নয়া তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত 60 দিন ধরে সিংঘু সীমানায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কৃষকরা। তবে সেই আন্দোলন সাংঘাতিক রূপ নেয় সাধারণতন্ত্র দিবসে। আন্দোলনে হিংসার ঘটনার পেছনে তাঁদের হাত নেই বলে জানিয়েছেন কৃষক নেতারা। তাঁদের দাবি, এর পেছনে কোনও চক্রান্ত রয়েছে। তবে শিবসেনার দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারই কৃষকদের হিংসার ঘটনা ঘটাতে বাধ্য করেছে। বৃহস্পতিবার তাদের মুখপত্র সামনায় বিজেপিকে আক্রমণ করে লেখা হয়েছে, ''সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে যা হয়েছে, তাকে কেউ সমর্থন করবে না।''
আরও বলা হয়েছে যে, ''বিক্ষোভরত কৃষকদের প্রতি কড়া মনোভাব দেখিয়েছে বিজেপি। দিল্লিতে প্রবেশের কর্মসূচি আগেই নেওয়া হয়েছিল এবং বিজেপির গোয়েন্দা বিভাগ অনুযায়ী কৃষক আন্দোলন জঙ্গিদের হাতে চলে গিয়েছিল। লালকেল্লায় যে জনতা ঢুকেছিল, তাদের নেতৃত্বে ছিলেন যুবা দীপ সাধু। এটা পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে যে, সিধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ক্যাম্পের লোক। বিজেপির পঞ্জাবের সাংসদ সানি দেওলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। রাজেশ তিকাইতের মতো কৃষক নেতারা বলেছেন যে, গত দু'মাস ধরে কৃষকদের ভিড়ে ঢুকে বিদ্রোহ ও বিচ্ছিন্নতাবাদের কথা বলছিলেন সিধু।''
আরও পড়ুন: কৃষক নেতাদের উপর নজর রাখতে গোয়েন্দাদের নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
শিবসেনার দাবি, ''তিন নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত 60 দিন ধরে কৃষক আন্দোলন শান্তিপূর্ণ পথেই চলেছে। কখনও কৃষকদের মধ্যে কোনও ভাঙন দেখা যায়নি। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারকেও হাত জোড় করে তাঁদের সামনে বসতে হয়েছে। তারা বলছে কৃষকদের এই আন্দোলন খালিস্তানি। তারপরেও শান্ত থেকেছেন কৃষকরা। তাই সরকারের উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের আন্দোলনে হিংসা ছড়িয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করা। তাই তাদের উস্কানি দিয়েছে সরকার। তারা যেটা চেয়েছিল সেটাই করেছে। এটা রাষ্ট্রের জন্য ঠিক হচ্ছে না।''