ETV Bharat / bharat

"জয় শ্রীরামের" নামে চলছে গণপিটুনি! প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি অঞ্জন-অপর্ণা-মণিরত্নমসহ 49 শিল্পীর

দেশজুড়ে বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতার ঘটনায় এবার সরব হলেন দেশের বিদ্বজ্জনরা ৷ তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন অপর্ণা সেন, অঞ্জন দত্ত, অনুপম রায় থেকে শুরু করে মণিরত্নম, কেতন মেহেতা, শ্যাম বেনেগাল, শুভা মুদগলসহ 49 জন শিল্পী ৷

অপর্ণা সেন, অনুপম রায় ও অঞ্জন দত্ত
author img

By

Published : Jul 24, 2019, 2:10 PM IST

Updated : Jul 24, 2019, 2:49 PM IST

কলকাতা, 24 জুলাই: "জয়শ্রীরাম" ধ্বনির নামে দেশজুড়ে চলছে গণপিটুনির ঘটনা ৷ দেশজুড়ে বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতার ঘটনায় এবার সরব হলেন দেশের বিদ্বজ্জনরা ৷ তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন অপর্ণা সেন, অঞ্জন দত্ত, অনুপম রায় থেকে শুরু করে মণিরত্নম, কেতন মেহেতা, শ্যাম বেনেগাল, শুভা মুদগলসহ 49 জন শিল্পী ৷

চিঠিতে বিদ্বজ্জনরা লেখেন, "জয়শ্রীরাম" ধ্বনি এখন যুদ্ধের কান্নায় পরিণত হয়েছে ৷ যা আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি করছে ৷ এই ধ্বনি তুলে বহু গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে ৷ ধর্মের নামে এমন ঘটনা ঘটছে দেখে আশ্চর্য লাগছে ৷ এটা মধ্যযুগ নয়! অনেকেই এখন রামের নাম শুনে ভয় পাচ্ছেন ৷ এটা বন্ধ করা হোক।"

মোট পাঁচ পাতার চিঠিতে অপর্ণা সেনরা লেখেন, " আপনি সংসদে গণপিটুনির সমালোচনা করছেন ৷ কিন্তু সেটা উপযুক্ত নয় ৷ এই ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? দোষীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন ৷ যদি খুনের ক্ষেত্রে প্যারোলবিহীন যাবজ্জীবন সাজা হয়, তবে গণপিটুনির ক্ষেত্রে কেন হবে না? নিজের দেশে কেউ ভয় নিয়ে বাঁচতে পারে না ৷ "

letter
এই মর্মে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বুদ্ধিজীবীরা

প্রধানমন্ত্রীকে আজ 49 জন বুদ্ধিজীবী ন্যাশনাল বিওরো অফ ক্রাইম রেকর্ডস (NCRB)-র তথ্য ( এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করেনি ETV ভারত) দিয়ে জানান, 2009-র জানুয়ারি থেকে 2018-র 29 অক্টোবরের মধ্যে 254টি ধর্মভিত্তিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে ৷ যাতে 91 মানুষ মারা গেছেন ৷ 579 জন গুরুতর আহত হয়েছেন ৷ সেইসঙ্গে চিঠিতে বুদ্ধিজীবীরা লেখেন, "সরকারি দলের সমালোচনা মানেই দেশের সমালোচনা নয় ৷ সরকারের সমালোচনা মানে কেউ দেশবিরোধী নন ৷ গণতন্ত্রে আলোচনার সুষ্ঠু পরিবেশ প্রয়োজন ৷ " অর্পণা সেন জানান, " শুধু বাংলা নয়, গোটা ভারতের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এই চিঠি লিখেছেন ৷ সত্যিই অসহিষ্ণুতা নিয়ে এখন ভাবার সময় এসেছে ৷ "

কলকাতা, 24 জুলাই: "জয়শ্রীরাম" ধ্বনির নামে দেশজুড়ে চলছে গণপিটুনির ঘটনা ৷ দেশজুড়ে বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতার ঘটনায় এবার সরব হলেন দেশের বিদ্বজ্জনরা ৷ তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন অপর্ণা সেন, অঞ্জন দত্ত, অনুপম রায় থেকে শুরু করে মণিরত্নম, কেতন মেহেতা, শ্যাম বেনেগাল, শুভা মুদগলসহ 49 জন শিল্পী ৷

চিঠিতে বিদ্বজ্জনরা লেখেন, "জয়শ্রীরাম" ধ্বনি এখন যুদ্ধের কান্নায় পরিণত হয়েছে ৷ যা আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি করছে ৷ এই ধ্বনি তুলে বহু গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে ৷ ধর্মের নামে এমন ঘটনা ঘটছে দেখে আশ্চর্য লাগছে ৷ এটা মধ্যযুগ নয়! অনেকেই এখন রামের নাম শুনে ভয় পাচ্ছেন ৷ এটা বন্ধ করা হোক।"

মোট পাঁচ পাতার চিঠিতে অপর্ণা সেনরা লেখেন, " আপনি সংসদে গণপিটুনির সমালোচনা করছেন ৷ কিন্তু সেটা উপযুক্ত নয় ৷ এই ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? দোষীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন ৷ যদি খুনের ক্ষেত্রে প্যারোলবিহীন যাবজ্জীবন সাজা হয়, তবে গণপিটুনির ক্ষেত্রে কেন হবে না? নিজের দেশে কেউ ভয় নিয়ে বাঁচতে পারে না ৷ "

letter
এই মর্মে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বুদ্ধিজীবীরা

প্রধানমন্ত্রীকে আজ 49 জন বুদ্ধিজীবী ন্যাশনাল বিওরো অফ ক্রাইম রেকর্ডস (NCRB)-র তথ্য ( এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করেনি ETV ভারত) দিয়ে জানান, 2009-র জানুয়ারি থেকে 2018-র 29 অক্টোবরের মধ্যে 254টি ধর্মভিত্তিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে ৷ যাতে 91 মানুষ মারা গেছেন ৷ 579 জন গুরুতর আহত হয়েছেন ৷ সেইসঙ্গে চিঠিতে বুদ্ধিজীবীরা লেখেন, "সরকারি দলের সমালোচনা মানেই দেশের সমালোচনা নয় ৷ সরকারের সমালোচনা মানে কেউ দেশবিরোধী নন ৷ গণতন্ত্রে আলোচনার সুষ্ঠু পরিবেশ প্রয়োজন ৷ " অর্পণা সেন জানান, " শুধু বাংলা নয়, গোটা ভারতের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এই চিঠি লিখেছেন ৷ সত্যিই অসহিষ্ণুতা নিয়ে এখন ভাবার সময় এসেছে ৷ "

Intro:কলকাতা, ২৪ জানুয়ারি: অসহিষ্ণুতা নিয়ে এবার সরব হলেন বাংলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। রীতিমতো তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন গায়ক অঞ্জন দত্ত, অপর্ণা সেন, অনুপম রায়রা। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লিখলেন, “ সংসদে গণপিটুনির সমালোচনা করেছেন আপনি। কিন্তু সেটা উপযুক্ত পদক্ষেপ নয়। এই ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? দোষীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। যদি খুনের ক্ষেত্রে প্যারোল বিহীন যাবজ্জীবন সাজা হয়, তবে গণপিটুনির ক্ষেত্রে কেন হবে না? এটা কি আরো ভয়ঙ্কর ঘটনা নয়? নিজের দেশে কেউ ভয় নিয়ে বাঁচতে পারে না।"Body:মোট পাতার চিঠি। যার শেষে প্রেরকের তালিকায় জ্বলজ্বল করছে বাংলার সুশীল সমাজের তাবড় সব নাম। অনুরাগ কাশ্যপ, কৌশিক সেন, বিনায়ক সেন, গৌতম ঘোষ, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নাম। সঙ্গে ভারতের তাবৎ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি মণি রত্নম, কেতন মেহেতা, শ্যাম বেনেগাল, শুভা মুদগালরা রীতিমতো কড়া ভাষার জানিয়েছেন নিজেদের আশঙ্কার কথা। নিজেদের শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে দাবি করে তারা “প্রিয় দেশের সাম্প্রতিক সময়ের দুঃস্বপ্নের" কথা তুলে ধরেছেন। তাঁরা লিখেছেন, “আমাদের দেশের সংবিধান সমস্ত জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গের সমান অধিকার দিয়েছে। সেই অধিকার সুনিশ্চিত করার দাবিতেই আমাদের এই চিঠি।"
Conclusion:চিঠিতে ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ক্রাইম রেকর্ডস(NCRB)র (তথ্য ইটিভি ভারত যাচাই করেনি) দেওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, “ ২০১৬ সালে ৮৪০ জন দলিতকে অসহিষ্ণুতার শিকার হতে হয়েছে। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবরের মধ্যে ২৫৪ টি ধর্মভিত্তিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। যাতে 91 জন মানুষ মারা গেছেন। ৫৭৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।" তারপরেই এসেছে “জয় শ্রী রাম" এর প্রসঙ্গ। চিঠিতে লেখা হয়েছে, “ জয় শ্রীরাম ধ্বনি এখন যুদ্ধের কান্নায় পরিণত হয়েছে। যা আইন-শৃংখলার সমস্যা তৈরি করছে। ওই ধ্বনি তুলে বহু গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। ধর্মের নামে এমন ঘটনা ঘটছে দেখে আশ্চর্য লাগছে। এটা মধ্যযুগ নয়! অনেকেই এখনো রামের নাম শুনে ভয় পাচ্ছেন। এটা বন্ধ করা হোক।"

চিঠিতে এসেছে সরকারের সমালোচনা করলেই দেশবিরোধী তখন লাগানোর প্রসঙ্গও। লেখা হয়েছে, “ সরকারি দলের সমালোচনা মানেই দেশের সমালোচনা নয়। সেটি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দল। সরকারের সমালোচনা মানে কেউ দেশবিরোধী হয়ে যায় না। গণতন্ত্রে সুষ্ঠু আলোচনার পরিবেশ প্রয়োজন।"

এই চিঠি প্রসঙ্গে পরিচালক-অভিনেত্রী অপর্ণা সেন ইটিভি ভারতকে বলেন, “ শুধু বাংলা নয় গোটা ভারতবর্ষের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এই চিঠি লিখেছেন। সত্যিই অসহিষ্ণুতা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।"
Last Updated : Jul 24, 2019, 2:49 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.