দিল্লি, 15 ডিসেম্বর : নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, 2019 নিয়ে উত্তপ্ত উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্য । উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গও । এবার সেই বিক্ষোভেরই আঁচ পড়ল দিল্লিতে । দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির জামিয়া রোডে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ রণক্ষেত্রের আকার নেয় । ভাঙচুর করা হয় একাধিক বাস । আগুনে পোড়ে 4 টি বাস । ঘটনায় জখম উভয় পক্ষেরই বেশ কয়েকজন । অভিযোগের তির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দিকে । তবে, তাদের পালটা অভিযোগ, ঘটনায় বহিরাগতরা ছিল । তাদের কেউ এমন কাজ করেনি ।
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের বিরোধিতা করে আজ দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির জামিয়া রোডে জড়ো হয় প্রায় হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী । তারা একের পর এক বাস ভাঙতে শুরু করে । পেট্রল বের করে আগুন ধরিয়ে দেয় চারটি বাসে । যাত্রী থাকা অবস্থায়ই আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় দমকলের 4টি ইঞ্জিন । তাতেও হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা । আহত হন দুই দমকল কর্মী ।
পুলিশের কথায়, ঠিক কোন জায়গায় ঘটনা শুরু হয়, তা জানা যায়নি । জামিলা মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের দু'ধারেই বিক্ষোভ চলছিল । হঠাৎই ওরা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে । দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির DCP চিন্ময় বিসওয়াল জানান, বিক্ষোভকারীদের তরফে থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর-ইট ছোড়া হয় ।
ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে । সেবিষয়ে DCP চিন্ময় বিসওয়াল জানান, পুরোটাই গুজব । ঘটনাস্থানে কোনওরকম গুলি চালানো হয়নি ।
এদিকে, জামিয়া মিলিয়ার পড়ুয়াদের দাবি, তারা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিল । কোনও সরকারি সম্পত্তি তারা নষ্ট করেনি । তাদের ক্যাম্পাসে উলটে পুলিশই জোর করে ঢোকার চেষ্টা করছিল । এবিষয়ে জামিয়া মিলিয়ার চিফ প্রোক্টর ওয়াসিম আহমেদ খান বলেন, "অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও আজ পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করে । পড়ুয়াদের তারা ক্যাম্পাস খালি করার জন্য চার দিচ্ছিল ।" পড়ুয়াদের আরও দাবি, পুলিশ ক্যাম্পাসের গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকে ।
পুরো ঘটনার জেরে ব্যাহত হয় যান চলাচল । পরিস্থিতি দেখে দিল্লির পাঁচটি মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয় ।