ETV Bharat / bharat

খিদেতে কাঁদছিল নাবালক, ভাড়াবাড়ি থেকে বের করে দিলেন মালিক ! - লকডাউন দিল্লি

দ্বারকার সেক্টর 1-র এক মহিলা সেক্টর 7-র পার্কে কুকুরদের খাবার দিতে আসেন । হঠাৎ তাঁর চোখে পড়ে কুকুরগুলির পাশে একটি ছেলে বসে রয়েছে । কাছে গিয়ে তার নাম জিজ্ঞাসা করেন তিনি । কেনইবা সে পার্কে রয়েছে, সেই প্রশ্নও করেন । বিশাল তার নাম জানায় । পাশাপাশি জানায়, বাড়ির মালিক তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন । তাই রাস্তায় বা পার্কেই থাকতে হচ্ছে তাকে ।

delhi
delhi
author img

By

Published : May 27, 2020, 6:09 PM IST

দিল্লি, 27 মে : দিল্লিতে 12 বছরের এক নাবালককে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ভাড়াবাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে । এদিকে ওই নাবালক বিশালের বাবা-মা’ও দিল্লিতে নেই । লকডাউনে তাঁরা আটকে পড়েছেন বিহারে । 11দিন ধরে একটি পার্কে রয়েছে বিশাল । দিন কাটছে রাস্তার কুকুরদের সঙ্গে ।

দ্বারকার সেক্টর 1-র এক মহিলা সেক্টর 7-র ওই পার্কে কুকুরদের খাবার দিতে আসেন । হঠাৎ তাঁর চোখে পড়ে কুকুরগুলির পাশে একটি ছেলে বসে রয়েছে । কাছে গিয়ে তার নাম জিজ্ঞাসা করেন তিনি । কেনইবা সে পার্কে রয়েছে, সেই প্রশ্নও করেন । বিশাল তার নাম জানায় । পাশাপাশি জানায়, বাড়ির মালিক তাকে বের করে দিয়েছেন । তাই রাস্তায় বা পার্কেই থাকতে হচ্ছে তাকে ।

বিশালকে খাবার দেন ওই মহিলা এবং বিহারে তার বাবা-মা’কে ফোন করেন । আসলে বাবা-মা লকডাউনের কয়েকদিন আগেই প্রয়োজনীয় কাজে বিহার যান । সেখানে গিয়ে আটকে পড়েন তাঁরা । এইদিকে বিশালের কাছে বেশি টাকা নেই । বাড়ির মালিক বারবার বাড়িভাড়া দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে বিশালের বাবা সন্তোষকুমার ফোনে জানিয়েছেন । বিশালের কাছে পরিমাণ মতো খাবার ছিল না । একসময় ঘরে জমানো খাবারটুকুও ফুরিয়ে যায় । খিদে পেয়েছিল বিশালের । খাবার নেই । অর্থাৎ অনাহারের দিন । ঘরের এক কোণায় বসে খিদেতে কাঁদছিল । বাড়ির মালিক তাকে কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করেন । বিশাল বলে, “ খিদে পেয়েছে । আমি তো ঘরে কাঁদছি ।”

না, সাহায্যের হাত আসেনি । বরং বিশালকে ওইদিনই বাড়ি থেকে বের করে দেন বাড়ির মালিক । ফোনে ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন সন্তোষ । তাঁরা নিরুপায় । লকডাউনে বাড়িভাড়া পাঠাতে পারেননি । এখন শুধু ছেলের কাছে ফেরার অপেক্ষা ।

দিল্লি, 27 মে : দিল্লিতে 12 বছরের এক নাবালককে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ভাড়াবাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে । এদিকে ওই নাবালক বিশালের বাবা-মা’ও দিল্লিতে নেই । লকডাউনে তাঁরা আটকে পড়েছেন বিহারে । 11দিন ধরে একটি পার্কে রয়েছে বিশাল । দিন কাটছে রাস্তার কুকুরদের সঙ্গে ।

দ্বারকার সেক্টর 1-র এক মহিলা সেক্টর 7-র ওই পার্কে কুকুরদের খাবার দিতে আসেন । হঠাৎ তাঁর চোখে পড়ে কুকুরগুলির পাশে একটি ছেলে বসে রয়েছে । কাছে গিয়ে তার নাম জিজ্ঞাসা করেন তিনি । কেনইবা সে পার্কে রয়েছে, সেই প্রশ্নও করেন । বিশাল তার নাম জানায় । পাশাপাশি জানায়, বাড়ির মালিক তাকে বের করে দিয়েছেন । তাই রাস্তায় বা পার্কেই থাকতে হচ্ছে তাকে ।

বিশালকে খাবার দেন ওই মহিলা এবং বিহারে তার বাবা-মা’কে ফোন করেন । আসলে বাবা-মা লকডাউনের কয়েকদিন আগেই প্রয়োজনীয় কাজে বিহার যান । সেখানে গিয়ে আটকে পড়েন তাঁরা । এইদিকে বিশালের কাছে বেশি টাকা নেই । বাড়ির মালিক বারবার বাড়িভাড়া দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে বিশালের বাবা সন্তোষকুমার ফোনে জানিয়েছেন । বিশালের কাছে পরিমাণ মতো খাবার ছিল না । একসময় ঘরে জমানো খাবারটুকুও ফুরিয়ে যায় । খিদে পেয়েছিল বিশালের । খাবার নেই । অর্থাৎ অনাহারের দিন । ঘরের এক কোণায় বসে খিদেতে কাঁদছিল । বাড়ির মালিক তাকে কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করেন । বিশাল বলে, “ খিদে পেয়েছে । আমি তো ঘরে কাঁদছি ।”

না, সাহায্যের হাত আসেনি । বরং বিশালকে ওইদিনই বাড়ি থেকে বের করে দেন বাড়ির মালিক । ফোনে ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন সন্তোষ । তাঁরা নিরুপায় । লকডাউনে বাড়িভাড়া পাঠাতে পারেননি । এখন শুধু ছেলের কাছে ফেরার অপেক্ষা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.