ETV Bharat / bharat

লকডাউনের মাঝেই জন্ম, সদ্যোজাতদের নাম কোরোনা-কোভিড

author img

By

Published : Apr 3, 2020, 3:31 PM IST

কোরোনা আর কোভিড । যে আতঙ্কে এখন কাঁপছে গোটা বিশ্ব, সেই ভাইরাসের নামেই নামকরণ করা হল রায়পুরের সদ্যোজাতদের ।

ছবি
ছবি

রায়পুর, 3 এপ্রিল : কোরোনা আর কোভিড । না না ভয় পাবেন না । এরা কোনও ভাইরাস নয় । আদতে COVID-19 যে কীভাবে গ্রাস করছে গোটা দুনিয়াকে তা এখনও বোঝার বয়স হয়নি ওদের । নিজেদের দুই যমজ সন্তানের এমনই নাম রেখেছেন ছত্তিশগড়ের এক দম্পতি । ভাইরাস নিয়ে বাড়তে থাকা আতঙ্ক টলাতে পারেনি রায়পুরের বাসিন্দা ওই দম্পতিকে ।

গোটা বিশ্বের কাছে কোরোনা নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে । কোরোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন । বিপর্যস্ত সাধারণ জনজীবন । কিন্তু রায়পুরের ওই দম্পতির বিশ্বাস, এই কঠিন সময় একদিন কেটে যাবে । অন্ধকার কাটিয়ে আবার আলোয় ফিরবে জন-জীবন । তাঁদের এই বিশ্বাসেরই প্রতীক হিসেবে দুই সন্তানের নাম রেখেছেন কোরোনা আর কোভিড ।

রায়পুরের ওই দম্পতিকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা বলেন, "সন্তানদের এই নাম আগামী দিনে মনে করাবে কীভাবে মানুষ লকডাউনের এই কঠিন সময় কাটিয়ে উঠেছিল ।" তবে আগামীদিনে তাদের সন্তানদের নামকরণ পরিবর্তনের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেননি দম্পতি ।

কোরোনা ও কোভিডের মা প্রীতি ভার্মা (27) জানিয়েছেন, "লকডাউন চলাকালীন 27 মার্চ সকালে ওদের জন্ম হয় । অনেক বাধা বিপত্তির মাঝে ওদের জন্ম হয়েছে । আমরা চেয়েছি ওদের জন্মটা স্মরণীয় হয়ে থাক । তাই আপাতত ছেলের নাম রেখেছি কোভিড । আর মেয়ের নাম রেখেছি কোরোনা ।"

তিনি আরও জানিয়েছেন, "ভাইরাসের এই আতঙ্ক মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আরও বেশি করে সচেতন করেছেন । অনেক ভালো অভ্যাস, যা হারিয়ে যেতে শুরু করেছিল, তা আবার ফিরে এসেছে সমাজে । এরমধ্যে ওদের জন্মের পর হাসপাতাল কর্মীরাও ওদের কোভিড আর কোরোনা বলে ডাকতে থাকে । এরপরই আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি ।"

গত 26 মার্চের রাতে প্রীতিদেবী প্রসবযন্ত্রণা অনুভব করতে শুরু করেন । কিন্তু লকডাউন থাকার কারণে সেই সময়ে কোনও গাড়িই পাওয়া যাচ্ছিল না হাসপাতালে যাওয়ার জন্য । অবশেষে একটি অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় হয় । রাস্তায় সে-দিন আর কোনও গাড়িই চোখে পড়েনি ওই দম্পতির । তাদের অ্যাম্বুলেন্সকেও একাধিক চেকপোস্টে আটকানো হয় রাতে । পরে অবশ্য প্রীতিদেবীর শারীরিক অবস্থা দেখে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য পথ খুলে দেয় পুলিশ ।

রাস্তায় এমন পরিস্থিতি দেখে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়ছিল দম্পতির মনে । রাস্তাতেই এত বাধা, না জানি হাসপাতাল পৌঁছালে আরও কত কী দেখতে হবে । তবে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে গিয়ে আর কোনও দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়নি দম্পতিকে । হাসপাতাল পৌঁছানোর মাত্র 45 মিনিটের মধ্যেই জন্ম হয় কোভিড আর কোরোনার ।

রায়পুর, 3 এপ্রিল : কোরোনা আর কোভিড । না না ভয় পাবেন না । এরা কোনও ভাইরাস নয় । আদতে COVID-19 যে কীভাবে গ্রাস করছে গোটা দুনিয়াকে তা এখনও বোঝার বয়স হয়নি ওদের । নিজেদের দুই যমজ সন্তানের এমনই নাম রেখেছেন ছত্তিশগড়ের এক দম্পতি । ভাইরাস নিয়ে বাড়তে থাকা আতঙ্ক টলাতে পারেনি রায়পুরের বাসিন্দা ওই দম্পতিকে ।

গোটা বিশ্বের কাছে কোরোনা নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে । কোরোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন । বিপর্যস্ত সাধারণ জনজীবন । কিন্তু রায়পুরের ওই দম্পতির বিশ্বাস, এই কঠিন সময় একদিন কেটে যাবে । অন্ধকার কাটিয়ে আবার আলোয় ফিরবে জন-জীবন । তাঁদের এই বিশ্বাসেরই প্রতীক হিসেবে দুই সন্তানের নাম রেখেছেন কোরোনা আর কোভিড ।

রায়পুরের ওই দম্পতিকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা বলেন, "সন্তানদের এই নাম আগামী দিনে মনে করাবে কীভাবে মানুষ লকডাউনের এই কঠিন সময় কাটিয়ে উঠেছিল ।" তবে আগামীদিনে তাদের সন্তানদের নামকরণ পরিবর্তনের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেননি দম্পতি ।

কোরোনা ও কোভিডের মা প্রীতি ভার্মা (27) জানিয়েছেন, "লকডাউন চলাকালীন 27 মার্চ সকালে ওদের জন্ম হয় । অনেক বাধা বিপত্তির মাঝে ওদের জন্ম হয়েছে । আমরা চেয়েছি ওদের জন্মটা স্মরণীয় হয়ে থাক । তাই আপাতত ছেলের নাম রেখেছি কোভিড । আর মেয়ের নাম রেখেছি কোরোনা ।"

তিনি আরও জানিয়েছেন, "ভাইরাসের এই আতঙ্ক মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আরও বেশি করে সচেতন করেছেন । অনেক ভালো অভ্যাস, যা হারিয়ে যেতে শুরু করেছিল, তা আবার ফিরে এসেছে সমাজে । এরমধ্যে ওদের জন্মের পর হাসপাতাল কর্মীরাও ওদের কোভিড আর কোরোনা বলে ডাকতে থাকে । এরপরই আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি ।"

গত 26 মার্চের রাতে প্রীতিদেবী প্রসবযন্ত্রণা অনুভব করতে শুরু করেন । কিন্তু লকডাউন থাকার কারণে সেই সময়ে কোনও গাড়িই পাওয়া যাচ্ছিল না হাসপাতালে যাওয়ার জন্য । অবশেষে একটি অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় হয় । রাস্তায় সে-দিন আর কোনও গাড়িই চোখে পড়েনি ওই দম্পতির । তাদের অ্যাম্বুলেন্সকেও একাধিক চেকপোস্টে আটকানো হয় রাতে । পরে অবশ্য প্রীতিদেবীর শারীরিক অবস্থা দেখে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য পথ খুলে দেয় পুলিশ ।

রাস্তায় এমন পরিস্থিতি দেখে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়ছিল দম্পতির মনে । রাস্তাতেই এত বাধা, না জানি হাসপাতাল পৌঁছালে আরও কত কী দেখতে হবে । তবে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে গিয়ে আর কোনও দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়নি দম্পতিকে । হাসপাতাল পৌঁছানোর মাত্র 45 মিনিটের মধ্যেই জন্ম হয় কোভিড আর কোরোনার ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.