ওয়াশিংটন : নাসা ও বোয়িংয়ের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই কর্মসূচিতে স্টারলাইনারের ছটি বেলুন ড্রপ পরীক্ষা করা হয় । যার উদ্দেশ্য মহাকাশযানের প্যারাশ্যুট ও ল্যান্ডিং সিস্টেম সম্পর্কে অতিরিক্ত পারফরমেন্স ডেটা পাওয়া । প্রতিটি ড্রপ টেস্ট আলাদা আলাদা প্রতিকূল পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে করা হয় । এখানে আগে থেকে ফোলানো প্যারাশ্যুট ব্যবহার করা হয় । যাতে ভবিষ্যতের মিশনগুলোতে তা পুনর্ব্যবহারের দিকটি খতিয়ে দেখা যায় ।
স্টারলাইনার হচ্ছে অ্যামেরিকায় তৈরি প্রথম অরবিটাল ক্রু ক্যাপসুল । বোয়িংয়ের স্টারলাইনার ল্যান্ডিং সিস্টেমের প্রধান মাইক ম্যাককার্লি একটি বিবৃতিতে বলেন, "আমাদের দর্শন সবসময়ই হল সিস্টেম হার্ডওয়্যার চেক করা, যাতে আমরা দেখি যে সমস্ত উপকরণ কীরকম আচরণ করছে ।" তিনি বলেন, "আমাদের বাহনকে কোনও এরোপ্লেনের মধ্যে আঁটানো যাবে না। তাই একমাত্র উপায় হল একটা বিশাল বেলুনের মাধ্যমে তাকে অনেক উপরে তুলে ল্যান্ডিং সিস্টেমকে চালু করা ।"
এই মহাকাশযানে পরপর বেশ কয়েকটি প্যারাশ্যুট ও এয়ারব্যাগ রয়েছে । যা নির্দিষ্ট উচ্চতায় খুলে যায়, আর এর ফলেই স্টারলাইনার পশ্চিম অ্যামেরিকার মরুভূমিতে ধীরে ধীরে অবতরণ করতে পেরেছে। নাসা জানিয়েছে, যে প্যারাশ্যুট পরীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্যকে বিভিন্ন মিশনের প্রেক্ষিতে ফেলে দেখবে তারা । ল্যান্ডিংয়ের সময় স্টারলাইনার নিজের ফরওয়ার্ড হিট শিল্ডকে খুলে ফেলতে দুটো ছোটো প্যারাশ্যুট ব্যবহার করে, যার ফলে অবতরণের জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়্যারের নাগাল মেলে।
এরপর ক্যাপসুলকে ধীর ও স্থিতিশীল করতে দুটি ড্রোগ প্যারাশ্যুট কাজে লাগায় স্টারলাইনার। এরপর তিনটি ছোটো পাইলট প্যারাশ্যুট খুলে যায়। এই তিনটি প্রধান প্যারাশ্যুট স্টারলাইনারের অবতরণের গতি আরও কমিয়ে এয়ারব্যাগের উপর হালকা টাচডাউনে সহায়তা করে। 2014 সালেই বোয়িং নাসার কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যাতে স্টারলাইনারে চেপে মহাকাশ স্টেশনে আসা যাওয়া করা সম্ভব হয় । 2019 সালে তাদের মানববিহীন মিশন আশানুরূপ সাফল্য পায়নি, যাতে মহাকাশচারীদের পাঠানোর আগে ফের প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়।
2021 সাল থেকে মহাকাশচারীদের নিয়ে যাত্রা করার আগে, দ্বিতীয় অরবিটাল ফ্লাইট থেকেও বোয়িং ও নাসা স্টারলাইনারের প্যারাশ্যুট নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকবে। কিন্তু বেলুন ব্যবহার করে পরীক্ষা এখন শেষ হয়েছে।