ETV Bharat / bharat

BJP তে যোগ দিয়েই রাজ্যসভায় জ্যোতিরাদিত্য

author img

By

Published : Mar 11, 2020, 7:35 PM IST

Updated : Mar 11, 2020, 7:50 PM IST

আজ বিকেলেই BJP -তে যোগ দিয়েছিলেন । সন্ধ্যায় রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নাম পাঠাল BJP ।

ছবি
ছবি

দিল্লি, 11 মার্চ : উপযুক্ত সম্মান না পাওয়া । কাঙ্খিত পদ না পাওয়া । এইসব না পাওয়াগুলোই যেন ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়াচ্ছিল ।

18 বছর ধরে দলের একাধিক দায়িত্ব সামলেছেন । যা দিয়েছেন অভিযোগ প্রাপ্তি না কি সেইমতো হয়নি । আর এই না পাওয়াই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার BJP যোগের পথ প্রশস্ত করে দিয়েছিল । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছিল । গতকাল কংগ্রেসের সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন । আর আজ BJP-তে যোগ । বিকেলে যোগদানের পর অপেক্ষা ছিল কখন রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নাম প্রস্তাব করবে BJP ? সন্ধ্যায় সেই অপেক্ষাও শেষ হল । রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে BJP-র তরফে নাম পাঠানো হচ্ছে সিন্ধিয়ার । স্বপ্ন হয়তো সফল হল জ্যোতিরাদিত্যর ।

মধ্যপ্রদেশ নাটকের শুরুটা 2018-র ডিসেম্বরে । শিবরাজ সিং চৌহান যে হারবেন এটা কেউ কল্পনাই করেননি । কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল চমকে দিয়েছিল তাবড় তাবড় রাজনৈতিক বোদ্ধাদের । ডিসেম্বরে মধ্যপ্রদেশের মসনদে বসে কংগ্রেস । এর অন্যতম কারিগর ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া । অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি । এরপরই দলের অন্দরের মতবিরোধ স্পষ্ট হতে থাকে । রাহুল গান্ধির ঘনিষ্টদের দাবি, অনেকটা না কি বাধ্য হয়েই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় কমল নাথকে ।

প্রথম ধাক্কা । দল কি তাহলে সিন্ধিয়ার অবদানকে সেভাবে গুরুত্ব দিল না ?

এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : রাহুলের ‘হাত’ ছেড়ে পদ্ম-আসনে জ্যোতিরাদিত্য

এরপর থেকেই কোথাও যেন ভাঙনের শুরু । রাজ্যসভায় মধ্যপ্রদেশের তরফে সদস্য নির্বাচন । তার প্রস্তুতিটা শুরু হয়েছিল মাস ছয়েক আগে । মুখ্যমন্ত্রিত্ব পাননি, তবে রাজ্যসভার সদস্য পদটা পাকা বলেই ধরে নিয়েছিলেন । তিনি যে দলের প্রথম পছন্দ হবেন, এমন আশাও করতে শুরু করেছিলেন জ্যোতিরাদিত্য । ঠিক তখনই দ্বিতীয় ধাক্কা । দলের প্রথম পছন্দ হিসেবে প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের নাম প্রস্তাব করা হল । কারণ আগেই দিগ্বিজয়কে কথা দেওয়া ছিল বিষয়টি নিয়ে । এটা স্পষ্ট হতেই গোঁসা বাড়তে থাকে জ্যোতিরাদিত্যের । অতি কাছের বন্ধু রাহুলের সঙ্গ ছাড়ার চিন্তাভাবনাও শুরু করে দেন তিনি । সিন্ধিয়ার এই রাগে ঘৃতাহূতি দিয়েছিল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ । শোনা যায়, রাজ্যসভায় সিন্ধিয়ার মনোনয়নের তীব্র বিরোধিতা এসেছিল তাঁর কাছ থেকে ।

অপারেশন আঞ্জামও ক্রমশ সাফল্যের দিকে এগোচ্ছিল । প্রথমে মুখ্যমন্ত্রিত্ব পরে রাজ্যসভায় পদ না পাওয়া । দলের তরফে এই বঞ্চনাকে হাতিয়ার করল গেরুয়া শিবির । এবার প্রবেশ 'চাণক্য' অমিত শাহর । শুধুমাত্র নির্দল প্রার্থীদের আর ভরসা করেননি তিনি । টার্গেট এবার সরাসরি জ্যোতিরাদিত্য ও তাঁর অনুগামীরা । একের পর এক বৈঠক । বিধায়কদের বিমানে উড়িয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া । সিন্ধিয়াকে যে সম্মান, যে পদ তাঁর 18 বছরের দল দিতে পারেনি, সেই সম্মান ও পদের টোপ দিল BJP। পরের ঘটনা সর্বজনবিদিত । সমীকরণ অনুযায়ী প্রথমে দলে যোগ । আর তাঁর কয়েকঘণ্টা পরই রাজ্যসভার সদস্য পদ ।

যেন বৃত্ত সম্পূর্ণ হল জ্যোতিরাদিত্যের ।

দিল্লি, 11 মার্চ : উপযুক্ত সম্মান না পাওয়া । কাঙ্খিত পদ না পাওয়া । এইসব না পাওয়াগুলোই যেন ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়াচ্ছিল ।

18 বছর ধরে দলের একাধিক দায়িত্ব সামলেছেন । যা দিয়েছেন অভিযোগ প্রাপ্তি না কি সেইমতো হয়নি । আর এই না পাওয়াই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার BJP যোগের পথ প্রশস্ত করে দিয়েছিল । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছিল । গতকাল কংগ্রেসের সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন । আর আজ BJP-তে যোগ । বিকেলে যোগদানের পর অপেক্ষা ছিল কখন রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নাম প্রস্তাব করবে BJP ? সন্ধ্যায় সেই অপেক্ষাও শেষ হল । রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে BJP-র তরফে নাম পাঠানো হচ্ছে সিন্ধিয়ার । স্বপ্ন হয়তো সফল হল জ্যোতিরাদিত্যর ।

মধ্যপ্রদেশ নাটকের শুরুটা 2018-র ডিসেম্বরে । শিবরাজ সিং চৌহান যে হারবেন এটা কেউ কল্পনাই করেননি । কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল চমকে দিয়েছিল তাবড় তাবড় রাজনৈতিক বোদ্ধাদের । ডিসেম্বরে মধ্যপ্রদেশের মসনদে বসে কংগ্রেস । এর অন্যতম কারিগর ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া । অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি । এরপরই দলের অন্দরের মতবিরোধ স্পষ্ট হতে থাকে । রাহুল গান্ধির ঘনিষ্টদের দাবি, অনেকটা না কি বাধ্য হয়েই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় কমল নাথকে ।

প্রথম ধাক্কা । দল কি তাহলে সিন্ধিয়ার অবদানকে সেভাবে গুরুত্ব দিল না ?

এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : রাহুলের ‘হাত’ ছেড়ে পদ্ম-আসনে জ্যোতিরাদিত্য

এরপর থেকেই কোথাও যেন ভাঙনের শুরু । রাজ্যসভায় মধ্যপ্রদেশের তরফে সদস্য নির্বাচন । তার প্রস্তুতিটা শুরু হয়েছিল মাস ছয়েক আগে । মুখ্যমন্ত্রিত্ব পাননি, তবে রাজ্যসভার সদস্য পদটা পাকা বলেই ধরে নিয়েছিলেন । তিনি যে দলের প্রথম পছন্দ হবেন, এমন আশাও করতে শুরু করেছিলেন জ্যোতিরাদিত্য । ঠিক তখনই দ্বিতীয় ধাক্কা । দলের প্রথম পছন্দ হিসেবে প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের নাম প্রস্তাব করা হল । কারণ আগেই দিগ্বিজয়কে কথা দেওয়া ছিল বিষয়টি নিয়ে । এটা স্পষ্ট হতেই গোঁসা বাড়তে থাকে জ্যোতিরাদিত্যের । অতি কাছের বন্ধু রাহুলের সঙ্গ ছাড়ার চিন্তাভাবনাও শুরু করে দেন তিনি । সিন্ধিয়ার এই রাগে ঘৃতাহূতি দিয়েছিল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ । শোনা যায়, রাজ্যসভায় সিন্ধিয়ার মনোনয়নের তীব্র বিরোধিতা এসেছিল তাঁর কাছ থেকে ।

অপারেশন আঞ্জামও ক্রমশ সাফল্যের দিকে এগোচ্ছিল । প্রথমে মুখ্যমন্ত্রিত্ব পরে রাজ্যসভায় পদ না পাওয়া । দলের তরফে এই বঞ্চনাকে হাতিয়ার করল গেরুয়া শিবির । এবার প্রবেশ 'চাণক্য' অমিত শাহর । শুধুমাত্র নির্দল প্রার্থীদের আর ভরসা করেননি তিনি । টার্গেট এবার সরাসরি জ্যোতিরাদিত্য ও তাঁর অনুগামীরা । একের পর এক বৈঠক । বিধায়কদের বিমানে উড়িয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া । সিন্ধিয়াকে যে সম্মান, যে পদ তাঁর 18 বছরের দল দিতে পারেনি, সেই সম্মান ও পদের টোপ দিল BJP। পরের ঘটনা সর্বজনবিদিত । সমীকরণ অনুযায়ী প্রথমে দলে যোগ । আর তাঁর কয়েকঘণ্টা পরই রাজ্যসভার সদস্য পদ ।

যেন বৃত্ত সম্পূর্ণ হল জ্যোতিরাদিত্যের ।

Last Updated : Mar 11, 2020, 7:50 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.