ETV Bharat / bharat

ট্রে-তে সদ্যোজাত, পাশে অক্সিজেন সিলিন্ডার কাঁধে বাবা ; হল না শেষরক্ষা - oxygen cylinder

বিনা চিকিৎসায় মারা গেল সদ্যোজাত । বিহারের ঘটনা । সন্তানকে ট্রে-তে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরেও বাঁচানো গেল না শিশুটিকে ।

Bihar: Ailing infant carried around with oxygen cylinder, dies
Bihar: Ailing infant carried around with oxygen cylinder, dies
author img

By

Published : Jul 26, 2020, 10:25 PM IST

বক্সার, 26 জুলাই : ছবিটা সত্যিই করুণ । সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে হাঁটছেন মা । আর পাশে কাঁধে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে হাঁটছেন বাবা । না শিশুটির কোরোনা হয়নি । হয়েছে হৃদজনিত রোগ । আর এই পরিস্থিতিতে কোনও হাসপাতালেই চিকিৎসা পরিষেবা দিতে রাজি নয় । শেষ পর্যন্ত মারা যায় শিশুটি । এমনই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায় ।

জানা গেছে, ওই শিশুটির মায়ের নাম বিমলা । হাসপাতলে স্ট্রেচারের অভাব থাকায় ট্রে-তে করে নিয়েই ঘুরতে হচ্ছে শিশুটিকে । 23 জুলাই বিহারের বক্সারের সদর হাসপাতালের ঘটনা । ঘটনাটি জানতে পেরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে ঘটনার সঠিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ।

ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন শিশুটির বাবা সুমন কুমার । তিনি বলেন, “ আমি আমার স্ত্রীকে ডেলিভারির জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই । কিন্তু তারা আমার স্ত্রীকে ভরতি নেয়নি । তারা আমাদের বেসরকারি হাসপাতালে যেতে বলে । আমার স্ত্রী সেখানেই সন্তানের জন্ম দেয় । এরপর জানতে পারি , সন্তানের হৃদপিন্ডে সমস্যা রয়েছে । এরপর আমাদের সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা না দিয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের হাতে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও একটি ট্রে ধরিয়ে দেয় । সেখান থেকে আমরা প্রায় 18 কিলোমিটার ওইভাবে সদর হাসপাতালে এসে পৌঁছাই । আমরা অসহায় । সদর হাসপাতালে চিকিৎসার কাগজপত্র তৈরির কাজ করতেই প্রায় দেড় ঘণ্টা লেগেছে । আমার শিশুর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে । কেউ আমাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি । যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের সঠিক সময়ে পরিষেবা দিত তাহলে আমাদের সন্তান বেঁচে যেত । ”

এরপর তাঁরা বলেন, “ আমার সন্তান মারা যাওয়ার পর আমাদের সন্তানকে নিয়ে আসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও সাহায্য বা ব্যবস্থা করা হয়নি । ”

ঘটনায় সিভিল সার্জন জিতেন্দ্র নাথ বলেন , “ আমরা ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্টকে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে বলেছি । কেউ অন্যায় করলে কঠোরতম পদক্ষেপ করা হবে ।" জেলাশাসক আমান সমীর বলেন , ” ঘটনাটি শুনে খুবই দুঃখিত । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে যারা এই ঘটনার জন্য দায়ি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে । "

বক্সার, 26 জুলাই : ছবিটা সত্যিই করুণ । সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে হাঁটছেন মা । আর পাশে কাঁধে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে হাঁটছেন বাবা । না শিশুটির কোরোনা হয়নি । হয়েছে হৃদজনিত রোগ । আর এই পরিস্থিতিতে কোনও হাসপাতালেই চিকিৎসা পরিষেবা দিতে রাজি নয় । শেষ পর্যন্ত মারা যায় শিশুটি । এমনই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায় ।

জানা গেছে, ওই শিশুটির মায়ের নাম বিমলা । হাসপাতলে স্ট্রেচারের অভাব থাকায় ট্রে-তে করে নিয়েই ঘুরতে হচ্ছে শিশুটিকে । 23 জুলাই বিহারের বক্সারের সদর হাসপাতালের ঘটনা । ঘটনাটি জানতে পেরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে ঘটনার সঠিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ।

ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন শিশুটির বাবা সুমন কুমার । তিনি বলেন, “ আমি আমার স্ত্রীকে ডেলিভারির জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই । কিন্তু তারা আমার স্ত্রীকে ভরতি নেয়নি । তারা আমাদের বেসরকারি হাসপাতালে যেতে বলে । আমার স্ত্রী সেখানেই সন্তানের জন্ম দেয় । এরপর জানতে পারি , সন্তানের হৃদপিন্ডে সমস্যা রয়েছে । এরপর আমাদের সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা না দিয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের হাতে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও একটি ট্রে ধরিয়ে দেয় । সেখান থেকে আমরা প্রায় 18 কিলোমিটার ওইভাবে সদর হাসপাতালে এসে পৌঁছাই । আমরা অসহায় । সদর হাসপাতালে চিকিৎসার কাগজপত্র তৈরির কাজ করতেই প্রায় দেড় ঘণ্টা লেগেছে । আমার শিশুর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে । কেউ আমাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি । যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের সঠিক সময়ে পরিষেবা দিত তাহলে আমাদের সন্তান বেঁচে যেত । ”

এরপর তাঁরা বলেন, “ আমার সন্তান মারা যাওয়ার পর আমাদের সন্তানকে নিয়ে আসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও সাহায্য বা ব্যবস্থা করা হয়নি । ”

ঘটনায় সিভিল সার্জন জিতেন্দ্র নাথ বলেন , “ আমরা ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্টকে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে বলেছি । কেউ অন্যায় করলে কঠোরতম পদক্ষেপ করা হবে ।" জেলাশাসক আমান সমীর বলেন , ” ঘটনাটি শুনে খুবই দুঃখিত । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে যারা এই ঘটনার জন্য দায়ি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে । "

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.