হায়দরাবাদ, 3 এপ্রিল : কোরোনা ভাইরাসের জন্য ইন্ট্রানেজ়াল ভ্যাকসিন তৈরি করতে চলেছে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক ৷ ফ্লুজেন ভ্যাকসিন কম্পানি ও উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্টদের সহযোগিতায় এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করল তারা ৷ হায়দরাবাদে অবস্থিত এই সংস্থার তরফে আজ একথা ঘোষণা করা হয় ৷ সঙ্গে জানানো হয়, এই ভ্যাকসিনের নাম দেওয়া হয়েছে কোরোফ্লু ৷
ফ্লুজেন সংস্থায় যাদের এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে তারা M2SR নামে পরিচিত ৷ M2SR-এর শিরদাঁড়াতে তৈরি হবে এই কোরোফ্লু ৷ উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট, ফ্লুজেনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইয়োশিহিরো কাওয়াওকা ও গ্যাব্রিয়েল নিউম্যানের আবিষ্কারের ভিত্তিতে M2SR হল ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের একটি সীমাবদ্ধ সংস্করণ, যা ফ্লু-র বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে ৷ কাওয়াওকার ল্যাবে SARS-CoV-2 (যা COVID-19 রোগটি তৈরি করে) থেকে জিনের সিকোয়েন্স নিয়ে M2SR-এ প্রবেশ করাবে ৷ এর ফলে নতুন ভ্যাকসিনটি কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে ৷
উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরোফ্লু ভ্যাকসিন তৈরির পরিকল্পনায় সংশোধন করা হচ্ছে ৷ পাশাপাশি সেখানকার পরীক্ষাগারে প্রাণী মডেলের উপর তা পরীক্ষার জন্য তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷ তারপর ভারত বায়োটেক সেই ভ্যাকসিনের মানুষের শরীরে সুরক্ষা ও কার্যক্ষমতা কতটা জানতে পরীক্ষা শুরু করবে ৷ 2020-র শেষের দিকে এই কোরোফ্লুর ক্লিনিকাল ট্রায়াল করা হতে পারে ৷
ভারত বায়োটেকের ব্যবসায়িক উন্নয়নের প্রধান ডঃ ব়্যাচেজ় এল্লা বলেন, "ভারত বায়োটেক ভ্যাকসিন তৈরি করবে ৷ ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করবে ৷ তারপর সারা বিশ্বের জন্য 300 মিলিয়ন ডোজ় ভ্যাকসিন তৈরি করবে ৷ আন্তর্জাতিক কোলাবরেশন চুক্তি অনুযায়ী, ফ্লুজেন তাদের উৎপাদন প্রক্রিয়াগুলো ভারত বায়োটেকের কাছে স্থানান্তর করবে ৷ যাতে ভারত বায়োটেক ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম হয় ৷"