হায়দরাবাদ , 23 সেপ্টেম্বর : শিম্পাঞ্জি অ্যাডিনো ভাইরাসের জন্য ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল ভারত বায়োটেক ৷ আজ সেন্ট লুইসে অবস্থিত ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত বায়োটেক ৷ মূলত , শিম্প-অ্যাডিনোভাইরাসকে কাজে লাগিয়ে একক ডোজ় সম্পন্ন ইন্ট্রানসাল কোরোনা ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে ৷
ভারত বায়োটেকের তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে , অ্যামেরিকা , জাপান এবং ইউরোপ বাদে সব জায়গায় এই ভ্যাকসিন বিতরণ করতে পারবে তাদের সংস্থা ৷ যদিও প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালগুলি সেন্ট লুইস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন এবং চিকিৎসা মূল্যায়ন ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে ৷ অনুমোদনের পরে ভারতে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের পরবর্তী ধাপগুলি অনুসরণ করবে ভারত বায়োটেক এবং এই ভ্যাকসিনের উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হবে জিনোম ভ্যালিতে ৷
ভারত বায়োটেকের এক কর্মকর্তা বলেন , "আমরা এই উদ্ভাবনী ভ্যাকসিনে সহযোগিতা করতে পেরে গর্বিত । একটি ইন্ট্রানসাল ভ্যাকসিন শুধু ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহজ নয় । এর ফলে ছুঁচ, সিরিঞ্জের ব্যবহার কমবে । যার ফলে ভ্যাকসিনের দামও কম হবে ।"
ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. কৃষ্ণা এল্লা বলেন , "ভাইরাল ভ্যাকসিন তৈরি, উৎপাদন ক্ষমতা এবং বিতরণ সম্পর্কে অভিজ্ঞতাই নিরাপদ, কার্যকরী এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে আমাদের শক্তি ।"
বায়োলজিক থেরাপিউটিক্স সেন্টারের পরিচালক এবং সেন্ট লুইয়ের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের রেডিয়েশন অঙ্কোলজির অধ্যাপক ডেভিড টি কুরিয়েল বলেন , “একটি কার্যকর টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে একক ইন্ট্রানসাল ডোজ় একটি বড় সুবিধা ৷ এটা শুধুমাত্র যে কোরোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়, তাই নয় ৷ এটি নাক এবং গলার মাঝের কোশগুলিতে অন্য কোনও রোগের বিস্তারকে বাধা দেয় ৷ বর্তমানে বেশিরভাগ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকরা এটি করতে পারবে না ৷ ”