ETV Bharat / bharat

বিশ্ব মশা দিবস : সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাণী !

সাম্প্রতিককালে আরও একটি গুজব রটে - COVID-19 ছড়াতে পারে মশা । এর পক্ষে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি ।

mosquito day
mosquito day
author img

By

Published : Aug 20, 2020, 7:56 PM IST

হায়দরাবাদ, 20 অগাস্ট : প্রতি বছর অগাস্টের 20 তারিখ বিশ্বজুড়ে মশা দিবস উদযাপিত হয় । মূলত ম্যালেরিয়া রোগের আবিষ্কারক ব্রিটিশ চিকিৎসক স্যার রোনাল্ড রসের স্মরণেই পালিত হয় এই দিনটি । 1897 সালে আজকের দিনেই চিকিৎসক রোনাল্ড রস আবিষ্কার করেছিলেন একজাতীয় স্ত্রী-মশার দ্বারা মানবদেহে ম্যালেরিয়া রোগের সংক্রমণ ঘটে । 1930 সালের 20 অগাস্ট থেকে প্রতিবছর লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিন বিশ্ব মশা দিবস উদযাপন করে আসছে । এর দিনটির মূল উদ্দেশ্য, মশাবাহিত রোগ, বিশেষত ম্যালেরিয়া ও এর প্রতিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ।

স্প্যানিশ শব্দ ‘মুস্কেটা’ থেকে ‘মসকিউটো’ শব্দের উৎপত্তি ৷ যার অর্থ, ছোট্ট মাছি । গোটা বিশ্বে প্রায় তিন হাজার প্রজাতির মশা রয়েছে । তবে এর মধ্যে মূলত তিনটি প্রজাতিই রোগ সংক্রমণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে । এর মধ্যে এডিস মশা ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, লিম্ফ্যাটিক ফিলারিয়াসিস, রিফ্ট ভ্যালি ফিভার, ইয়েলো ফিভার, জ়িকা - এইসব রোগ ছড়ায় । অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু বহন করে । আফ্রিকায় অবশ্য এই প্রজাতির মশার কামড়ে লিম্ফ্যাটিক ফিলারিয়াসিস রোগও হয় । অন্যদিকে, জাপানি এনসেফ্যালাইটিস, লিম্ফ্যাটিক ফিলারিয়াসিস রোগ ছড়ায় কিউলেক্স মশার মাধ্যমে । এ'কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর বিশ্বে কোটি কোটি মানুষের মৃত্যু্ হয় । আর সেই কারণেই এই মশা-ই বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাণী । তবে, বাস্তুতন্ত্রের কথা মাথায় রেখে এ'কথাও মানতেই হবে, বিশ্বের বহু প্রাণীর কাছে এই মশা-ই আবার খাবারের উৎস ।

মজার বিষয় হল, রক্ত শোষণ করে শুধু স্ত্রী-মশা । এই রক্তের মাধ্যমে তাদের ডিমের বিকাশ ঘটে । পুরুষ মশা কিন্তু উদ্ভিদের রস শোষণ করেই বেঁচে থাকে । বৃষ্টি বা সেচের জলে অ্যানোফিলিস মশা ডিম পাড়ে । আর মূলত বিকেল থেকে ভোর হওয়ার মাঝে কামড়ায় । অন্যদিকে, যে-কোনও পরিষ্কার জলেই ডিম পাড়তে পারে এডিস মশা । ভোরবেলা আর সকালবেলা মূলত এই প্রজাতির মশা কামড়ায় ।

কার্বন-ডাই-অক্সাইডের উৎস থেকে নিজেদের শিকারের অবস্থান বুঝতে পারে মশা, যা প্রায় 75 ফুট দূর থেকে ঠিক করতে সক্ষম তারা । একটি মশা বাঁচে মাত্র ছ'মাস ।

তবে, মশা নিয়ে কিছু ভ্রান্ত ধারণাও রয়েছে সমাজে । যেমন, O+ ব্লাড গ্রুপ যাদের তাদের নাকি মশা বেশি কামড়ায় । ইউনাইটেড স্টেটস ন্যাশনাল হেল্থ ইনস্টিটিউট (NIH)-এর গবেষণায় দেখা গেছে, A, B, AB এবং O-সব ব্লাড গ্রুপবিশিষ্ট মানুষের দিকেই আকৃষ্ট হয় মশা । তবে, এ'নিয়ে গবেষণা এখনও চলছে ।

সাম্প্রতিককালে আরও একটি গুজব রটে - COVID-19 ছড়াতে পারে মশা । এর পক্ষে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি । এমনও শোনা যায়, একবার কামড়ালে নাকি মারা যায় সেই মশা । যা একেবারেই ভুল । উলটে একটি মশা একবার একজনকে কামড়ে, আরও বেশ কয়েকজনের রক্ত শোষণ করে ফের সেই ব্যক্তিকেই কামড়াতে পারে ।

তাই, মশা থেকে দূরে থাকতে গা-ঢাকা ঢিলেঢালা জামাকাপড় পড়া, আশপাশে কোনওরকম জল জমতে না দেওয়া, নিজের চারপাশ নিয়মিত স্যানিটাইজ় করা প্রয়োজন ।

হায়দরাবাদ, 20 অগাস্ট : প্রতি বছর অগাস্টের 20 তারিখ বিশ্বজুড়ে মশা দিবস উদযাপিত হয় । মূলত ম্যালেরিয়া রোগের আবিষ্কারক ব্রিটিশ চিকিৎসক স্যার রোনাল্ড রসের স্মরণেই পালিত হয় এই দিনটি । 1897 সালে আজকের দিনেই চিকিৎসক রোনাল্ড রস আবিষ্কার করেছিলেন একজাতীয় স্ত্রী-মশার দ্বারা মানবদেহে ম্যালেরিয়া রোগের সংক্রমণ ঘটে । 1930 সালের 20 অগাস্ট থেকে প্রতিবছর লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিন বিশ্ব মশা দিবস উদযাপন করে আসছে । এর দিনটির মূল উদ্দেশ্য, মশাবাহিত রোগ, বিশেষত ম্যালেরিয়া ও এর প্রতিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ।

স্প্যানিশ শব্দ ‘মুস্কেটা’ থেকে ‘মসকিউটো’ শব্দের উৎপত্তি ৷ যার অর্থ, ছোট্ট মাছি । গোটা বিশ্বে প্রায় তিন হাজার প্রজাতির মশা রয়েছে । তবে এর মধ্যে মূলত তিনটি প্রজাতিই রোগ সংক্রমণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে । এর মধ্যে এডিস মশা ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, লিম্ফ্যাটিক ফিলারিয়াসিস, রিফ্ট ভ্যালি ফিভার, ইয়েলো ফিভার, জ়িকা - এইসব রোগ ছড়ায় । অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু বহন করে । আফ্রিকায় অবশ্য এই প্রজাতির মশার কামড়ে লিম্ফ্যাটিক ফিলারিয়াসিস রোগও হয় । অন্যদিকে, জাপানি এনসেফ্যালাইটিস, লিম্ফ্যাটিক ফিলারিয়াসিস রোগ ছড়ায় কিউলেক্স মশার মাধ্যমে । এ'কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর বিশ্বে কোটি কোটি মানুষের মৃত্যু্ হয় । আর সেই কারণেই এই মশা-ই বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাণী । তবে, বাস্তুতন্ত্রের কথা মাথায় রেখে এ'কথাও মানতেই হবে, বিশ্বের বহু প্রাণীর কাছে এই মশা-ই আবার খাবারের উৎস ।

মজার বিষয় হল, রক্ত শোষণ করে শুধু স্ত্রী-মশা । এই রক্তের মাধ্যমে তাদের ডিমের বিকাশ ঘটে । পুরুষ মশা কিন্তু উদ্ভিদের রস শোষণ করেই বেঁচে থাকে । বৃষ্টি বা সেচের জলে অ্যানোফিলিস মশা ডিম পাড়ে । আর মূলত বিকেল থেকে ভোর হওয়ার মাঝে কামড়ায় । অন্যদিকে, যে-কোনও পরিষ্কার জলেই ডিম পাড়তে পারে এডিস মশা । ভোরবেলা আর সকালবেলা মূলত এই প্রজাতির মশা কামড়ায় ।

কার্বন-ডাই-অক্সাইডের উৎস থেকে নিজেদের শিকারের অবস্থান বুঝতে পারে মশা, যা প্রায় 75 ফুট দূর থেকে ঠিক করতে সক্ষম তারা । একটি মশা বাঁচে মাত্র ছ'মাস ।

তবে, মশা নিয়ে কিছু ভ্রান্ত ধারণাও রয়েছে সমাজে । যেমন, O+ ব্লাড গ্রুপ যাদের তাদের নাকি মশা বেশি কামড়ায় । ইউনাইটেড স্টেটস ন্যাশনাল হেল্থ ইনস্টিটিউট (NIH)-এর গবেষণায় দেখা গেছে, A, B, AB এবং O-সব ব্লাড গ্রুপবিশিষ্ট মানুষের দিকেই আকৃষ্ট হয় মশা । তবে, এ'নিয়ে গবেষণা এখনও চলছে ।

সাম্প্রতিককালে আরও একটি গুজব রটে - COVID-19 ছড়াতে পারে মশা । এর পক্ষে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি । এমনও শোনা যায়, একবার কামড়ালে নাকি মারা যায় সেই মশা । যা একেবারেই ভুল । উলটে একটি মশা একবার একজনকে কামড়ে, আরও বেশ কয়েকজনের রক্ত শোষণ করে ফের সেই ব্যক্তিকেই কামড়াতে পারে ।

তাই, মশা থেকে দূরে থাকতে গা-ঢাকা ঢিলেঢালা জামাকাপড় পড়া, আশপাশে কোনওরকম জল জমতে না দেওয়া, নিজের চারপাশ নিয়মিত স্যানিটাইজ় করা প্রয়োজন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.