দিল্লি, 6 জুলাই : দিল্লির রাস্তায় এক পাল ভেড়া ৷ সেগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল চিনা দূতাবাসের সামনে ৷ ভেড়াগুলির গলায় লাগানো প্ল্যাকার্ড ৷ লেখা, "আমাদের খাও কিন্তু বিশ্বকে বাঁচাও ৷" 1965 সালের সেপ্টেম্বরে এই ছবি দেখা গিয়েছিল । সৌজন্যে তৎকালীন সাংসদ অটলবিহারী বাজপেয়ি ৷ তাঁর এই পদক্ষেপে হতভম্ব হয়ে গেছিল চিনা সরকারও ৷
1962 সালে ভারত-চিন যুদ্ধের পর তিন বছর পেরিয়েছে ৷ 1965 সালের সেপ্টেম্বরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ আনে চিন ৷ সেদেশের তরফে অভিযোগ করা হয়, সিকিম সীমান্তে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা 800টি ভেড়া ও 59টি চমরি গাই চুরি করেছে ৷
কেন্দ্রীয় সরকারকে এনিয়ে একটি চিঠিও লেখা হয় ৷ এরপর ভারতের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয় ৷ এরই মাঝে অটলবিহারী বাজপেয়ির এক পদক্ষেপে হতভম্ব হয়ে গেছিল চিন ৷
1965 সালের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বাজপেয়ি 800টি ভেড়ার পাল নিয়ে দিল্লিতে চিনা দূতাবাসের সামনে হাজির হয়েছিলেন ৷ ভেড়াগুলির গলায় লাগানো ছিল প্ল্যাকার্ড ৷ তাতে লেখা ছিল, "আমাদের খাও কিন্তু বিশ্বকে বাঁচাও ৷"
ফের চিনের তরফে ভারত সরকারকে চিঠি লেখা হয় ৷ এই প্রতিবাদ "অপমানজনক" বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে ৷ চিনের তরফে অভিযোগ করা হয়, লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর সরকারের সমর্থনেই বাজপেয়ি এই কাজ করেছে ৷ এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের তরফে বলা হয়েছিল, দিল্লির কয়েকজন বাসিন্দা প্রায় 800টি ভেড়া নিয়ে মিছিল করেছিল । কিন্তু এই বিক্ষোভের সঙ্গে ভারত সরকারের কোনও যোগসূত্র ছিল না । চিনের অভিযোগের বিরুদ্ধে এটি ছিল দিল্লিবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত, শান্তিপূর্ণ মতপ্রকাশ ৷
চিনের তরফে আরও অভিযোগ করা হয়েছিল, ভারতীয় জওয়ানরা তিব্বতের চার বাসিন্দাকে অপহরণ করেছে ৷ ভারত এর উত্তরে জানিয়েছিল, "তিব্বতের অন্য শরণার্থীদের মতোই ওই চারজনও অনুমতি ছাড়া ভারতে প্রবেশ করেছিল ৷ তারা চাইলে যে কোনও সময় তিব্বতে ফিরে যেতে পারে ৷"