বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় অ্যাডভান্সড টোড আর্টিলারি গান সিস্টেম (ATAGS) তৈরি করে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজ়েশন (DRDO) ৷ এই ATAGS আসলে একটি 155 মিলিমিটার/52 ক্যালিবার ছোটো কামান ৷
ডিজ়াইন
40 কিলোমিটার রেঞ্জে গুলি বর্ষণ করতে পারে এই কামান ৷ এটিতে থাকে 155 মিলিমিটার ক্যালিবার অ্যামিউনিশন ৷ এর জন্য এতে রয়েছে একটি ব্যারেল, ব্রিচ মেকানিজ়ম, মাজ়ল ব্রেক ও রিকয়েল মেকানিজ়ম ৷ এই ATAGS-এ একটি অল ইলেকট্রিভ ড্রাইভ রয়েছে যার ফলে এটিকে বহু সময় রক্ষণাবেক্ষণ না করেই রাখা যায় ৷
এটিতে বেশ কিছু উন্নতমানের বৈশিষ্ট্য রয়েছে ৷ সেগুলি হল- উচ্চ গতিশীলতা, দ্রুত মোতায়েনযোগ্যতা, সহায়ক পাওয়ার মোড, উন্নত যোগাযোগ সিস্টেম, স্বয়ংক্রিয় কমান্ড এবং সরাসরি ফায়ার মোডে রাতে কাজ করার ক্ষমতা-সহ কন্ট্রোল সিস্টেম ৷ একই ক্যাটাগরির অন্য কামানগুলির নলের থেকে এর নলটি দুই টন হালকা হয় ৷
আরও ভালো পরিষেবার জন্য এটিকে ডিজ়াইন করা হয়েছে ৷ কম সময়ে এটি পাঁচটি সফল রাউন্ড গুলি বর্ষণ করতে পারে ৷
ATAGS-র ট্রায়াল
- 2016 সালের জুলাই মাসে 155/52 ক্যালিবার ATAGS-র গুলি বর্ষণের পরীক্ষা করে DRDO ৷ এটি সাফল্য পায় ৷
- একই বছরের ডিসেম্বর মাসে ওড়িশার বালাসোরে 155 মিলিমিটার আর্টিলারি গান প্রথম রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে ৷
- 2017 সালের ট্রায়ালে 47.2 কিলোমিটার দূর থেকে এক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে বিশ্ব রেকর্ড করে 155 মিলমিটার নলের কামান ৷ এটি ফের 48.074 কিলোমিটার দূর থেকে গুলি বর্ষণ করতে সক্ষম হয় ৷
- এই কামান সবগুলি পরীক্ষাতেই সফল হয় ৷
- এ বছর এই কামানগুলির ইউজ়ার ট্রায়াল করা হবে ৷
এই কামানের ব্যবহার
ভারতীয় সেনা এই কামানের ব্যবহার করবে ৷ 2018 সালের অগাস্ট মাসে ডিফেন্স অ্যাকুইজ়েশন কাউন্সিল 150টি ATAGS কেনার অনুমোদন দিয়েছে ৷ যার ধার্য মূল্য 3,364.78 কোটি টাকা ৷
এই কামান তৈরির ইতিহাস
2013 সালে এই ATAGS প্রোজেক্ট শুরু করে DRDO ৷ ভারতীয় সেনার কাছে থাকা পুরানো কামানগুলিকে বদলে নতুন আধুনিক 155 মিলমিটার আর্টিলারি গান পরিষেবায় আনার জন্যই এই প্রোজেক্ট ৷ DRDO-র ল্যাবরেটরি আর্মামেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট ভারত ফর্গ লিমিটেড, মাহিন্দ্রা ডিফেন্স নাভাল সিস্টেম, টাটা পাওয়ার স্ট্র্যাটেজিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন ও অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের সহযোগিতায় এই প্রজেক্টের কাজ করে ৷
এই কামান তৈরি করতে সময় লেগেছিল চার বছর ৷ আশা করা হয়েছিল 2017 সালের মার্চ মাসে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে ৷ কিছু সাপ্লাইয়ের সমস্যার কারণে তা পিছিয়ে যায় ৷
2017 সালের 26 জানুয়ারি প্রথম এই কামানকে জনসমক্ষে আনা হয় ৷