বেঙ্গালুরু, 15 জুলাই : কর্নাটকে আস্থা ভোট 18 জুলাই । আস্থা ভোটেই প্রমাণ হয়ে যাবে আদৌ কংগ্রেস-JDS (জনতা দল সেকুলার) জোট সরকারে থাকে কি না । আজ বিধানসভায় বৈঠকের পর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সিদ্দারামাইয়া জানান, বৃহস্পতিবার (18 জুলাই) সকাল 11টায় আস্থা ভোট শুরু হবে ।
গত দু'সপ্তাহে জোট সরকারের মোট 18 জন বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন । শুধু তাই নয়, গত বছর মে মাসে সরকার গঠনের পর থেকেই জোট ছিল নড়বড়ে ।
এর আগে, গত শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য আস্থা ভোটের ডাক দেন । জানান, তাঁর সরকার স্থিতিশীল । কুমারস্বামী বলেন, "জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী । কেন আমি ভয় পাব ?" সিদ্দারামাইয়াও পাশে ছিলেন কুমারস্বামীর । তিনি বলেন, "আমরাই জিতব ।" আজ সকালে BJP নেতৃত্ব অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করে ।
ইতিমধ্যে ময়দানে নামে জোট নেতৃত্বও । বিদ্রোহী বিধায়কদের দলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে । যদিও তা এখনও ফলপ্রসূ হয়নি । যদি পদত্যাগপত্র গ্রহণ হয়ে যায় তাহলে 225 আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় জোটের বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়াবে 100-তে । ম্যাজিক ফিগার দাঁড়াবে 105 । BJP-র হাতে আছে 105 বিধায়ক । সেইসঙ্গে তারা 2 নির্দল বিধায়কেরও সমর্থন পাবে । অর্থাৎ 107 আসন নিয়ে সরকার গড়বে তারাই ।
স্পিকার রমেশ কুমার শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন কারোর ইস্তফাপত্র এখনও গ্রহণ করা হয়নি । তিনি জানান, বিধায়করা চাপের মুখে ইস্তফা দিয়েছেন না স্বেচ্ছায় দিয়েছেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য সময় লাগবে । তিনি আরও জানান, অনেকজন বিদ্রোহী বিধায়ককে বহিষ্কার করা হয়েছে । এরপর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, মঙ্গলবার পর্যন্ত স্পিকার কোনও ইস্তফা গ্রহণ করবেন না বা কোনও বিধায়ককে বহিষ্কার করতে পারবেন না । শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর বিদ্রোহী বিধায়করা বেঙ্গালুরুতে এসে পুনরায় ইস্তফাপত্র জমা দেন ।
আজ সকালে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করে BJP ।