ETV Bharat / bharat

অসমের বন্যায় মৃত 51 টি বন্যপ্রাণী, উদ্ধার 102

author img

By

Published : Jul 15, 2020, 9:45 PM IST

অসমের বন্যায় এখনও পর্যন্ত 51 টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে । বাঘ, গণ্ডারসহ অনেক প্রাণীই বনাঞ্চল সংলগ্ন উঁচু গ্রামগুলিতে উঠে এসেছে ।

Assam's Kaziranga park
অসমে বন্যার ছবি

গুয়াহাটি, 15 জুলাই : অসমের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যায় প্লাবিত হয়ে গেছে বহু এলাকা । বাদ যায়নি কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানও । মারা গেছে কমপক্ষে 51 টি বন্যপ্রাণী । যদিও 102 টি প্রাণীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে প্রশাসন । বনাঞ্চল ভেসে যাওয়ায় অনেক বাঘ ও গণ্ডার নিকটবর্তী উঁচু গ্রামগুলিতে উঠে এসেছে ।

কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ ও অসম বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, উদ্যানের 95 শতাংশ এলাকা (প্রায় 430 বর্গকিলোমিটার ) জলমগ্ন । কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের পার্শ্ববর্তী 37 নম্বর জাতীয় সড়কও যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।

আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত 45 টি হরিণ, তিনটি বন্য শূকর, একটি হরিণ, একটি বন্য মহিষ ও একটি সোয়াম্প হরিণ বন্যায় প্রাণ হারিয়েছে । যে 102 টি প্রাণী উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তার মধ্যে 86 টি-ই হল হরিণ ।

উদ্যানের ডিরেক্টর পি শিবকুমার বলেছেন, যে হারে উদ্যানের ভিতরে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে । তিনটি অপ্রাপ্তবয়স্ক বাঘ কান্দোলিমারি গ্রামের একটি গোয়ালে আশ্রয় নিয়েছিল । এদের মধ্যে দু'টিকে ইতিমধ্যেই ফিরিয়ে আনা হয়েছে । বাকি একটি বাঘের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি ।

কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান তৈরি হয়েছিল 1908 সালে । 1985 সালে UNESCO হেরিটেজ সাইটের তকমা পায় । এখন এই উদ্যানে 2,200 টিরও বেশি একশৃঙ্গ গণ্ডার রয়েছে । গোটা বিশ্বে যত একশৃঙ্গ গণ্ডার দেখা যায়, এই উদ্যানেই রয়েছে তার দুই তৃতীয়াংশ ।

প্রতিবছর বর্ষায় জাতীয় উদ্যান জলমগ্ন হয়ে যায় । ফলে প্রতিবছরই প্রচুর বর্ষার মরশুমে বিশাল সংখ্যায় বন্য প্রাণীরা 37 নম্বর জাতীয় সড়ক পার করে সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় চলে যায় । আধিকারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় 45 টি হরিণ বন্যায় আহত হয়েছে । এদের মধ্যে একটি হরিণ ব়াস্তা পার হওয়ার সময় গাড়ির ধাক্কায় জখম হয়েছে । উদ্যানে বনবিভাগের 223 টি ক্যাম্প রয়েছে । এরমধ্যে 173 টি পুরোপুরি জলমগ্ন । আরও 14 টি ক্যাম্প জলস্তর বাড়ার কারণে ফাঁকা করা হয়েছে ।

শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারি বৃষ্টির কারণে অসমের 33 জেলার মধ্যে 27 টি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে । জলমগ্ন হয়ে গেছে 2763 টি গ্রাম । 24 লাখেরও বেশি মানুষ সমস্যার সম্মুখীন । নষ্ট হয়ে গেছে 1 লাখ 3 হাজার 806 হেক্টর জমি ।

বন্যায় এখনও পর্যন্ত মারা গেছে 50 জন । সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে 6 জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে ।

গুয়াহাটি, 15 জুলাই : অসমের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যায় প্লাবিত হয়ে গেছে বহু এলাকা । বাদ যায়নি কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানও । মারা গেছে কমপক্ষে 51 টি বন্যপ্রাণী । যদিও 102 টি প্রাণীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে প্রশাসন । বনাঞ্চল ভেসে যাওয়ায় অনেক বাঘ ও গণ্ডার নিকটবর্তী উঁচু গ্রামগুলিতে উঠে এসেছে ।

কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ ও অসম বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, উদ্যানের 95 শতাংশ এলাকা (প্রায় 430 বর্গকিলোমিটার ) জলমগ্ন । কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের পার্শ্ববর্তী 37 নম্বর জাতীয় সড়কও যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।

আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত 45 টি হরিণ, তিনটি বন্য শূকর, একটি হরিণ, একটি বন্য মহিষ ও একটি সোয়াম্প হরিণ বন্যায় প্রাণ হারিয়েছে । যে 102 টি প্রাণী উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তার মধ্যে 86 টি-ই হল হরিণ ।

উদ্যানের ডিরেক্টর পি শিবকুমার বলেছেন, যে হারে উদ্যানের ভিতরে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে । তিনটি অপ্রাপ্তবয়স্ক বাঘ কান্দোলিমারি গ্রামের একটি গোয়ালে আশ্রয় নিয়েছিল । এদের মধ্যে দু'টিকে ইতিমধ্যেই ফিরিয়ে আনা হয়েছে । বাকি একটি বাঘের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি ।

কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান তৈরি হয়েছিল 1908 সালে । 1985 সালে UNESCO হেরিটেজ সাইটের তকমা পায় । এখন এই উদ্যানে 2,200 টিরও বেশি একশৃঙ্গ গণ্ডার রয়েছে । গোটা বিশ্বে যত একশৃঙ্গ গণ্ডার দেখা যায়, এই উদ্যানেই রয়েছে তার দুই তৃতীয়াংশ ।

প্রতিবছর বর্ষায় জাতীয় উদ্যান জলমগ্ন হয়ে যায় । ফলে প্রতিবছরই প্রচুর বর্ষার মরশুমে বিশাল সংখ্যায় বন্য প্রাণীরা 37 নম্বর জাতীয় সড়ক পার করে সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় চলে যায় । আধিকারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় 45 টি হরিণ বন্যায় আহত হয়েছে । এদের মধ্যে একটি হরিণ ব়াস্তা পার হওয়ার সময় গাড়ির ধাক্কায় জখম হয়েছে । উদ্যানে বনবিভাগের 223 টি ক্যাম্প রয়েছে । এরমধ্যে 173 টি পুরোপুরি জলমগ্ন । আরও 14 টি ক্যাম্প জলস্তর বাড়ার কারণে ফাঁকা করা হয়েছে ।

শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারি বৃষ্টির কারণে অসমের 33 জেলার মধ্যে 27 টি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে । জলমগ্ন হয়ে গেছে 2763 টি গ্রাম । 24 লাখেরও বেশি মানুষ সমস্যার সম্মুখীন । নষ্ট হয়ে গেছে 1 লাখ 3 হাজার 806 হেক্টর জমি ।

বন্যায় এখনও পর্যন্ত মারা গেছে 50 জন । সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে 6 জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.