ETV Bharat / bharat

বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর, অসমে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই শোচনীয় - Guwahati

ব্রহ্মপুত্র নদের জলস্তর বিপদসীমা পেরিয়ে গেল । অসমে বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল 11 । রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনির তরফে জানানো হয়েছে, জোড়হাট, বরপেটা ও ধুবড়িতে 4 জনের মৃত্যু হয়েছে । এখনও পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন 28 জেলার প্রায় সাড়ে 26 লাখ মানুষ ।

ব্রহ্মপুত্র নদের জলস্তর বিপদসীমা পেরিয়ে গেল আজ
author img

By

Published : Jul 15, 2019, 7:04 PM IST

Updated : Jul 15, 2019, 8:27 PM IST

গুয়াহাটি, 15 জুলাই : অসমে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই শোচনীয় হচ্ছে । ব্রহ্মপুত্র নদের জলস্তর বিপদসীমা পেরিয়ে গেল আজ । বিপদসীমার চেয়েও 1.5 সেন্টিমিটার বেশি রয়েছে জলস্তর । প্রতি ঘণ্টায় 2-3 সেন্টিমিটার জলস্তর বাড়ছে, জানিয়েছে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন । তবে অসম প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা সবরকমভাবে প্রস্তুত রয়েছে । 33টি জেলার মধ্যে 30টি জেলা জলের তলায়। প্রায় 43 লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই বন্যা পরিস্থিতির ফলে ।

এই নিয়ে অসমে বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল 11 । রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনির তরফে জানানো হয়েছে, জোড়হাট, বরপেটা ও ধুবড়িতে 4 জনের মৃত্যু হয়েছে । এখনও পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন 28 জেলার প্রায় সাড়ে 26 লাখ মানুষ । মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানও । সংকটে বন্যপ্রাণীরাও ।

মাজুলি থেকে 4টি হরিণকে উদ্ধার করা হয়েছে । জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছিল প্রাণীগুলি । পরে লখিমপুর এলাকার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের । প্রায় 150টি হাতি খাদ্য সংকটে ভুগছে ওই এলাকায়। বনদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে একথাই ।

কাজিরাঙ্গা (কাজিরাঙা) অভয়ারণ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ভেসে যাওয়ায় সঙ্কটে বন্যপ্রাণীরা । তাদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে । এদিকে মেঘালয়ে কোনও প্রাণহানি না হলেও ভেঙে পড়ছে বাড়ি । ধস নেমেছে বেশ কয়েকটি পাহাড়ে । ত্রিপুরাতে অতিবৃষ্টির জেরে খাস আগরতলাতেই জলবন্দি অনেক মানুষ ।

মিজোরামে খাওতলাং তুইপুই (কর্ণফুলি নদী) নদীর বন্যার জেরে লাবুং এলাকা থেকে 200 পরিবারকে সরানো হয়েছে । রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নামছে ধস । অনেক সড়ক বন্ধ । অরুণাচলের পূর্ব সিয়াং জেলায় সিয়াং নদী বিপদসীমার উপরে বইছে । সিকু নদীর বন্যায় সেতু ভেসেছে । কাদাং, গপোক, সিসার, তারো তামাক, সুবনসিরি, দিবাং, জোনা, ডিক্রং নদীগুলি ক্রমেই বিপদসীমা ছাড়াচ্ছে । পাঁচদিন আগে পশ্চিম কামেং জেলায় নাগমন্দিরের কাছে হড়পা বানে রাস্তা ও সেতু ভেসে অনেক গাড়ি আটকে ছিল ।

রাজ্যের পরিস্থিতি সামলাতে 84 জন ডুবুরি-সহ তিন কম্পানি NDRF মোতায়েন আছে । NDRF পাঠানো হয়েছে শিবসাগর, তিনসুকিয়া, শোনিতপুর, ধেমাজি, শিলচর, জোড়হাট, বঙ্গাইগাঁওতে । কাজিরাঙা, ওরাং, পবিতরার অরণ্যের সিংহভাগই জলের তলায় । এই সুযোগে যাতে চোরাশিকারিরা সক্রিয় না হতে পারে সেদিকেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে ।

গুয়াহাটি, 15 জুলাই : অসমে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই শোচনীয় হচ্ছে । ব্রহ্মপুত্র নদের জলস্তর বিপদসীমা পেরিয়ে গেল আজ । বিপদসীমার চেয়েও 1.5 সেন্টিমিটার বেশি রয়েছে জলস্তর । প্রতি ঘণ্টায় 2-3 সেন্টিমিটার জলস্তর বাড়ছে, জানিয়েছে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন । তবে অসম প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা সবরকমভাবে প্রস্তুত রয়েছে । 33টি জেলার মধ্যে 30টি জেলা জলের তলায়। প্রায় 43 লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই বন্যা পরিস্থিতির ফলে ।

এই নিয়ে অসমে বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল 11 । রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনির তরফে জানানো হয়েছে, জোড়হাট, বরপেটা ও ধুবড়িতে 4 জনের মৃত্যু হয়েছে । এখনও পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন 28 জেলার প্রায় সাড়ে 26 লাখ মানুষ । মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানও । সংকটে বন্যপ্রাণীরাও ।

মাজুলি থেকে 4টি হরিণকে উদ্ধার করা হয়েছে । জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছিল প্রাণীগুলি । পরে লখিমপুর এলাকার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের । প্রায় 150টি হাতি খাদ্য সংকটে ভুগছে ওই এলাকায়। বনদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে একথাই ।

কাজিরাঙ্গা (কাজিরাঙা) অভয়ারণ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ভেসে যাওয়ায় সঙ্কটে বন্যপ্রাণীরা । তাদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে । এদিকে মেঘালয়ে কোনও প্রাণহানি না হলেও ভেঙে পড়ছে বাড়ি । ধস নেমেছে বেশ কয়েকটি পাহাড়ে । ত্রিপুরাতে অতিবৃষ্টির জেরে খাস আগরতলাতেই জলবন্দি অনেক মানুষ ।

মিজোরামে খাওতলাং তুইপুই (কর্ণফুলি নদী) নদীর বন্যার জেরে লাবুং এলাকা থেকে 200 পরিবারকে সরানো হয়েছে । রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নামছে ধস । অনেক সড়ক বন্ধ । অরুণাচলের পূর্ব সিয়াং জেলায় সিয়াং নদী বিপদসীমার উপরে বইছে । সিকু নদীর বন্যায় সেতু ভেসেছে । কাদাং, গপোক, সিসার, তারো তামাক, সুবনসিরি, দিবাং, জোনা, ডিক্রং নদীগুলি ক্রমেই বিপদসীমা ছাড়াচ্ছে । পাঁচদিন আগে পশ্চিম কামেং জেলায় নাগমন্দিরের কাছে হড়পা বানে রাস্তা ও সেতু ভেসে অনেক গাড়ি আটকে ছিল ।

রাজ্যের পরিস্থিতি সামলাতে 84 জন ডুবুরি-সহ তিন কম্পানি NDRF মোতায়েন আছে । NDRF পাঠানো হয়েছে শিবসাগর, তিনসুকিয়া, শোনিতপুর, ধেমাজি, শিলচর, জোড়হাট, বঙ্গাইগাঁওতে । কাজিরাঙা, ওরাং, পবিতরার অরণ্যের সিংহভাগই জলের তলায় । এই সুযোগে যাতে চোরাশিকারিরা সক্রিয় না হতে পারে সেদিকেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে ।


Thane (Maharashtra), July 15 (ANI): Several parts of Maharashtra continue to reel under flood-like situation from the past few days. Children are forced to cross the flooded road in Bangarwadi area to reach their school. Normal lives are badly affected due to continuous rain from past few days. Commuters are finding it difficult to travel as some of the roads have been damaged.
Last Updated : Jul 15, 2019, 8:27 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.