দিল্লি, 7 এপ্রিল : কোরোনা মোকাবিলায় এবার 5-T পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি কেজরিওয়াল সরকার । পরীক্ষা (টেস্টিং), শনাক্তকরণ (ট্রেসিং), চিকিৎসা (ট্রিটমেন্ট), দলগত প্রচেষ্টা (টিম ওয়ার্ক) ও পর্যবেক্ষণ করা (ট্র্যাকিং) । এই পাঁচ মন্ত্রেই জয় আসবে কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে । এমনটাই মনে করছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ।
আজ সাংবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, রাজধানীর কোরোনা হট-স্পট এলাকাগুলিতে প্রায় এক লাখ মানুষের ব়্যাপিড টেস্ট করার পরিকল্পনা নিয়েছে দিল্লি সরকার । শুক্রবার (10 এপ্রিল) থেকে এই প্রক্রিয়া চালু হবে । টেস্ট কিটগুলি এখনও এসে না পৌঁছানোর কারণেই কাজ এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি ।
কেজরিওয়াল আরও জানান, রাজধানীতে এই মুহূর্তে যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো রয়েছে, তাতে কোরোনার প্রায় আট হাজার সংক্রমণ মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত । এই মুহূর্তে রাজধানীতে 525 জন ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে এখনও পর্যন্ত তিন হাজার বেড তৈরি আছে । যদি আরও দশগুণ বেশি বেড দরকার পরে, তবে তারও পরিকল্পনা করা রয়েছে বলে দিল্লিবাসীকে আশ্বস্ত করেন কেজরিওয়াল ।
পরিস্থিতি যদি সেই পর্যায়ে যায়, তবে রাজধানীর হোটেল ও গেস্ট হাউজ়গুলিকেও ব্যবহার করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তিনি । সেক্ষেত্রে যারা বয়স্ক, তাদের রাখা হবে হাসপাতালগুলিতে । আর যাদের বয়স পঞ্চাশের নীচে, তাদের রাখা হবে হোটেল, ধরমশালা ও আশ্রমগুলিতে । তবে হোটেল, ধরমশালা ও আশ্রমগুলিতেও থাকবে সবরকম স্বাস্থ্য পরিষেবা ।
এখনও পর্যন্ত লোক নারায়ণ জয় প্রকাশ হাসপাতাল, জি বি পান্ত হাসাপাতাল, রাজীব গান্ধি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালসহ মোট চারটি হাসপাতালকে কোরোনা হাসপাতাল হিসেবে পৃথক করা হয়েছে ।