ভোপাল, 16 অক্টোবর : প্রায়ই রোগীদের অবহেলায় পড়ে থাকতে দেখা যায় বিভিন্ন হাসপাতালে ৷ কখনও মেলে না বেড, কখনও আবার লম্বা নিয়মের ঝক্কি ৷ তবে এবার ছবিটা একটু অন্যরকম ৷ মধ্যপ্রদেশের শিবপুরীর এক সরকারি হাসপাতালে পড়ে রয়েছে এক মৃতদেহ ৷ চোখের উপর হাঁটছে পিঁপড়ে ৷ অসহায়ভাবে পাশে বসে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ৷ এক হাতে চোখের জল মুছছেন, অন্য হাতে পিঁপড়েগুলি সরানোর চেষ্টা করছেন ৷ কিন্তু, একটিবারের জন্য দেখা মিলছে না হাসপাতালের একজনেরও ৷ সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ছবি ৷ আর ছবি ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ৷ তড়িঘড়ি সাসপেন্ড করা হয়েছে হাসপাতালের পাঁচ জন চিকিৎসককে ৷
ঘটনা ঘিরে গতকাল থেকেই সোশাল মিডিয়ায় তীব্র নিন্দার ঝড় ৷ বিষয়টি চোখ এড়ায়নি মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথেরও ৷ তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশও দেন তিনি ৷ শেষমেশ এক সার্জেন-সহ পাঁচ চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ টুইটবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, একটা মৃতদেহের চোখের উপর দিয়ে পিঁপড়ে হাঁটা-চলা করছে, এটি চূড়ান্ত অসংবেদনশীল ঘটনা ৷ মানবতার জন্য লজ্জা ৷ এ ধরনের ঘটনা কখনও বরদাস্ত করা হবে না ৷ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি ৷ দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷
-
शिवपुरी में ज़िला अस्पताल में एक मरीज़ की मौत होने पर उसके शव पर चींटियाँ चलने व इस घटना पर बरती गयी लापरवाही की घटना बेहद असंवेदनशीलता की परियाचक।
— Office Of Kamal Nath (@OfficeOfKNath) October 16, 2019 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
1/2
">शिवपुरी में ज़िला अस्पताल में एक मरीज़ की मौत होने पर उसके शव पर चींटियाँ चलने व इस घटना पर बरती गयी लापरवाही की घटना बेहद असंवेदनशीलता की परियाचक।
— Office Of Kamal Nath (@OfficeOfKNath) October 16, 2019
1/2शिवपुरी में ज़िला अस्पताल में एक मरीज़ की मौत होने पर उसके शव पर चींटियाँ चलने व इस घटना पर बरती गयी लापरवाही की घटना बेहद असंवेदनशीलता की परियाचक।
— Office Of Kamal Nath (@OfficeOfKNath) October 16, 2019
1/2
50 বছর বয়সী বালচন্দ্র লোধি যক্ষ্মায় ভুগছিলেন ৷ গতকাল সকালেই তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ পাঁচ ঘণ্টা পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷ কিন্তু, মৃত ঘোষণা করার পর বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলও মৃতদেহ ওয়ার্ডের মধ্যেই পড়েছিল ৷ বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান অন্য রোগীরা ৷ যদিও তাতেও কোনও লাভের লাভ হয়নি ৷
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, বালচন্দ্রকে একবারও ছুঁয়েও দেখেননি চিকিৎসকরা ৷ কিন্তু তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন ৷ বালচন্দ্রের পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করলেও হাসপাতালের তরফে আর কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি ৷ এমনকি, দেহটি অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হয়নি ৷ বার বার কর্তব্যরত চিকিৎসক-নার্স-আয়ার কাছে অনুরোধ করা হলেও, তাঁরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি ৷