ইম্ফল ও দিল্লি, 30 জুলাই : ফের রক্তাক্ত উত্তর-পূর্ব । জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে মণিপুরে শহিদ অসম রাইফেলের তিন জওয়ান । সূত্রের খবর, জখম হয়েছেন আরও পাঁচ জওয়ান । মণিপুরের চান্দেল জেলার ভারত-মায়ানমার সীমান্ত এলাকার ঘটনা । ইম্ফল থেকে মাত্র একশো কিলোমিটারের মধ্যে । ঘটনায় টুইট করেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরির । বারবার জওয়ানদের উপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁর টুইট, "আবার রক্তাক্ত উত্তর-পূর্ব । উত্তর-পূর্বের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় আমাদের তিন জওয়ান শহিদ হয়েছেন । ভারতের মাটিকে রক্তাক্ত করার জন্য চিন এবার গোপন আঁতাত করছে । সরকারের উচিত মায়ানমারের সঙ্গে এ-বিষয়ে কথা বলা । এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার পক্ষেও বিপজ্জনক ।"
-
North-East India is again bloodied, our jawans are killed by the NE insurgents, another nefarious act in collusion with China in order to bleed India, Govt should take Myanmar into confidence as these insurgents are also threatening the stability of Myanmar.
— Adhir Chowdhury (@adhirrcinc) July 30, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">North-East India is again bloodied, our jawans are killed by the NE insurgents, another nefarious act in collusion with China in order to bleed India, Govt should take Myanmar into confidence as these insurgents are also threatening the stability of Myanmar.
— Adhir Chowdhury (@adhirrcinc) July 30, 2020North-East India is again bloodied, our jawans are killed by the NE insurgents, another nefarious act in collusion with China in order to bleed India, Govt should take Myanmar into confidence as these insurgents are also threatening the stability of Myanmar.
— Adhir Chowdhury (@adhirrcinc) July 30, 2020
অসম রাইফেলের জওয়ানরা গত সন্ধ্যায় টহল দিচ্ছিলেন সীমান্তবর্তী এলাকায় । তখনই জওয়ানদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় জঙ্গিরা । প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে ওই জঙ্গিরা উত্তরপূর্বের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)-র সদস্য ।
সূত্রের খবর, জওয়ানদের লক্ষ্য করে প্রথমে IED বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা । প্রাথমিক হামলার রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের হামলা । এবার এলোপাথাড়ি গুলি আর সঙ্গে গ্রেনেড লঞ্চার । অতর্কিতে হামলায় অসম রাইফেলের তিন জওয়ান শহিদ হন । জখম হয়েছেন আরও পাঁচজন ।
নিজের ফেসবুকে এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং । লিখেছেন, যেভাবে কাপুরুষের মতো অসম রাইফেলের জওয়ানদের উপর হামলা হয়েছে তা তীব্র নিন্দনীয় । এই কাপুরুষতা ও নৃশংসতায় যে জওয়ানরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই । শহিদদের পরিবারকে জানাই আমার সমবেদনা ।"
এই প্রথম নয় । এর আগে 2015 সালের জুনেও রক্তাক্ত হয়েছিল উত্তর-পূর্ব । 18 জন জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন । সেবারের হামলার মূলে ছিল NSCN(K) ও ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ মণিপুর (UNLF) ।