ETV Bharat / bharat

সীমান্তে অনুপ্রবেশ বাড়তে পারে, সক্রিয় হচ্ছে জঙ্গি কার্যকলাপ - পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর

PoK- এ সমস্ত সন্ত্রাসবাদী শিবির ও 15 টি লঞ্চ প্যাড ভরে গেছে বলে মত শীর্ষ সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনেরাল বি এস রাজুর । তাঁর আশঙ্কা জম্মু ও কাশ্মীরের ক্রমহ্রাসমান সন্ত্রাসবাদী ক্যাডারগুলিকে পূরণ করতে এই গ্রীষ্মে সীমান্তের ওপার থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়বে ।

Terrorist
জঙ্গি
author img

By

Published : May 31, 2020, 6:10 PM IST

দিল্লি, 31 মে : পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সমস্ত সন্ত্রাসবাদী শিবির ও 15 টি লঞ্চ প্যাড ভরে গেছে বলে মত শীর্ষসেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনেরাল বি এস রাজুর । তাঁর আশঙ্কা জম্মু ও কাশ্মীরেরক্রমহ্রাসমান সন্ত্রাসবাদী ক্যাডারগুলিকে পূরণ করতে এই গ্রীষ্মে সীমান্তের ওপারথেকে অনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়বে ।

একটি সংবাদসংস্থাকে সাক্ষাতকারে বি এস রাজু জানান, সন্ত্রাসবাদের ভিত কার্যত ভেঙে গেছে ।তাই পাকিস্তান এটা হজম করতে পারছে না যে, কাশ্মীরের মানুষ শান্তিতে আছে এবংসেখানে আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে । তিনি বলেন, "সন্ত্রাসবাদীদেরখতম করে সাফল্য অর্জন করায় জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের ভিত ভেঙে গেছে । আমাদেরঅনুমান, এই মৃত সন্ত্রাসবাদীদের জায়গা পূরণ করতে এই গ্রীষ্মে সীমান্তেঅনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়বে । পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সমস্ত জঙ্গি শিবির ও 15 টা লঞ্চ প্যাড ভরে গেছে । এইসন্ত্রাসবাদী ক্যাডারগুলি পাকিস্তান সেনার সাহায্যে অনুপ্রবেশে মরিয়া হয়ে রয়েছে ।"

লেফটেন্যান্ট জেনেরাল জানান, 30 বছরের বেশি সময় ধরে পাকিস্তান ভারতেঅনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে । তিনি বলেন, "সন্ত্রাসবাদী দলগুলির অনুপ্রবেশেসাহায্য করতে পাকিস্তানের সেনা একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে । কিন্তু আমাদেরতরফে তাদের প্রত্যেকটি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের দ্রুত ও কঠোর উত্তর দেওয়া হয়েছে । ফলেপাকিস্তান হতাশ হয়েছে । যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়ে আমাদের কার্যকর প্রতিক্রিয়াপাকিস্তানকে তাদের লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে অসহায় করে দিয়েছে। "

1984-র ব্যাচের প্রাক্তনী এই লেফটেন্যান্ট জেনেরাল বগ্গাবল্লি সোমাশেকররাজু এর আগে LoC-র সঙ্গে ব্রিগেডের কমান্ডারের পদে কর্মরত ছিলেন । পরে "ভিক্টরফোর্সে" নেতৃত্ব দেন । এই ভিক্টর ফোর্স সেনাবাহিনীরই একটি অংশ । এই দলটিদক্ষিণ কাশ্মীরে মোতায়েন থাকে । তিনি সাক্ষাতকারে বলেন, "যারা দেশের সার্বভৌমত্বেরবিরুদ্ধে গিয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নেবে বা বাজে উদ্দেশ্য থাকবে তাদের আরও কঠিনশাস্তির মুখোমুখি হতে হবে । "

বর্তমানে গোট বিশ্ব কোরোনার সঙ্গে মোকাবিলা করছে । ঠিক এই সময়েইঅনুপ্রবেশের ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে । এরকম পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করচে সেনা? উত্তরে বি এস রাজু বলেন, "কাশ্মীরের মানুষ যে শান্তিতে রয়েছেএবং সেখানে আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে তা পাকিস্তান হজম করতে পারছে না। "

বি এস রাজু বলেন,"যখন গোটা বিশ্ব ঐক্যবদ্ধভাবে কোরোনাসঙ্গে লড়াই করছে তখনও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শত্রুভাবাপন্ন কাজগুলিরসঙ্গে জড়িত । সীমান্তে আমাদের জওয়ানরা যে কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। "

কোরোনা প্রসঙ্গে এই শীর্ষ সেনা কমান্ডার বলেন, "সেনা পেশাদারিত্বেরসঙ্গে ভারতে কোরোনার সঙ্গে লড়াই করছে । একইসঙ্গে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সমস্তনাশকতামূলক কাজকে রুখছে ।" পাশাপাশি হিজ়বুল মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীরকমান্ডার তথা শীর্ষ জঙ্গি নেতা রেয়াজ় নাইকু ও জুনেদ আশরাফ শেরাই-এর মৃত্যুপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, "গত এক বছরে সমস্ত জঙ্গি শিবিরের সব নেতাকে খতম করা হয়েছে ।নেতৃত্বদের হারানোর পর ইতিমধ্যে একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়েছে ।"

সীমান্তে অনুপ্রবেশ বাড়তে পারে,সক্রিয় হচ্ছে জঙ্গি কার্যকলাপ

দিল্লি, 31 মে : পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সমস্ত সন্ত্রাসবাদী শিবির ও 15 টি লঞ্চ প্যাড ভরে গেছে বলে মত শীর্ষসেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনেরাল বি এস রাজুর । তাঁর আশঙ্কা জম্মু ও কাশ্মীরেরক্রমহ্রাসমান সন্ত্রাসবাদী ক্যাডারগুলিকে পূরণ করতে এই গ্রীষ্মে সীমান্তের ওপারথেকে অনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়বে ।

একটি সংবাদসংস্থাকে সাক্ষাতকারে বি এস রাজু জানান, সন্ত্রাসবাদের ভিত কার্যত ভেঙে গেছে ।তাই পাকিস্তান এটা হজম করতে পারছে না যে, কাশ্মীরের মানুষ শান্তিতে আছে এবংসেখানে আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে । তিনি বলেন, "সন্ত্রাসবাদীদেরখতম করে সাফল্য অর্জন করায় জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের ভিত ভেঙে গেছে । আমাদেরঅনুমান, এই মৃত সন্ত্রাসবাদীদের জায়গা পূরণ করতে এই গ্রীষ্মে সীমান্তেঅনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়বে । পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সমস্ত জঙ্গি শিবির ও 15 টা লঞ্চ প্যাড ভরে গেছে । এইসন্ত্রাসবাদী ক্যাডারগুলি পাকিস্তান সেনার সাহায্যে অনুপ্রবেশে মরিয়া হয়ে রয়েছে ।"

লেফটেন্যান্ট জেনেরাল জানান, 30 বছরের বেশি সময় ধরে পাকিস্তান ভারতেঅনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে । তিনি বলেন, "সন্ত্রাসবাদী দলগুলির অনুপ্রবেশেসাহায্য করতে পাকিস্তানের সেনা একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে । কিন্তু আমাদেরতরফে তাদের প্রত্যেকটি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের দ্রুত ও কঠোর উত্তর দেওয়া হয়েছে । ফলেপাকিস্তান হতাশ হয়েছে । যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়ে আমাদের কার্যকর প্রতিক্রিয়াপাকিস্তানকে তাদের লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে অসহায় করে দিয়েছে। "

1984-র ব্যাচের প্রাক্তনী এই লেফটেন্যান্ট জেনেরাল বগ্গাবল্লি সোমাশেকররাজু এর আগে LoC-র সঙ্গে ব্রিগেডের কমান্ডারের পদে কর্মরত ছিলেন । পরে "ভিক্টরফোর্সে" নেতৃত্ব দেন । এই ভিক্টর ফোর্স সেনাবাহিনীরই একটি অংশ । এই দলটিদক্ষিণ কাশ্মীরে মোতায়েন থাকে । তিনি সাক্ষাতকারে বলেন, "যারা দেশের সার্বভৌমত্বেরবিরুদ্ধে গিয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নেবে বা বাজে উদ্দেশ্য থাকবে তাদের আরও কঠিনশাস্তির মুখোমুখি হতে হবে । "

বর্তমানে গোট বিশ্ব কোরোনার সঙ্গে মোকাবিলা করছে । ঠিক এই সময়েইঅনুপ্রবেশের ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে । এরকম পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করচে সেনা? উত্তরে বি এস রাজু বলেন, "কাশ্মীরের মানুষ যে শান্তিতে রয়েছেএবং সেখানে আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে তা পাকিস্তান হজম করতে পারছে না। "

বি এস রাজু বলেন,"যখন গোটা বিশ্ব ঐক্যবদ্ধভাবে কোরোনাসঙ্গে লড়াই করছে তখনও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শত্রুভাবাপন্ন কাজগুলিরসঙ্গে জড়িত । সীমান্তে আমাদের জওয়ানরা যে কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। "

কোরোনা প্রসঙ্গে এই শীর্ষ সেনা কমান্ডার বলেন, "সেনা পেশাদারিত্বেরসঙ্গে ভারতে কোরোনার সঙ্গে লড়াই করছে । একইসঙ্গে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সমস্তনাশকতামূলক কাজকে রুখছে ।" পাশাপাশি হিজ়বুল মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীরকমান্ডার তথা শীর্ষ জঙ্গি নেতা রেয়াজ় নাইকু ও জুনেদ আশরাফ শেরাই-এর মৃত্যুপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, "গত এক বছরে সমস্ত জঙ্গি শিবিরের সব নেতাকে খতম করা হয়েছে ।নেতৃত্বদের হারানোর পর ইতিমধ্যে একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়েছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.