দিল্লি, 31 মে : পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সমস্ত সন্ত্রাসবাদী শিবির ও 15 টি লঞ্চ প্যাড ভরে গেছে বলে মত শীর্ষসেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনেরাল বি এস রাজুর । তাঁর আশঙ্কা জম্মু ও কাশ্মীরেরক্রমহ্রাসমান সন্ত্রাসবাদী ক্যাডারগুলিকে পূরণ করতে এই গ্রীষ্মে সীমান্তের ওপারথেকে অনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়বে ।
একটি সংবাদসংস্থাকে সাক্ষাতকারে বি এস রাজু জানান, সন্ত্রাসবাদের ভিত কার্যত ভেঙে গেছে ।তাই পাকিস্তান এটা হজম করতে পারছে না যে, কাশ্মীরের মানুষ শান্তিতে আছে এবংসেখানে আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে । তিনি বলেন, "সন্ত্রাসবাদীদেরখতম করে সাফল্য অর্জন করায় জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের ভিত ভেঙে গেছে । আমাদেরঅনুমান, এই মৃত সন্ত্রাসবাদীদের জায়গা পূরণ করতে এই গ্রীষ্মে সীমান্তেঅনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়বে । পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সমস্ত জঙ্গি শিবির ও 15 টা লঞ্চ প্যাড ভরে গেছে । এইসন্ত্রাসবাদী ক্যাডারগুলি পাকিস্তান সেনার সাহায্যে অনুপ্রবেশে মরিয়া হয়ে রয়েছে ।"
লেফটেন্যান্ট জেনেরাল জানান, 30 বছরের বেশি সময় ধরে পাকিস্তান ভারতেঅনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে । তিনি বলেন, "সন্ত্রাসবাদী দলগুলির অনুপ্রবেশেসাহায্য করতে পাকিস্তানের সেনা একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে । কিন্তু আমাদেরতরফে তাদের প্রত্যেকটি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের দ্রুত ও কঠোর উত্তর দেওয়া হয়েছে । ফলেপাকিস্তান হতাশ হয়েছে । যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়ে আমাদের কার্যকর প্রতিক্রিয়াপাকিস্তানকে তাদের লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে অসহায় করে দিয়েছে। "
1984-র ব্যাচের প্রাক্তনী এই লেফটেন্যান্ট জেনেরাল বগ্গাবল্লি সোমাশেকররাজু এর আগে LoC-র সঙ্গে ব্রিগেডের কমান্ডারের পদে কর্মরত ছিলেন । পরে "ভিক্টরফোর্সে" নেতৃত্ব দেন । এই ভিক্টর ফোর্স সেনাবাহিনীরই একটি অংশ । এই দলটিদক্ষিণ কাশ্মীরে মোতায়েন থাকে । তিনি সাক্ষাতকারে বলেন, "যারা দেশের সার্বভৌমত্বেরবিরুদ্ধে গিয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নেবে বা বাজে উদ্দেশ্য থাকবে তাদের আরও কঠিনশাস্তির মুখোমুখি হতে হবে । "
বর্তমানে গোট বিশ্ব কোরোনার সঙ্গে মোকাবিলা করছে । ঠিক এই সময়েইঅনুপ্রবেশের ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে । এরকম পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করচে সেনা? উত্তরে বি এস রাজু বলেন, "কাশ্মীরের মানুষ যে শান্তিতে রয়েছেএবং সেখানে আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে তা পাকিস্তান হজম করতে পারছে না। "
বি এস রাজু বলেন,"যখন গোটা বিশ্ব ঐক্যবদ্ধভাবে কোরোনাসঙ্গে লড়াই করছে তখনও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শত্রুভাবাপন্ন কাজগুলিরসঙ্গে জড়িত । সীমান্তে আমাদের জওয়ানরা যে কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। "
কোরোনা প্রসঙ্গে এই শীর্ষ সেনা কমান্ডার বলেন, "সেনা পেশাদারিত্বেরসঙ্গে ভারতে কোরোনার সঙ্গে লড়াই করছে । একইসঙ্গে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সমস্তনাশকতামূলক কাজকে রুখছে ।" পাশাপাশি হিজ়বুল মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীরকমান্ডার তথা শীর্ষ জঙ্গি নেতা রেয়াজ় নাইকু ও জুনেদ আশরাফ শেরাই-এর মৃত্যুপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, "গত এক বছরে সমস্ত জঙ্গি শিবিরের সব নেতাকে খতম করা হয়েছে ।নেতৃত্বদের হারানোর পর ইতিমধ্যে একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়েছে ।"