ETV Bharat / bharat

আলিগড়ের মেকানিকের ছেলে অ্যামেরিকার হাইস্কুলের পরীক্ষায় প্রথম - মেকানিকের ছেলে

মোটর মেকানিকের ছেলে মহম্মদ শাদাব অ্যামেরিকায় একটি বিদ্যালয়ে 800 জনের মধ্যে প্রথম হয়েছেন। শাদাব মানবাধিকার কর্মকর্তা হিসাবে রাষ্ট্রসংঘে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন৷

Aligarh
Aligarh
author img

By

Published : Jul 21, 2020, 7:41 AM IST

আলিগড়, 21 জুলাই : আরশাদ নূর ৷ দীর্ঘ 25 বছর ধরে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের একটি গাড়ি কারখানায় কাজ করেন । আর্থিক অনটনই আরশাদ এবং তাঁর পরিবারের রোজনামচা । তবুও বরাবরই স্বপ্ন দেখেছেন, ছেলেকে IAS অফিসার করে দেশের উন্নতিতে শামিল করানোর । বলা যেতে পারে, সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে পূরণ হতে চলেছে।

আরশাদ নূরের ছেলে মহম্মদ শাদাব ৷ গত বছর কেনেডি-লুগার ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে অ্যামেরিকায় যায় দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষা গ্রহণ করতে। আনন্দিত শাদব জানান, " গত বছর আমি কেনেডি-লুগার ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ স্কলারশিপ প্রোগ্রামে মার্কিন সরকারের কাছ থেকে 20 লাখ টাকার স্কলারশিপ পেয়েছিলাম। এরপরে আমি সেখানকার একটি স্কুলে 11 এবং 12 ক্লাসে পড়ার জন্য যাই।

800 জন শিক্ষার্থীর মধ্যে শাদাবকে অ্যামেরিকার ওই স্কুলটি 'স্টুডেন্ট অফ দ্য মান্থ” নির্বাচিত করেছে । এই কৃতিত্ব সম্পর্কে শাদব বলেন, "আমি স্কুলে শীর্ষস্থান অর্জনের জন্য সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছি ৷ বাড়ির অবস্থা ভালো নয়। আমি আমার বাবা-মাকে সহযোগিতা এবং তাঁদের গর্বিত করতে চাই।"

শাদব ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, "আমাকে অন্য একটি দেশে ভারতের সম্মানকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এই বৃত্তি দেওয়া হয়েছিল। তার জন্য আমি ভারত সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।"

ছেলের বিষয়ে জানতে চাইলে গর্বিত বাবা আরশাদ নূর বলেন, "আমি চাই আমার ছেলে IAS অফিসার হয়ে দেশের সেবা করুক। তবে, শাদাবকে পেশা বাছার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি মানবাধিকার কর্মকর্তা হিসাবে রাষ্ট্রসংঘে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।"

আলিগড়, 21 জুলাই : আরশাদ নূর ৷ দীর্ঘ 25 বছর ধরে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের একটি গাড়ি কারখানায় কাজ করেন । আর্থিক অনটনই আরশাদ এবং তাঁর পরিবারের রোজনামচা । তবুও বরাবরই স্বপ্ন দেখেছেন, ছেলেকে IAS অফিসার করে দেশের উন্নতিতে শামিল করানোর । বলা যেতে পারে, সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে পূরণ হতে চলেছে।

আরশাদ নূরের ছেলে মহম্মদ শাদাব ৷ গত বছর কেনেডি-লুগার ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে অ্যামেরিকায় যায় দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষা গ্রহণ করতে। আনন্দিত শাদব জানান, " গত বছর আমি কেনেডি-লুগার ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ স্কলারশিপ প্রোগ্রামে মার্কিন সরকারের কাছ থেকে 20 লাখ টাকার স্কলারশিপ পেয়েছিলাম। এরপরে আমি সেখানকার একটি স্কুলে 11 এবং 12 ক্লাসে পড়ার জন্য যাই।

800 জন শিক্ষার্থীর মধ্যে শাদাবকে অ্যামেরিকার ওই স্কুলটি 'স্টুডেন্ট অফ দ্য মান্থ” নির্বাচিত করেছে । এই কৃতিত্ব সম্পর্কে শাদব বলেন, "আমি স্কুলে শীর্ষস্থান অর্জনের জন্য সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছি ৷ বাড়ির অবস্থা ভালো নয়। আমি আমার বাবা-মাকে সহযোগিতা এবং তাঁদের গর্বিত করতে চাই।"

শাদব ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, "আমাকে অন্য একটি দেশে ভারতের সম্মানকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এই বৃত্তি দেওয়া হয়েছিল। তার জন্য আমি ভারত সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।"

ছেলের বিষয়ে জানতে চাইলে গর্বিত বাবা আরশাদ নূর বলেন, "আমি চাই আমার ছেলে IAS অফিসার হয়ে দেশের সেবা করুক। তবে, শাদাবকে পেশা বাছার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি মানবাধিকার কর্মকর্তা হিসাবে রাষ্ট্রসংঘে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.