আহমেদাবাদ, ৪ মার্চ : পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের ট্রেনিং ক্যাম্পে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানে কতজন জঙ্গি খতম হয়েছে তা নিয়ে সরকারের তরফে মুখ খোলা হয়নি। BJP-ও মুখে কুলুপ এঁটেছিল। অবশেষে অভিযানের পাঁচদিন পর খতম জঙ্গির সংখ্যা নিয়ে মুখ খুললেন BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। আহমেদাবাদে গতকাল তিনি বলেন, "এয়ার স্ট্রাইকে ২৫০-র বেশি জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে।"
১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ৪০ জন CRPF জওয়ান শহিদ হন। তারপর মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের বালাকোটে জইশের তিনটি ট্রেনিং ক্যাম্পে অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান। সেই অভিযানে জইশের প্রথম সারির একাধিক জঙ্গি নেতাসহ প্রায় ৩০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। কিন্তু, সরকারি তরফে সেই সংখ্যা নিয়ে মুখ খোলা হয়নি। BJP-ও কোনও মন্তব্য করেনি। তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, "কতজন জঙ্গি খতম হয়েছে? আসলে বোমা কোথায় পড়েছে? সেটি কি নির্দিষ্ট টার্গেটেই পড়েছিল? আমাদের তা জানার অধিকার রয়েছে।" এমন কী খোদ BJP সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া দাবি করেন, "অভিযানের পর থেকে সংবাদমাধ্যমের তরফে বলা হচ্ছে ৩০০-র অধিক জঙ্গি খতম হয়েছে। কিন্তু, নরেন্দ্র মোদি বা অমিত শাহ কি সংখ্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন?" তা নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। তারপর আজ সর্বপ্রথম BJP-র তরফে খতম জঙ্গির বিষয়ে জনসমক্ষে কোনও সংখ্যা পেশ করা হল।
জঙ্গি খতমের বিষয়ে মুখ খোলার পাশাপাশি অমিত শাহ বলেন, "পুলওয়ামা হামলার পর সবাই ভেবেছিল এই মুহূর্তে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালানো যাবে না। এখন কী হবে? আর তখনই হামলার ১৩ দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকার এয়ার স্ট্রাইক চালায়। তাতে ২৫০-রও বেশি জঙ্গিকে খতম করা হয়।"