বেঙ্গালুরু, 28 জুলাই : ‘কিং মেকার’ নন, হতে চেয়েছিলেন ‘কিং’। ক্ষণিকের জন্য হয়েও ছিলেন । দুর্ভাগ্য, সেই ‘কিং’-এর মাথার মুকুটটি হয়ে গেছিল কাঁটার । এদিকে, আস্থা ভোটে হেরে ‘কিং’ এইচ ডি কুমারস্বামী মুকুট খুলে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন । কিন্তু, নাটক চলছেই কর্নাটকে । আজ 14 জন বিক্ষুব্ধ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করলেন অধ্যক্ষ কে আর রমেশ কুমার ৷ যার মোদ্দা কথা, সোমবার আস্থাভোটের আগে সুবিধাজনক অবস্থায় BJP ৷
প্রায় তিন সপ্তাহ চলা নাটকে পরদা পড়েছিল আস্থাভোটে কুমারস্বামীর হারের পর । লক্ষ্যপূরণ করে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা । সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ তিনি । এবার তাঁর শক্তি পরীক্ষার প্রশ্ন । তার আগেই আজ 14 জন বিক্ষুব্ধ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করলেন অধ্যক্ষ । এর আগে, গত বৃহস্পতিবার, 3 জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হয়েছিল । এই নিয়ে মোট 17 বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হয়ে গেল । ফলে, কর্নাটক বিধানসভায় এখন ম্যাজিক ফিগার হয়ে দাঁড়াল 105, মোট আসন দাঁড়াল 208 । আজ কংগ্রেসের 11 জন ও JD(S)-র 3 জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করা হয় । আগামী বিধানসভা ভোট পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে । সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর অধ্যক্ষ রমেশ কুমারের মন্তব্য, "বিধায়করা আর বিধান সৌধে ঢুকতে পারবেন না । উপনির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন না ।"
এই সংক্রান্ত আরও খবর : আগামীকাল দুপুরে প্রমাণ করতে হবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা, কুমারস্বামীকে চিঠি রাজ্যপালের
2018 সালে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন হয় ৷ 224 আসনের মধ্যে দুটি আসনে ভোট স্থগিত ছিল ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ম্যাজিক ফিগার 112 টপকাতে পারেনি গেরুয়া শিবির ৷ তাদের ঝুলিতে ছিল 104টি আসন ৷ 78টি আসন ছিল কংগ্রেসের দখলে ৷ জনতা দল (সেকুলার)-র জিতেছিল 37টি আসনে ৷ একটি আসন পেয়েছিল মায়াবতীর BSP ৷ দুটি আসনে জিতেছিলেন নির্দল প্রার্থী ৷ এদের মধ্যে একজন পরে BJP-কে সমর্থন করেন ৷ যদিও বছর খানেকের মধ্য কাবেরী দিয়ে জল অনেকটাই বয়ে গেছে৷ এখন কংগ্রেসের দখলে 67 এবং জনতা দল (সেকুলার) 34টি আসন দখলে রাখতে পেরেছে ৷
এই সংক্রান্ত আরও খবর : 4 দিনের নাটক শেষে পতন 14 মাসের সরকারের, আস্থা হারিয়ে পদত্যাগ কুমারস্বামীর
আস্থা হারিয়ে ইয়েদুরাপ্পা শেষবার ইস্তফা দিয়েছিলেন গত বছরই ৷ সে বার তাঁর ভাষণ লাইভ দেখেছিল গোটা দেশ । গোটা রাজ্য কন্নড়ে শুনছিল তাঁর আবেগবিহ্বল বক্তৃতা । সে বার বলেছিলেন, সংখ্যার সামান্য ঘাটতিতে স্বপ্নভঙ্গ হলেও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা । দলীয় নেতৃত্বের প্রতি বার্তা ছিল, ভরসা রাখুন, এই পরাজয়ের শোধ তুলব 2019-এ । এ বার নতুন করে সুযোগ তাঁর সামনে ৷
এই সংক্রান্ত আরও খবর : কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ বি এস ইয়েদুরাপ্পার