দিল্লি, 4 অগাস্ট : উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসক কাফিল খানের মুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন অধীর চৌধুরি ৷ কংগ্রেস নেতার দাবি, অন্যায়ভাবে একজন চিকিৎসককে জেলবন্দী করা রাখা হয়েছে ৷ দ্রুত তাঁকে এই অস্বস্তি থেকে অব্যহতি দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন অধীর ৷
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে পাঠানো ওই চিঠিতে লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা লেখেন, "একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ৷ অবিচার হচ্ছে একজন অসামান্য চিকিৎসক ও সমাজকর্মী কাফিল খানের সঙ্গে ৷ তাঁকে জাতীয় নিরপত্তার দোহাই দিয়ে জেলবন্দী করা হয়েছে ৷ তিনি নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছিলেন ৷ সংসদ ভবনের বাইরে ও ভেতরে আমিও ওই আইনের বিরোধিতা করি ৷ যদিও আমার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হয়নি ৷ নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করা দেশের অসংখ্য মানুষের ক্ষেত্রেও যেমন তাঁর ব্যবহার করা হয়নি ৷
অধীর চৌধুরির আরও লেখেন, "বোধগম্য হল না কেন তরুণ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এমন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হল ! যেখানে ভারতীয় সংবিধানে নাগরিকের মৌলিক অধিকার বিষয়ে স্পষ্ট করে লেখা আছে ৷"
কংগ্রেস নেতা প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দেন, "রাষ্ট্রসংঘও আপনাকে কাফিল খানের মুক্তি বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে ৷ "
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অধীর চৌধুরি লেখেন, "আমার বিশ্বাস অবিচার, বৈষম্য ও প্রতিশোধস্পৃহা রাম রাজত্বে বেমানান ৷ অতএব, বিনীত অনুরোধ, অনুগ্রহ করে কাফিল খানকে দ্রুত এই অস্বস্তি থেকে অব্যহতি দিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন ৷"
নয়া নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আলিগড়ের মিছিল থেকে "আপত্তিজনক" মন্তব্য করায় গ্রেপ্তার করা হয় কাফিল খানকে ৷ 13 ডিসেম্বর, 2019 তারিখে উত্তরপ্রদেশের সিভিল লাইন্স থানায় তাঁর বিরুদ্ধে FIR দায়ের হয় ৷ সেই থেকেই উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসক জেলবন্দী ৷ তার আগে গোরক্ষপুরের শিশুমৃত্যুর ঘটনায় কাফিল খান-সহ 9 জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের হয়েছিল ৷ তরুণ চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ যদিও আদালতে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন ৷