দিল্লি, ৪ মার্চ : শুক্রবারই দেশে ফিরেছেন বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। নিরাপদে তিনি দেশে ফেরায় খুশি গোটা দেশ। দ্রুত সুস্থ হয়ে তিনি ফের ককপিটে প্রত্যাবর্তন করুন, এই কামনা করছেন সকলে। এহেন অভিনন্দন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রথম কমব্যাট পাইলট (যোদ্ধা বিমানচালক) যিনি গুলি করে F-16 এর মতো শক্তিশালী যুদ্ধবিমানকে মাটিতে নামিয়েছেন। এজন্য তিনি নিজে সওয়ারি হয়েছিলেন MiG-21(সোভিয়েত ইউনিয়নের মিকোয়ান-গুরেভিচ ডিজ়াইন বিওরো এর নকশা করেছে) যুদ্ধবিমানে।
পুলওয়ামা হামলার জবাব দিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এয়ার স্ট্রাইক করে ভারতীয় বায়ুসেনা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জইশ ই মহম্মদের একাধিক শিবির। এদিকে ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানও। যদিও ভারতীয় বায়ুসেনার প্রতিরোধের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা। এই হামলা-পালটা হামলার সময়ই পাকিস্তানের মূল্যবান যুদ্ধবিমান F-16 ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। এমন কী ২ আসনবিশিষ্ট ওই বিমানের চালকও নিহত হন বলে খবর। F-16 এর মতো মূল্যবান যুদ্ধবিমান হারানো পাকিস্তানি বায়ুসেনার কাছে বড়সড় ধাক্কা।
ভারতের দখলে থাকা MiG-21 বাইসন উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান। যদিও তা F-16 এর সমতুল্য নয়। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রের কাছে নিজেদের কমব্যাট স্কয়্যাড্রনের এই অবস্থার কথা জানিয়ে এসেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। জরুরি ভিত্তিতে ১০০ যুদ্ধবিমানের দাবিও জানানো হয়। যদিও এখনও তার অনুমোদন হয়নি। রাজনৈতিক কারণে সামগ্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে IAF-এর অধীনে থাকা SU-30 MKIও দুদশকের পুরোনো। শুধু তাই নয়, এর উন্নয়নও প্রয়োজন। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা দেশ পাকিস্তান এক্ষেত্রে শক্তিশালী যুদ্ধবিমান সংগ্রহে রেখেছে।
F-16 এর মতোই অস্ত্র বহন করে MiG-21 বাইসন। যদিও কিছু ক্ষেত্রে পিছিয়ে বাইসন। এদিকে সময়ে সময়ে মিরাজ-২০০০ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেন বাইসনের পাইলটরা। কিন্তু, খুব কম সময়ই F-16 এর মতো শক্তিশালী যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ হয় তাঁদের। কোনও বন্ধু দেশ যাদের অধীনে F-16 রয়েছে তাদের সঙ্গে এই চর্চার সুযোগ অবশ্য রয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানি বায়ুসেনার কাছে গুটিকয়েক F-16 রয়েছে। কাজেই তাদেরও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
অভিযান চলার সময় একজন যুদ্ধবিমান চালক কৌশল ঠিক করেন। সেই কৌশলই প্রয়োগ করার সময় কোনওভাবে আঘাত পায় অভিনন্দনের বিমান। যদিও কীভাবে এই আঘাত লাগল তা এখনও জানা যায়নি। নিচ থেকে গুলি চালিয়ে নাকি মিজ়াইল নিক্ষেপ করে আঘাত হানা হয়েছে তা পরীক্ষা করে নিশ্চয়ই দেখা হবে পরবর্তীকালে।