ETV Bharat / bharat

এতগুলো সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচনই সংবিধানের মাহাত্ম্য প্রমাণ করে

ভারতের সংবিধান শুধু নমনীয়ই নয় , অন্য অনেক দেশের থেকে শক্তিশালী । মজবুত সংবিধানের জন্যই দেশের প্রতিটা মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারে । আলোচনায় বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ।

সংবিধান
সংবিধান
author img

By

Published : Nov 26, 2019, 12:04 PM IST

Updated : Nov 26, 2019, 12:19 PM IST

কলকাতা, 26 নভেম্বর : ভারতের সংবিধানকে আমার বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বলে মনে হয় । এই সংবিধান কেবল নমনীয় তাই নয়, আর পাঁচটা দেশের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালীও । আমাদের দেশে যেরূপ শান্তিপূর্ণ ভাবে, বিনা রক্তপাতে নির্বাচন হয়, সেটাই একটা প্রকৃত সংবিধানের বৈশিষ্ট্য । এটাই আমাদের দেশের গণতন্ত্রের সাফল্য ।

1949 সালের 26 নভেম্বর । গণপরিষদে গৃহীত হয়েছিল সংবিধান । পরের বছর 1950 সালের 26 জানুয়ারি থেকে এই সংবিধান কার্যকর হয় । সে দিনের কথা আজও মনে পড়ে । গর্ব বোধ হয় ।

গণতন্ত্রকে বাঁচাতে সংবিধানে বেশ কিছু বিধান রয়েছে । একাধিক কারণে বহুবার সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে । সন্দেহ নেই, এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে গণতান্ত্রিক কাঠামোকে মজবুত করার জন্য । আজকাল, সংবিধানের বেশ কিছু ধারা নিয়ে অনেক বিরূপ মন্তব্য কানে আসে । কিন্তু আমার মনে হয় এতগুলো বছর পরও সংবিধান স্বমহিমায় উজ্জ্বল । এর গুরুত্ব বিন্দুমাত্র হ্রাস পায়নি । এর সব থেকে বড় উদাহরণ শান্তিপূর্ণ ভাবে গণতান্ত্রিক উপায় অবাধ নির্বাচন । একটা সুস্থ-মজবুত-সবল-ভারসাম্যপূর্ণ গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, কিন্তু বিন্দুমাত্র রক্তক্ষরণ হবে না । দেশের এতগুলো সাধারণ নির্বাচনের দিকে চোখ বোলালেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায় । এ দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এক দল থেকে অন্য দলে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয় । কোনও দিন সেনাবাহিনী বন্দুকের সাহায্যে ক্ষমতা দখল করেনি । প্রতিবেশী অনেক দেশে রক্তক্ষয়ী পালাবদলের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি । ভারতে কোনও দিন এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি ।

"সে দিনের কথা আজও মনে পড়ে , গর্ব বোধ হয় "

সংবিধানের 70 বছর উপলক্ষ্যে একটা কথা মনে রাখতে হবে । যেহেতু আমাদের দেশের সংবিধান অনেক বেশি নমনীয়-পরিবর্তশীল, তাই ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে একে আরও শক্তিশালী-মজবুত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত । আমি মনে করি, ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে একে আরও মজবুত করা যেতে পারে । এটাও ঠিক, অনেক ক্ষেত্রে সংবিধানের লিপিবদ্ধ অনেক কিছু ঠিক মতো মানা হয় না । তবে, তার জন্য একে আস্তাকুঁড়েতে ফেলে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠছে না ।

ভারতের মতো 130 কোটির দেশে প্রতিটি মানুষ শান্তিতে-নিরাপদে বসবাস করতে পারেন, তার কারণ একটা সুষ্ঠু সংবিধানের অবস্থান । ভারতের গণতন্ত্র বিশ্বশ্রেষ্ঠ । সংবিধানের ছত্রে ছত্রে এই গণতান্ত্রিক কাঠামোর কথা উল্লেখ আছে । এই সংবিধানকে মেনে চলা আমাদের একান্ত কর্তব্য । এই দায়িত্ব শুধু প্রতিটি আমজনতার নয়, এই দায়িত্ব পালন করতে হবে সরকারকেও । অনেক সময় কোনও কোনও সরকারের কাজে সংবিধান-গণতন্ত্র না মানায় ছবিটা ধরা পড়ে । এই বিষয়টায় সচেতন হতে হবে । আমাদের সাংবিধানিক কাঠামোকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের । প্রতিটি সরকারের উচিত সেই দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করা ।

কলকাতা, 26 নভেম্বর : ভারতের সংবিধানকে আমার বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বলে মনে হয় । এই সংবিধান কেবল নমনীয় তাই নয়, আর পাঁচটা দেশের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালীও । আমাদের দেশে যেরূপ শান্তিপূর্ণ ভাবে, বিনা রক্তপাতে নির্বাচন হয়, সেটাই একটা প্রকৃত সংবিধানের বৈশিষ্ট্য । এটাই আমাদের দেশের গণতন্ত্রের সাফল্য ।

1949 সালের 26 নভেম্বর । গণপরিষদে গৃহীত হয়েছিল সংবিধান । পরের বছর 1950 সালের 26 জানুয়ারি থেকে এই সংবিধান কার্যকর হয় । সে দিনের কথা আজও মনে পড়ে । গর্ব বোধ হয় ।

গণতন্ত্রকে বাঁচাতে সংবিধানে বেশ কিছু বিধান রয়েছে । একাধিক কারণে বহুবার সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে । সন্দেহ নেই, এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে গণতান্ত্রিক কাঠামোকে মজবুত করার জন্য । আজকাল, সংবিধানের বেশ কিছু ধারা নিয়ে অনেক বিরূপ মন্তব্য কানে আসে । কিন্তু আমার মনে হয় এতগুলো বছর পরও সংবিধান স্বমহিমায় উজ্জ্বল । এর গুরুত্ব বিন্দুমাত্র হ্রাস পায়নি । এর সব থেকে বড় উদাহরণ শান্তিপূর্ণ ভাবে গণতান্ত্রিক উপায় অবাধ নির্বাচন । একটা সুস্থ-মজবুত-সবল-ভারসাম্যপূর্ণ গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, কিন্তু বিন্দুমাত্র রক্তক্ষরণ হবে না । দেশের এতগুলো সাধারণ নির্বাচনের দিকে চোখ বোলালেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায় । এ দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এক দল থেকে অন্য দলে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয় । কোনও দিন সেনাবাহিনী বন্দুকের সাহায্যে ক্ষমতা দখল করেনি । প্রতিবেশী অনেক দেশে রক্তক্ষয়ী পালাবদলের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি । ভারতে কোনও দিন এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি ।

"সে দিনের কথা আজও মনে পড়ে , গর্ব বোধ হয় "

সংবিধানের 70 বছর উপলক্ষ্যে একটা কথা মনে রাখতে হবে । যেহেতু আমাদের দেশের সংবিধান অনেক বেশি নমনীয়-পরিবর্তশীল, তাই ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে একে আরও শক্তিশালী-মজবুত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত । আমি মনে করি, ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে একে আরও মজবুত করা যেতে পারে । এটাও ঠিক, অনেক ক্ষেত্রে সংবিধানের লিপিবদ্ধ অনেক কিছু ঠিক মতো মানা হয় না । তবে, তার জন্য একে আস্তাকুঁড়েতে ফেলে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠছে না ।

ভারতের মতো 130 কোটির দেশে প্রতিটি মানুষ শান্তিতে-নিরাপদে বসবাস করতে পারেন, তার কারণ একটা সুষ্ঠু সংবিধানের অবস্থান । ভারতের গণতন্ত্র বিশ্বশ্রেষ্ঠ । সংবিধানের ছত্রে ছত্রে এই গণতান্ত্রিক কাঠামোর কথা উল্লেখ আছে । এই সংবিধানকে মেনে চলা আমাদের একান্ত কর্তব্য । এই দায়িত্ব শুধু প্রতিটি আমজনতার নয়, এই দায়িত্ব পালন করতে হবে সরকারকেও । অনেক সময় কোনও কোনও সরকারের কাজে সংবিধান-গণতন্ত্র না মানায় ছবিটা ধরা পড়ে । এই বিষয়টায় সচেতন হতে হবে । আমাদের সাংবিধানিক কাঠামোকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের । প্রতিটি সরকারের উচিত সেই দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করা ।

Intro:পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গণতান্ত্রিক সংবিধান' এদেশের। বললেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর সংবিধান রচনার হবার পর, সেটা পেশ করা হয়। সকলে তা গ্রহণ করেন সাড়ম্বরে। সেদিনের ইতিহাস ভেবে রীতিমতো শিহরিত বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দেশের সংবিধান পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নমনীয় বলে মন্তব্য করলেন তিনি।


Body:গণতন্ত্রকে বাঁচাতে সংবিধানে সব বিধান রয়েছে। বহুবার সংশোধন করতে হয়েছে সংবিধান। গণতান্ত্রিক ধাচাঁকে আরো বেশি শক্তিশালী করার জন্য। সংবিধানে যে ধারাগুলি রয়েছে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা উচিত। দেশে যতই পালাবদল ঘটুক আর যা-ই ঘটুক। সংবিধানের গুরুত্ব হারায়নি বলে জানিয়েছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী এবং বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝে মাঝে প্রশ্ন ওঠে গণতান্ত্রিক ধাচাঁ ঠিক আছে কিনা! সংবিধান যে যথার্থ তা দেশের নির্বাচন দেখলেই বোঝা যায় বলে জানিয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অথচ রক্তক্ষরণ হবে না। এটাই হচ্ছে সংবিধানের অন্যতম শর্ত। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, চলতি মাসের ২৯ তারিখ গণতন্ত্রের ৭০ বছরে রাজ্য বিধানসভায় বিশেষ বক্তৃতার এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমেই সংবিধান আরো বেশি শক্তিশালী হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। সংবিধানের বাস্তব প্রয়োগ রীতিমতো হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংবিধানে লিপিবদ্ধ অনেক কিছুই হয়তো মেনে চলা হচ্ছে না। তা হলেও এদেশের সংবিধান শ্রেষ্ঠ সংবিধান। এটাই হচ্ছে ভারতীয় সংবিধানের গরিমা। মানুষের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য সংবিধান। এদেশের গণতন্ত্র পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গণতন্ত্র। যে গণতন্ত্রের উল্লেখ রয়েছে সংবিধানের ছত্রে ছত্রে। বড় দেশ, এত জনসংখ্যা,এসব নিয়ে একটা গণতান্ত্রিক দেশ পরিচালনা করা খুব কঠিন। আমাদের সংবিধান মজবুত বলেই আমরা বেঁচে আছি। দেশের লোক সংখ্যা ও সমস্যার পরিপেক্ষিতে শ্রেষ্ঠ গণতন্ত্র এটা। যা সংবিধান নির্দিষ্ট। মন্তব্য বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের।


Conclusion:
Last Updated : Nov 26, 2019, 12:19 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.