ETV Bharat / bharat

সংবিধান রচনায় সচ্চিদানন্দের ভূমিকা

1946 সালে 9 ডিসেম্বর গণপরিষদ গঠন হয় । ওই একইদিনে অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত হন সচ্চিদানন্দ সিনহা । কিন্তু অনেকেই জানেন না ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে ডঃ সচ্চিদানন্দ সিনহা দেশের অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি ছিলেন । সংবিধান রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সচ্চিদানন্দের ।

সচ্চিদানন্দ
ছবি
author img

By

Published : Nov 26, 2019, 10:01 PM IST

পটনা, 26 নভেম্বর : আমাদের দেশের ইতিহাস প্রগতিশীল । আর এই ইতিহাসেই লুকিয়ে রয়েছে দেশের কিছু জানা ও অজানা তথ্য । কিন্তু অনেকেই জানেন না ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে ডঃ সচ্চিদানন্দ সিনহা দেশের অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি ছিলেন । তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি আচার্য জে বি কৃপালানি তাঁকে এই পদে নির্বাচিত করেন । 1946 সালে 9 ডিসেম্বর গণপরিষদ গঠন হয় । ওই একইদিনে অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত হন সচ্চিদানন্দ সিনহা । পরে 1946 সালের 11 ডিসেম্বর পরোক্ষ নির্বাচনের দ্বারা ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হন ।

প্রথম জীবন

ডঃ সচ্চিদানন্দ সিনহা 1871-র 10 নভেম্বর মহর্ষি বিশ্বমিত্রর জন্মস্থল বক্সারের মুরার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর বাবা বক্সি শিবপ্রসাদ সিনহা ডুমরাওঁ মহারাজের মুখ্য তহশিলদার ছিলেন । গ্রামেরই একটি স্কুলে সচ্চিদানন্দ তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করেন । 18 বছর বয়সে 1889 সালের 26 ডিসেম্বর তিনি আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে ইংল্যান্ডে যান । 1893 সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন । পরে এলাহাবাদ হাইকোর্টে 10 বছরের জন্য আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন । এরই মধ্যে তিনি 'ইন্ডিয়ান পিপলস্' ও 'হিন্দুস্তান রিভিউ' নামে দুটি সংবাদপত্রের সম্পাদনা করেছেন । । দীর্ঘদিন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সচ্চিদানন্দ ।

অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে ভূমিকা

1946 সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করে । 1946-র 9 ডিসেম্বর দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চল থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দিল্লির কনস্টিটিউশন হলে জমায়েত হন । এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী । গণপরিষদে তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি আচার্য জে বি কৃপালানি অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি পদের জন্য ডঃ সচ্চিদানন্দের নাম প্রস্তাব করেন । কৃপালানির এই প্রস্তাবে সবাই সমর্থন জানান । অ্যামেরিকা, চিন ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের প্রতিনিধিদের থেকেও শুভেচ্ছা বার্তা পান সচ্চিদানন্দ । এরপরই তিনি স্বাধীন ভারতের জন্য একটি উপযুক্ত সংবিধান তৈরিতে বিশ্বের বিভিন্ন সাংবিধানিক ব্যবস্থা ও তাদের বৈশিষ্ট্যগুলির উল্লেখ করেন ।

খুদাবক্স লাইব্রেরির সঙ্গে সচ্চিদানন্দের সম্পর্ক

1894 সালে সচ্চিদানন্দের সঙ্গে বিচারপতি খুদাবক্স খানের দেখা হয় । এলাহাবাদ হাইকোর্টে ওকালতি করার সময় তিনি খুদাবক্সের অধীনে কাজ করতে শুরু করেন । 1891-র 29 অক্টোবর চাপড়ার এই ব্যক্তি খুদাবক্স পটনায় একটি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন । ভারতের পুরোনো লাইব্রেরিগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম । এরপর হায়দরাবাদে নিজ়াম হাইকোর্টে বদলি হয়ে যান খুদাবক্স । সেইসময় এই লাইব্ররির দায়িত্ব নেন সচ্চিদানন্দ । 1894 থেকে 1898 সাল পর্যন্ত তিনি খুদাবক্স লাইব্রেরির দায়িত্ব সামলান ।

বাংলা থেকে বিহারকে আলাদা করতে সচ্চিদানন্দের তৎপরতা ও পদক্ষেপ

বাংলা থেকে বিহারের আলাদা হওয়ার বিষয়ে সচ্চিদানন্দের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে । এক্ষেত্রে সাংবাদিকতাকে তিনি হাতিয়ার করেন । সেই সময় বিহার থেকে একটিই সংবাদপত্র প্রকাশিত হত । যার নাম 'দ্য বিহার হেরাল্ড' । গুরুপ্রসাদ সেন ছিলেন তার সম্পাদক । এরপর 1894 সালে সচ্চিদানন্দ একটি ইংরেজি সংবাদপত্র প্রকাশ করেন । তার নাম 'দা বিহার টাইমস'। 1906 সালে এই সংবাদপত্রের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় 'বিহারি' । কয়েক বছর ধরে মহেশ নারায়ণের সঙ্গে এই সংবাদপত্রটি যৌথভাবে সম্পাদনা করতেন সচ্চিদানন্দ । এই সংবাদপত্রের মাধ্যমে তিনি পৃথক বিহার রাজ্যের দাবিতে প্রচার চালিয়েছিলেন । পৃথক বিহার রাজ্যের জন্য হিন্দু ও মুসলমানদের একত্রিত হওয়ার আবেদনও করেন । তাঁর চেষ্টায় অবশেষে 1905-এর 19 জুলাই বিহার বাংলা থেকে আলাদা হয় । ঘোষিত হয় পৃথক রাজ্য হিসেবে ।

স্বর্গীয় স্ত্রীর স্মৃতিতে 'সিনহা' লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা সচ্চিদানন্দের

1924 সালে স্ত্রী স্বর্গীয় রাধিকা সিনহার স্মৃতিতে সচ্চিদানন্দ 'সিনহা' লাইব্ররির প্রতিষ্ঠা করেন । মানুষের মানসিক, বৌদ্ধিক ও শিক্ষাগত উন্নতির জন্য এই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি । 1926-এর 10 মার্চ লাইব্রেরিটি পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্ট কমিটি গঠিত হয় । সদস্যদের মধ্যে প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সহ সেই সময়ের অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি এই লাইব্রেরির আজীবন সদস্যপদ গ্রহণ করেন ।

সেই লাইব্রেরির কর্মী সঞ্জয় কুমার বলেন, "ডঃ সাহেব লন্ডন ব্যারিস্টার পড়তে যেতে চেয়েছিলেন । কিন্তু মা-বাবা তাঁকে প্রথমে অত দূরে পাঠাতে চাননি । কিন্তু বাবা-মাকে বুঝিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি লন্ডনে গিয়েছিলেন । লন্ডন থেকে ফিরে পৃথক বিহার রাজ্যের জন্য আন্দোলন শুরু করেছিলেন ।"

পটনায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ

1950-র 6 মার্চ বিহারের পটনায় সচ্চিদানন্দ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা কারণে তিনি ভুগছিলেন । তাঁর মৃত্যুর কয়েক দিন আগেই তিনদিনের পটনা সফরে গিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ । সেখানে দু'বার সচ্চিদানন্দকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজেন্দ্র প্রসাদ । তাঁর মৃত্যুর আগে স্ত্রী রাধিকা সিনহার একটি পোট্রেট প্রকাশ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি । পরে সচ্চিদানন্দের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেন, "সচ্চিদানন্দ এক বুদ্ধিমান ব্যক্তি । তিনি আধুনিক বিহারের জনক ।"

সমাজকর্মী অনীশ অঙ্কুর বলেন, "ডঃ সচ্চিদানন্দ সিনহার জন্যই আজ বিহারের আলাদা অস্তিত্ব রয়েছে ।" সাংবাদিক ও লেখক অরুণ সিং বলেন, " তিনি তাঁর পাণ্ডিত্যের জন্য গণপরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং সংবিধান রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন । "

সচ্চিদানন্দ পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন । 1936 থেকে 1944 পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব সামলান । তিনি বিহার ও ওড়িশার আইন পরিষদের সভাপতিও ছিলেন । পাশাপাশি তাঁকে এই দুটি রাজ্যের নির্বাহী কাউন্সিলর ও আর্থিক বিষয়ক সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয় । শুধু তাই নয়, তিনি প্রথম ভারতীয় যাকে একটি প্রদেশের আর্থিক বিষয়ক সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল ।

পটনা, 26 নভেম্বর : আমাদের দেশের ইতিহাস প্রগতিশীল । আর এই ইতিহাসেই লুকিয়ে রয়েছে দেশের কিছু জানা ও অজানা তথ্য । কিন্তু অনেকেই জানেন না ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে ডঃ সচ্চিদানন্দ সিনহা দেশের অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি ছিলেন । তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি আচার্য জে বি কৃপালানি তাঁকে এই পদে নির্বাচিত করেন । 1946 সালে 9 ডিসেম্বর গণপরিষদ গঠন হয় । ওই একইদিনে অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত হন সচ্চিদানন্দ সিনহা । পরে 1946 সালের 11 ডিসেম্বর পরোক্ষ নির্বাচনের দ্বারা ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হন ।

প্রথম জীবন

ডঃ সচ্চিদানন্দ সিনহা 1871-র 10 নভেম্বর মহর্ষি বিশ্বমিত্রর জন্মস্থল বক্সারের মুরার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর বাবা বক্সি শিবপ্রসাদ সিনহা ডুমরাওঁ মহারাজের মুখ্য তহশিলদার ছিলেন । গ্রামেরই একটি স্কুলে সচ্চিদানন্দ তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করেন । 18 বছর বয়সে 1889 সালের 26 ডিসেম্বর তিনি আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে ইংল্যান্ডে যান । 1893 সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন । পরে এলাহাবাদ হাইকোর্টে 10 বছরের জন্য আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন । এরই মধ্যে তিনি 'ইন্ডিয়ান পিপলস্' ও 'হিন্দুস্তান রিভিউ' নামে দুটি সংবাদপত্রের সম্পাদনা করেছেন । । দীর্ঘদিন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সচ্চিদানন্দ ।

অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে ভূমিকা

1946 সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করে । 1946-র 9 ডিসেম্বর দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চল থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দিল্লির কনস্টিটিউশন হলে জমায়েত হন । এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী । গণপরিষদে তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি আচার্য জে বি কৃপালানি অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি পদের জন্য ডঃ সচ্চিদানন্দের নাম প্রস্তাব করেন । কৃপালানির এই প্রস্তাবে সবাই সমর্থন জানান । অ্যামেরিকা, চিন ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের প্রতিনিধিদের থেকেও শুভেচ্ছা বার্তা পান সচ্চিদানন্দ । এরপরই তিনি স্বাধীন ভারতের জন্য একটি উপযুক্ত সংবিধান তৈরিতে বিশ্বের বিভিন্ন সাংবিধানিক ব্যবস্থা ও তাদের বৈশিষ্ট্যগুলির উল্লেখ করেন ।

খুদাবক্স লাইব্রেরির সঙ্গে সচ্চিদানন্দের সম্পর্ক

1894 সালে সচ্চিদানন্দের সঙ্গে বিচারপতি খুদাবক্স খানের দেখা হয় । এলাহাবাদ হাইকোর্টে ওকালতি করার সময় তিনি খুদাবক্সের অধীনে কাজ করতে শুরু করেন । 1891-র 29 অক্টোবর চাপড়ার এই ব্যক্তি খুদাবক্স পটনায় একটি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন । ভারতের পুরোনো লাইব্রেরিগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম । এরপর হায়দরাবাদে নিজ়াম হাইকোর্টে বদলি হয়ে যান খুদাবক্স । সেইসময় এই লাইব্ররির দায়িত্ব নেন সচ্চিদানন্দ । 1894 থেকে 1898 সাল পর্যন্ত তিনি খুদাবক্স লাইব্রেরির দায়িত্ব সামলান ।

বাংলা থেকে বিহারকে আলাদা করতে সচ্চিদানন্দের তৎপরতা ও পদক্ষেপ

বাংলা থেকে বিহারের আলাদা হওয়ার বিষয়ে সচ্চিদানন্দের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে । এক্ষেত্রে সাংবাদিকতাকে তিনি হাতিয়ার করেন । সেই সময় বিহার থেকে একটিই সংবাদপত্র প্রকাশিত হত । যার নাম 'দ্য বিহার হেরাল্ড' । গুরুপ্রসাদ সেন ছিলেন তার সম্পাদক । এরপর 1894 সালে সচ্চিদানন্দ একটি ইংরেজি সংবাদপত্র প্রকাশ করেন । তার নাম 'দা বিহার টাইমস'। 1906 সালে এই সংবাদপত্রের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় 'বিহারি' । কয়েক বছর ধরে মহেশ নারায়ণের সঙ্গে এই সংবাদপত্রটি যৌথভাবে সম্পাদনা করতেন সচ্চিদানন্দ । এই সংবাদপত্রের মাধ্যমে তিনি পৃথক বিহার রাজ্যের দাবিতে প্রচার চালিয়েছিলেন । পৃথক বিহার রাজ্যের জন্য হিন্দু ও মুসলমানদের একত্রিত হওয়ার আবেদনও করেন । তাঁর চেষ্টায় অবশেষে 1905-এর 19 জুলাই বিহার বাংলা থেকে আলাদা হয় । ঘোষিত হয় পৃথক রাজ্য হিসেবে ।

স্বর্গীয় স্ত্রীর স্মৃতিতে 'সিনহা' লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা সচ্চিদানন্দের

1924 সালে স্ত্রী স্বর্গীয় রাধিকা সিনহার স্মৃতিতে সচ্চিদানন্দ 'সিনহা' লাইব্ররির প্রতিষ্ঠা করেন । মানুষের মানসিক, বৌদ্ধিক ও শিক্ষাগত উন্নতির জন্য এই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি । 1926-এর 10 মার্চ লাইব্রেরিটি পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্ট কমিটি গঠিত হয় । সদস্যদের মধ্যে প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সহ সেই সময়ের অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি এই লাইব্রেরির আজীবন সদস্যপদ গ্রহণ করেন ।

সেই লাইব্রেরির কর্মী সঞ্জয় কুমার বলেন, "ডঃ সাহেব লন্ডন ব্যারিস্টার পড়তে যেতে চেয়েছিলেন । কিন্তু মা-বাবা তাঁকে প্রথমে অত দূরে পাঠাতে চাননি । কিন্তু বাবা-মাকে বুঝিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি লন্ডনে গিয়েছিলেন । লন্ডন থেকে ফিরে পৃথক বিহার রাজ্যের জন্য আন্দোলন শুরু করেছিলেন ।"

পটনায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ

1950-র 6 মার্চ বিহারের পটনায় সচ্চিদানন্দ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা কারণে তিনি ভুগছিলেন । তাঁর মৃত্যুর কয়েক দিন আগেই তিনদিনের পটনা সফরে গিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ । সেখানে দু'বার সচ্চিদানন্দকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজেন্দ্র প্রসাদ । তাঁর মৃত্যুর আগে স্ত্রী রাধিকা সিনহার একটি পোট্রেট প্রকাশ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি । পরে সচ্চিদানন্দের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেন, "সচ্চিদানন্দ এক বুদ্ধিমান ব্যক্তি । তিনি আধুনিক বিহারের জনক ।"

সমাজকর্মী অনীশ অঙ্কুর বলেন, "ডঃ সচ্চিদানন্দ সিনহার জন্যই আজ বিহারের আলাদা অস্তিত্ব রয়েছে ।" সাংবাদিক ও লেখক অরুণ সিং বলেন, " তিনি তাঁর পাণ্ডিত্যের জন্য গণপরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং সংবিধান রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন । "

সচ্চিদানন্দ পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন । 1936 থেকে 1944 পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব সামলান । তিনি বিহার ও ওড়িশার আইন পরিষদের সভাপতিও ছিলেন । পাশাপাশি তাঁকে এই দুটি রাজ্যের নির্বাহী কাউন্সিলর ও আর্থিক বিষয়ক সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয় । শুধু তাই নয়, তিনি প্রথম ভারতীয় যাকে একটি প্রদেশের আর্থিক বিষয়ক সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল ।

Mumbai, Nov 26 (ANI): Nationalist Congress Party president Jayant Patil on November 26 said that Ajit Pawar is not going to attend the joint meeting of Shiv Sena, NCP and Congress at Mumbai's Trident Hotel. "There has been no contact with him. But I have been meeting him since 2 days, I will meet him today as well," said Patil.
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.