লখনউ, 22 জুন : দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে উত্তরপ্রদেশে । এবার কানপুরে সরকার পরিচালিত একটি হোমের 57 জন কোরোনায় আক্রান্ত হলেন । তাঁদের মধ্যে কয়েকজন অন্তসত্ত্বাও রয়েছেন । প্রত্যেককেই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । তাঁদের সংস্পর্শে আসা বাকিদের কোয়ারানটিনে পাঠানো হয়েছে ।
কোরোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় সম্প্রতি কয়েকজনের কোরোনা পরীক্ষা করা হয় । তারপর তাঁদের সংস্পর্শে আসা আরও কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় । গতকাল রিপোর্ট আসে । যাতে দেখা যায় ওই হোমের 57 জনই কোরোনা আক্রান্ত । তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয় । বাকিদের রাখা হয় কোয়ারানটিন সেন্টারে । আপাতত পুরো হোমটি সিল করে দেওয়া হয়েছে । একটি মাত্র জায়গা থেকে এত আক্রান্তের খোঁজ পাওয়ায় আপাতত এটিকে কোরোনার ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ।
কীভাবে এতজন আক্রান্ত হলেন যেখানে হোমের দায়িত্ব আবাসিকদের নিরাপত্তায় আগে গুরুত্ব দেওয়া হয়? এবিষয়ে উত্তরপ্রদেশের রাজ্য মহিলা কমিশনার পুনম কাপুর জানান, সম্প্রতি হোমের এক কর্মচারী ও দু'জন আবাসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেছিল । মনে করা হচ্ছে সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে । এবং তাঁদের থেকে সংক্রমিত হয়েছেন বাকিরা । তাহলে হোমের নিরাপত্তা কোথায়, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই ।
শুধু তাই নয়, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এই সরকারি হোমের দুই আবাসিক অন্তঃসত্ত্বা । তাঁরা হোমের ভিতরে কীভাবে অন্তঃসত্ত্বা হলেন সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে । পরে জানা যায়, দু'জন নয়, আদতে অন্তঃসত্ত্বা পাঁচজন আবাসিক । এক্ষেত্রেও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে । যদিও সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে হোম কর্তৃপক্ষ তখন জানায়, তাঁরা হোমে আসার আগে থেকেই অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন । যদিও আবাসিকদের কোরোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি কর্তৃপক্ষ ।
প্রসঙ্গত, লকডাউন শিথিল হতে শুরু করায় উত্তরপ্রদেশে দ্রুত বাড়ছে কোরোনা সংক্রমণ । আক্রান্তের নিরিখে এরাজ্যে নয়ডার পরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কানপুর । এখন 400-রও বেশি সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে এখানে । সবমিলিয়ে উত্তরপ্রদেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা 17 হাজার । এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে 507 জনের ।