ETV Bharat / bharat

হাসপাতালে মানুষের বদলে ওয়াকিং রোবট

বার্ষিক প্রজেক্টের অঙ্গ হিসাবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই ছাত্ররা এক ‘ওয়াকিং রোবট’ তৈরি করেছেন ।উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে এই রোবটদের চলতি পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সক্ষম করে তুলে রাজ্যের মন্ত্রীর কাছে পরিবেশন করেছেন তাঁরা । ওই তিন ছাত্র আশফাক, আবদুল বারি ও সলমন ‘ইনাডু’র সঙ্গে তাঁদের ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন ।

robot
রোবট
author img

By

Published : Apr 17, 2020, 2:50 PM IST

দিল্লি, 17 এপ্রিল: প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা । পরিবারের থেকে নিজেদের দূরে রেখে এক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করে, রোগীদের খেয়াল রেখে চলেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা । স্বাস্থ্যকর্মীদের রক্ষা করতে এই বার এগিয়ে এলেন শহরেরই তিন যুবক । তাঁরা নিয়ে এলেন এক অভিনব ভাবনা ৷ আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের পরিষেবা দিতে রোবট ব্যবহারের প্রস্তাব দিলেন তাঁরা । রাজ্য সরকারে কাছে ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত প্রস্তাবও দিয়েছেন তাঁরা । বার্ষিক প্রজেক্টের অঙ্গ হিসাবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই ছাত্ররা এক ‘ওয়াকিং রোবট’ তৈরি করেছেন । উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে এই রোবটদের চলতি পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সক্ষম করে তুলে রাজ্যের মন্ত্রীর কাছে পরিবেশন করেছেন তাঁরা । বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রীও রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি সচিব জয়েশ রঞ্জনকে নির্দেশ দিয়েছেন ছাত্রদের এই প্রস্তাব খতিয়ে দেখতে । এই পরিস্থিতিতে ওই তিন ছাত্র আশফাক, আবদুল বারি ও সলমন ‘ইনাডু’র সঙ্গে তাঁদের ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন ।

ভাবনার ভিত্তিঃ

কোরোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে বহু চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, এই বিষয়টি জানতে পেরেই ভাবনাটি তাঁদের মাথায় আসে । তাঁদের বার্ষিক প্রজেক্টের অঙ্গ হিসাবে তৈরি করা এই রোবটগুলির প্রযুক্তি আরও উন্নত করে চিকিৎসায় ব্যবহারের ভাবনাটিও আসে সেখান থেকেই । দেশের একাধিক মেট্রো সিটির বহু রেস্তরাঁয় রোবটের ব্যবহার হচ্ছে বহু দিন ধরে । এই বিষয়ে জানতে পেরে তিন বন্ধুর মাথায় আসে তাঁদের রোবটগুলিকে উন্নত করার ভাবনা । শহরেরই এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে গত বছরই স্নাতক হয়েছেন এই তিন যুবক । সেই সময় তাঁদের প্রজেক্টের অঙ্গ হিসাবে এই ‘ওয়াকিং রোবট’ তৈরির বিষয়টি তাঁদের মাথায় আসে । শহরের রেস্তরাঁয় ব্যবহৃত রোবটগুলি বিদেশ থেকে আমদানি করার জন্য দাম অনেকটাই বেশি । এই খরচ কমাতে ছাত্ররা এক অনন্য পরিকল্পনা নিয়ে হাজির হয়েছেন । ছয় ইঞ্চির থার্মাকল ব্যবহার করে তাঁরা তৈরি করে ফেলেন এক নকশা । সরকারের থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলে সরকারের সাহায্যে আগামী আট দিনের মধ্যে তাঁরা অত্যন্ত কম খরচে এই রোবট তৈরির পরিকল্পনা করেছেন ।

এই রোবটের বিশেষত্ব কী?

কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা চলে যে সব ওয়ার্ডে, সেখানে মানবহীন পরিষেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম এই রোবট । রোবটের সঙ্গে থাকা একটি ট্রে-তে রাখা থাকে ওষুধ, খাবার ও অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র । কিছু সময় অন্তর এই ওয়ার্ড জীবাণুমুক্ত করার কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে এই রোবটদের ।

এই রোবটগুলিকে চালনা করার জন্য প্রয়োজন ওয়াই-ফাই ও ব্লুটুথ । স্রেফ মোবাইল দিয়েই এদের পরিচালনা করা সম্ভব । ওয়ার্ডে এক নাগাড়ে ঘুরে রোগীদের উপর নজর রাখতে পারে এই রোবট । এদের সঙ্গে লাগানো নজরদারি ক্যামেরার সাহায্যে চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীরা নিজেদের ঘরে বসেই রোগীদের উপর নজর রাখতে পারবেন । আবার আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা যে সব রোগী একাকীত্বে ভুগছেন, তাঁরা ইচ্ছা করলে এই রোবটদের সঙ্গে কথা বলতে, গান শুনতে বা খবর শুনতে পারবেন । আর এই সবই করা সম্ভব রোবটের সঙ্গে থাকা স্পিকারের সাহায্যে যা রোবটের নতুন নকশায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ওসমানিয়া হাসপাতালকে জীবাণুমুক্ত করাঃ

কোরোনা মোকাবিলায় ওসমানিয়া হাসপাতালে একটি জীবাণুমুক্তকরণ কক্ষ তৈরি করা হচ্ছে । স্বাস্থ্যকর্মীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ওসমানিয়া টিচিং হাসপাতালে সোমবার থেকে এই কক্ষ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে । চিকিৎসক, হাসপাতাল কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী, রোগীর আত্মীয় এবং অন্য কর্মীদের জন্য এই কক্ষ তৈরি করতে ব্যস্ত রয়েছেন চিকিৎসকরা ।

দিল্লি, 17 এপ্রিল: প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা । পরিবারের থেকে নিজেদের দূরে রেখে এক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করে, রোগীদের খেয়াল রেখে চলেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা । স্বাস্থ্যকর্মীদের রক্ষা করতে এই বার এগিয়ে এলেন শহরেরই তিন যুবক । তাঁরা নিয়ে এলেন এক অভিনব ভাবনা ৷ আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের পরিষেবা দিতে রোবট ব্যবহারের প্রস্তাব দিলেন তাঁরা । রাজ্য সরকারে কাছে ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত প্রস্তাবও দিয়েছেন তাঁরা । বার্ষিক প্রজেক্টের অঙ্গ হিসাবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই ছাত্ররা এক ‘ওয়াকিং রোবট’ তৈরি করেছেন । উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে এই রোবটদের চলতি পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সক্ষম করে তুলে রাজ্যের মন্ত্রীর কাছে পরিবেশন করেছেন তাঁরা । বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রীও রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি সচিব জয়েশ রঞ্জনকে নির্দেশ দিয়েছেন ছাত্রদের এই প্রস্তাব খতিয়ে দেখতে । এই পরিস্থিতিতে ওই তিন ছাত্র আশফাক, আবদুল বারি ও সলমন ‘ইনাডু’র সঙ্গে তাঁদের ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন ।

ভাবনার ভিত্তিঃ

কোরোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে বহু চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, এই বিষয়টি জানতে পেরেই ভাবনাটি তাঁদের মাথায় আসে । তাঁদের বার্ষিক প্রজেক্টের অঙ্গ হিসাবে তৈরি করা এই রোবটগুলির প্রযুক্তি আরও উন্নত করে চিকিৎসায় ব্যবহারের ভাবনাটিও আসে সেখান থেকেই । দেশের একাধিক মেট্রো সিটির বহু রেস্তরাঁয় রোবটের ব্যবহার হচ্ছে বহু দিন ধরে । এই বিষয়ে জানতে পেরে তিন বন্ধুর মাথায় আসে তাঁদের রোবটগুলিকে উন্নত করার ভাবনা । শহরেরই এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে গত বছরই স্নাতক হয়েছেন এই তিন যুবক । সেই সময় তাঁদের প্রজেক্টের অঙ্গ হিসাবে এই ‘ওয়াকিং রোবট’ তৈরির বিষয়টি তাঁদের মাথায় আসে । শহরের রেস্তরাঁয় ব্যবহৃত রোবটগুলি বিদেশ থেকে আমদানি করার জন্য দাম অনেকটাই বেশি । এই খরচ কমাতে ছাত্ররা এক অনন্য পরিকল্পনা নিয়ে হাজির হয়েছেন । ছয় ইঞ্চির থার্মাকল ব্যবহার করে তাঁরা তৈরি করে ফেলেন এক নকশা । সরকারের থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলে সরকারের সাহায্যে আগামী আট দিনের মধ্যে তাঁরা অত্যন্ত কম খরচে এই রোবট তৈরির পরিকল্পনা করেছেন ।

এই রোবটের বিশেষত্ব কী?

কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা চলে যে সব ওয়ার্ডে, সেখানে মানবহীন পরিষেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম এই রোবট । রোবটের সঙ্গে থাকা একটি ট্রে-তে রাখা থাকে ওষুধ, খাবার ও অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র । কিছু সময় অন্তর এই ওয়ার্ড জীবাণুমুক্ত করার কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে এই রোবটদের ।

এই রোবটগুলিকে চালনা করার জন্য প্রয়োজন ওয়াই-ফাই ও ব্লুটুথ । স্রেফ মোবাইল দিয়েই এদের পরিচালনা করা সম্ভব । ওয়ার্ডে এক নাগাড়ে ঘুরে রোগীদের উপর নজর রাখতে পারে এই রোবট । এদের সঙ্গে লাগানো নজরদারি ক্যামেরার সাহায্যে চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীরা নিজেদের ঘরে বসেই রোগীদের উপর নজর রাখতে পারবেন । আবার আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা যে সব রোগী একাকীত্বে ভুগছেন, তাঁরা ইচ্ছা করলে এই রোবটদের সঙ্গে কথা বলতে, গান শুনতে বা খবর শুনতে পারবেন । আর এই সবই করা সম্ভব রোবটের সঙ্গে থাকা স্পিকারের সাহায্যে যা রোবটের নতুন নকশায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ওসমানিয়া হাসপাতালকে জীবাণুমুক্ত করাঃ

কোরোনা মোকাবিলায় ওসমানিয়া হাসপাতালে একটি জীবাণুমুক্তকরণ কক্ষ তৈরি করা হচ্ছে । স্বাস্থ্যকর্মীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ওসমানিয়া টিচিং হাসপাতালে সোমবার থেকে এই কক্ষ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে । চিকিৎসক, হাসপাতাল কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী, রোগীর আত্মীয় এবং অন্য কর্মীদের জন্য এই কক্ষ তৈরি করতে ব্যস্ত রয়েছেন চিকিৎসকরা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.