শ্রীনগর, 25 জনুয়ারি : 370 ধারা প্রত্যাহারের পর জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার । পাঁচ মাস পর শেষমেশ আজ 2জি পরিষেবা চালু হচ্ছে উপত্যকায় । তবে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে । শুধুমাত্র শ্বেত তালিকাভুক্ত ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার সীমাবদ্ধ থাকবে । তবে এখনই সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারবেন না বাসিন্দারা । বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পোস্টপেইডের পাশাপাশি প্রিপেইড সিমেও মিলবে এই পরিষেবা । বিধিনিষেধ কতটা শিথিল করা যায়, তা নিয়ে 31 জানুয়ারি আবার পর্যালোচনা করা হবে ।
জম্মু-কাশ্মীরে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে তাতে লেখা রয়েছে, কয়েকটি বিধিনিষেধের সঙ্গে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হবে । আজ থেকে এটি কার্যকর হবে । 31 জানুয়ারি পর্যন্ত জারি থাকবে । তারপর আবার পর্যালোচনা করা হবে । জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা নিয়ে নানা মহলের তরফে একাধিক সমালোচনা হয় । এই বিধিনিষেধে কিছুটা শিথিলতা আসে এই মাসের শুরুর দিকে । একটি আবেদনের জবাবে সুপ্রিম কোর্ট তাৎক্ষণিক পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেয় । সেইসময়, আদালত বলেছিল, "অবাধ চলাচল, ইন্টারনেট এবং মৌলিক স্বাধীনতায় বিধিনিষেধ আরোপ ক্ষমতার আস্ফালন হতে পারে না । ইন্টারনেট সংযোগ ব্যক্তির বাকস্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের অধিকারের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ।
আরও পড়ুন : ''কাশ্মীরে নেট ? খারাপ সিনেমা দেখা ছাড়া আর কিছু করার নেই'', মন্তব্য নীতি আয়োগ সদস্যের
দিনকয়েক আগে, উপত্যকায় নেট পরিষেবা বন্ধ রাখা নিয়ে মন্তব্য করেন নীতি আয়োগ সদস্য ভি কে সারস্বত ৷ পরিষেবা বন্ধ রাখার পিছনে নিজের যুক্তিও দেন তিনি । তাঁর বক্তব্য, সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় কোনও ক্ষতি হয়নি ৷ কারণ খারাপ সিনেমা দেখা ছাড়া আর কিছু করার নেই সেখানে ৷ যদিও পরে তিনি বলেন, আর্থিক ক্ষতির কথা বলতে চেয়েছেন তিনি ৷
370 ধারা প্রত্যাহারের পর জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার । অশান্তি এড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে জানানো হয় । সমস্যায় পড়ে সাধারণ মানুষ । সমস্যায় পড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা কাশ্মীরের বহু মানুষও ।