মুম্বই, 10 এপ্রিল : গত 24 ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল 24 জনের । ভারতে এখনও পর্যন্ত একদিনে কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর নিরিখে যা সর্বোচ্চ । গত 24 ঘণ্টায় এখানে কোরোনা আক্রান্ত হয়েছে 229 জন । এটিও দেশএ একদিনে আক্রান্তের নিরিখে সর্বোচ্চ ।
এর মধ্যে শুধুমাত্র পুনেতেই গতকাল মৃত্যু হয়েছে 14 জনের । মুম্বইতে 9 । আক্রান্ত হয়েছেন 162 জন । যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুম্বইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল 876-এ । মহারাষ্ট্রে 1364 ।
এই রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মুম্বই । ওরলি, প্রভাদেবী ও বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে 184 জন নতুন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে । এই এলাকাগুলির অনেকাংশই মাছ চাষ ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় আগামীদিন লকডাউন বাড়লেও এদের কিছু ছাড় দেওয়া হতে পারে । তবে কোনওভাবেই যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পরে, তাই আগামীদিন এখানকার প্রত্যেকটি বাড়িতে গিয়ে গিয়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন বলে জানা গেছে ।
মুম্বইয়ের এই এলাকাগুলির পাশাপাশি সরকারের মাথা ব্যথার কারণ ধারাভি বস্তি । এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই বস্তিতে প্রায় 8 লাখ মানুষের বাস । এখানে যদি কোরোনা সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে তাহলে তা বিপদ ডেকে আনতে পারে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের । তাই এই এলাকার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে প্রশাসন । এখানে এখনও পর্যন্ত কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছে 13 জন । মৃত্যু হয়েছে এক জনের । কোরোনায় আক্রান্ত প্রত্যেকের বাড়ি সিল করে দেওয়ার পাশাপাশি বস্তির প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ চলছে ।
এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি মুম্বইয়ের ইন্ডোর স্টেডিয়ামে 500 বেডের কোয়ারান্টাইন সেন্টার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে । মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু জায়গায় আরও এমন বড় এলাকার খোঁজ শুরু করেছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা । বিশেষজ্ঞদের মতে, যে হারে এরাজ্যে দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা তাতে খুব দ্রুত বহুল পরিমাণে আইসোলেশন ও কোয়ারান্টাইন সেন্টার প্রয়োজন হবে ।
এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বুধবার রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বলেন, দেখুন চিনের ইউহানকে, লকডাউনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ওখানে কত সময় লেগেছে । আরও কয়েকটি দেশকে দেখুন । যেখানে লকডাউনের সময়সীমা বেড়েই চলেছে । এমন হলে এখানেও তাই হবে । তাতে কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেকটা সময় লাগবে । তাই সকলে বাড়িতে থাকুন ।
এবিষয়ে WHO জানিয়েছে, মুম্বইয়ের মতো শহরে কোরোনার সংক্রমণ আটকানোর একটাই উপায় নমুনা সংগ্রহ করে অনেক বেশি পরিমাণে পরীক্ষা করা । তাতে কোরোনা আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত হলে সে সূত্রে বাকিদের বের করে আইসোলেশন বা কোয়ারান্টাইনে রাখা ।