রতলা, ১১ ডিসেম্বর : নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে উত্তপ্ত ত্রিপুরা ৷ গতকাল বনধ ডাকেন পড়ুয়ারা । ১১ ঘণ্টা চলে অবরোধ। বিলের প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন পড়ুয়ারা । দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ । প্রকাশ্য়ে পোড়ানো হয় টায়ার । বিক্ষোভ চলাকালীন রাস্তা আটকানো হয় । হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় দুমাসের এক শিশুর । এছাড়াও ১১ ঘণ্টায় মোট ৪০ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন । BJP সরকারের তরফে রাজ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ও SMS পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে ৷
গুজব রুখতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে ত্রিপুরা সরকারের দাবি । যদিও বিরোধীদের দাবি নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতেই সরকারের এই পদক্ষেপ ।
গতকাল আগরতলার একাধিক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের জমায়েত হয় ৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে , ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন । চলে স্লোগান । তাঁদের দাবি ছিল, এই বিতর্কিত বিলের আওতায় ত্রিপুরাকে রাখা চলবে না । রাজ্যপ্রশাসন বিক্ষোভ রোখার চেষ্টা করে । সেপাহিজালা জেলার বিশ্রামগঞ্জে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের রুখতে শূন্যে চার রাউন্ড গুলি চালায় ৷ সেখানে প্রায় ১৫ জন আহত হন । ফলে আরও ভয়াবহ আকার নেয় বিক্ষোভ । আটক করা হয় রাস্তা । হাসপাতালে যাওয়ার পথে আটকে পড়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স । মৃত্যু হয় দু'মাসের এক শিশুর । পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে , গোমতী জেলার উদয়পুর থেকে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য ঢালাই জেলার আম্বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল । এছাড়াও স্থানীয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত হন ১৫ জন গ্রামবাসী । তিনটি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয় ।
যদিও সোমবার লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করার সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন TTADC(ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াস অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল)-কে এই বিলের আওতায় রাখা হবে না ।
আরও পড়ুন : সংখ্যাই শেষ কথা, আজ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ রাজ্যসভায়
গতকালের এই ১১ ঘণ্টার বনধ ত্রিপুরায় প্রভাব ফেলেছে । আপাতত রাজ্যের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ । উল্লেখ্য, অসমের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারারাত ধরে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে ৷