দিল্লি, 9 মার্চ : মধ্যপ্রদেশে তৈরি হওয়া সংকট নিয়ে রাতে মন্ত্রিসভার বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ৷ ইতিমধ্যেই বৈঠকে যোগ দিতে তাঁর বাসভবনে পৌঁছেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এস আর মোহান্তি ৷ এর আগে এ বিষয়ে আলোচনা করতে দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ দেখা করতে যান কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ৷ অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশ ইশুতে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী BJP-র শিবরাজ সিং চৌহান ৷ অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে তিনি BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গেও বৈঠক করেন ৷
সূত্রের খবর, 17 জন বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক চার্টার্ড ফ্লাইটে উড়ে গেছেন কর্নাটকে ৷ এর মধ্যে 6 জন মন্ত্রীও রয়েছেন ৷ বেঙ্গালুরু শহরের বাইরে একটি রিসর্টে তাঁদের রাখা হয়েছে ৷ বিদ্রোহী বিধায়করা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ৷
উল্লেখ্য, 2018 সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রীর দৌড় থেকে ছিটকে গেছিলেন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ৷ সে সময় মাত্র 23 জন বিধায়কের সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি ৷ যদিও মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সরকার গঠনের পিছনে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলীয় বিধায়কদের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার গেছিল কমল নাথের কাঁধে ৷ পাশাপাশি রাজ্য কংগ্রেসের দখলও গেছিল তাঁর হাতে ৷
রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে এর আগে মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ জানিয়েছিলেন, তিনি দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে দেখা করবেন ৷ কিন্তু এ নিয়ে দলের জেনেরাল সেক্রেটারি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে কোনও আলোচন যেতে রাজি নন ৷ অন্যদিকে আজ সন্ধ্যায় তাঁর বাসভবনে পৌঁছেছেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং ৷ এদিকে আগামীকাল ভোপালে দলীয় বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে BJP-র পক্ষ থেকে ৷
দিন কয়েক আগে দিগ্বিজয় সিং অভিযোগ করেছিলেন, মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে BJP শিবির ৷ তাঁর এই অভিযোগের ঠিক একদিন পরেই গুরুগ্রামের একটি হোটেল একসঙ্গে দেখা গেছিল কংগ্রেসের ছ'জন বিধায়ককে ৷ আর সেই নিয়ে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক চাপানউতোর ৷ কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল জোর করে বিধায়কদের হোটেলে আটকে রেখেছে BJP ৷ পরে অবশ্য দলের তরফে দাবি করা হয়েছিল 6 জন বিধায়ককেই উদ্ধার করে আনা হয়েছে ৷ কিন্তু খোঁজ মিলছিল না তিন বিধায়কের ৷ পরে তাঁদেরই একজন হরদীপ দাঙ ইস্তফাপত্র জমা করেন বিধানসভার স্পিকার এন পি প্রজাপতির কাছে ৷
