পাউরি, 9 অক্টোবর : ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ির সামনেই খেলছিল মেয়েটি ৷ নাম রাখি ৷ বয়স 11 ৷ আচমকাই চিতাবাঘের হানা ৷ আতঙ্কে পালিয়ে গেল না সে ৷ বরং ঝাঁপিয়ে শুয়ে পড়ল ভাইয়ের উপর ৷ আচ্ছাদন হয়ে ঢেকে রাখল ভাইকে ৷ যাতে কোনও ক্ষতি না হয় ৷ বাধা দিল চিতাবাঘটিকে ৷ নিজে গুরুতর জখম হয়েও বাঁচাল ভাইকে ৷ উত্তরাখণ্ডের দেবকুণ্ডাই তাল্লি গ্রামের ঘটনা ৷ ভয়ে আতঙ্কে পালিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে ভাইয়ের ওপর শুয়ে পড়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে সে ৷
নাবালিকার চিৎকারেই স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থানে এসে চিতাবাঘটিকে তাড়িয়ে দেয় ৷ উদ্ধার করা হয় দু'জনকে ৷ পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, রাখির ভাইয়ের তেমন কিছু না হলেও, গুরুতর জখম হয় নাবালিকা ৷ ঘাড়ে গভীর ক্ষত নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে ৷ আঘাত গুরুতর হওয়ার কারণে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কথা জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷
দিল্লির সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও ভরতি নেওয়া হয়নি ৷ বাধ্য হয়ে তাদের পরিবার উত্তরাখণ্ডের পর্যটন মন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক এস মহারাজের দ্বারস্থ হয় ৷ মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে 7 অক্টোবর রাখিকে অন্য একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ সেরে উঠছে রাখি, জানিয়েছে তার পরিবার ৷
মন্ত্রীর তরফে নাবালিকার চিকিৎসার জন্য 1 লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে ৷ রাখির সাহসিকতার জন্য তাকে পুরস্কার দেওয়ার কথাও বলেন পাউরির জেলা শাসক ডি এস গড়ব্যাল ৷